কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগের একজন কুলাঙ্গার: বাদল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বলেছেন, কোম্পানীগেঞ্জের তথাকথিত জন প্রতিনিধি কোম্পানীগঞ্জের অপরাজনীতির হোঁতা আবদুল কাদের মির্জা। যার কারণে কোম্পানীগঞ্জে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা, যার নির্দেশে চর ফকিরা ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। তথাকথিত জনপ্রতিনিধি কাদের মির্জা লাইভে এসে নেতাদের চরিত্র হনন করেছে। আবদুল কাদের মির্জাকে দুঃসময়ে পাইনি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের একজন কুলাঙ্গার।

বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাদল বলেন, কাদের মির্জা বলেছেন ৪৭ বছর রাজনীতি করছেন। এই ৪৭ বছরে উপজেলা আ.লীগ থেকে মেধাবী এবং ত্যাগী ৪৭ হাজার নেতাকর্মী তার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন। সেই কুলাঙ্গার ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে বলে আমি নাকি নৌকার ভোট করিনি। আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় নমিনেশন দিলে তিনি নাকি তিনি নাকি আত্মহত্যা করবেন।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি ইসরাতুন্নেছা কাদের কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে ১ সেকেন্ডের জন্য মাথা ঘামাননি। ওনার কোন রাজনৈতিক বিলাসিতা নেই। উনি একটা ভদ্র মহিলা, তাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে জনসম্মুখে। উনার কতটুকু বিবেকবোধ আছে আজকে এটা জনগণের প্রশ্ন। উনার বড় ভাই পিতার সমতুল্য, আর উনার ভাবি তার মাতার সমতুল্য। তাদের নিয়ে কিভাবে নোংরা ভাষায় বলে যাচ্ছেন। যা আমার মুখ দিয়ে বের করতে আমার বিবেকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তার ভাবি নয়, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও ছাড়েননি। পিতৃতুল্য ওবায়দুল কাদের সাহেবকেও ছাড়েননি। একজন মফস্বল এলাকার ২৭ হাজার মানুষের প্রতিনিধি ৪ লাখ মানুষের প্রতিনিধিকে নিয়ে বিষেদাগার করেন, এই ক্ষমতাটা তাকে কে দিয়েছেন?

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, কোটি কোটি টাকার টেন্ডার উনি নিজ হাতে (আবদুল কাদের মির্জা) নিয়ন্ত্রণ করতেন। নামে বেনামে লাইসেন্স দিয়ে সকল কাজ করে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে দীঘির পাড়ে পেশী শক্তি দিয়ে একটা মার্কেট নির্মাণ করেন। যদিও সেটা বৈধ নয়। সে মার্কেটে ১০০টির উপরে দোকান বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আজকে উনার সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, এজন্য বসুরহাট বাজারের আরেকটি প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্টের কাছে ‘মির্জা টাওয়ার’ নিজ নামে টাওয়ার করছেন। এই বলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে কোম্পানীগঞ্জবাসীর থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আরেকটি পাঁয়তারা করছেন। আমি কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব তার এ ফাঁদে পা দিবেন না। কারণ মির্জা টাওয়ার এখনো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পায়নি। কাদের মির্জার সকল দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকলকে অনুরোধ করবো এ মির্জা টাওয়ারে কেউ দোকান বরাদ্দের চেষ্টা করবেন না।