‘সরকারবিরোধীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে যে মাস্টারপ্ল্যান জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে, এতে উদ্যানের কিছু গাছ কাটা হতে পারে। কিন্তু সরকারবিরোধী শক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী নির্বাচনি অফিসে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ। সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে এগিয়ে চলার কথা তুলে ধরেন।

সরকারবিরোধী সেই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ অতি বাম, অতি ডানপন্থীদের দিকে ইঙ্গিত করে এসএম কামাল বলেন, সেই অপশক্তি আজকে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা মানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা মানে দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই মির্জা ফখরুলরা এবং জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম নামে একটি সংগঠনকে দাঁড় করিয়েছে। আসলে এরা ইসলামের হেফাজতকারী না। এরা বাবুনগরী-মামুনুল হকদের সামনে রেখে তাণ্ডব তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চেয়েছেন। আমাদের অস্তিত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতীক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা করে আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন বলে উল্লেখ করেন এসএম কামাল।

তিনি বলেন, এই শক্তি আজকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে যে মাস্টারপ্ল্যান আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সেই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুই একটি গাছ কাটা হতে পারে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এক হাজার নতুন গাছ রোপণ করার জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক কোটির বেশি গাছ লাগানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ও সরকারিভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এক কোটির বেশি গাছ রোপণ হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বলে দাবি করেন তিনি।

এসএম কামাল বলেন, আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই পরিবেশবাদীরা তো কথা বলেন নাই? যেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৫ একর জমি দখল করে জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক করলেন? সেদিন তো কথা বলেন নাই, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে? যেদিন ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকানোর অবরোধের নামে যে শতশত গাছ কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছে? সেদিন কিন্তু পরিবেশবাদীরা কোন কথা বলেন নাই!

‘কিন্তু আজকে তারা নতুন করে কথা বলছেন। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন বাংলার জনগণ। এই সোহরওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান জাতির সামনে স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা ঘোষণা করেছিলেন। এই সোহরায়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন জনতার কাছে ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী আর বঙ্গবন্ধু বক্তব্য রেখেছেন।

সেই জায়গাকে ঘিরে যখন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেই ক্ষেত্রে আজকে দুই একটি গাছ কাটা হতে পারে, তার বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। সেইখানে কোন খাবারের দোকান করা হয়নি, সেইখানে কোন রুটির দোকান, ভাতের দোকান করা হয়নি।

তাই আজকে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এসএম কামাল বলেন, কারণ আমাদের নেত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার পথকে মসৃণ করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ উপ-কমিটির সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

   

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;