রাজনীতির ‘গণমুখী’ পরম্পরা ও একজন সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টা



আশরাফুল ইসলাম
জনসভায় ইকবাল হোসেন সবুজ

জনসভায় ইকবাল হোসেন সবুজ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রজন্মের ইতিহাসবিমুখতার কারণে ন্যায়-অন্যায় যাই হোক, চারপাশে কেবলই সমকালীনতার জয়জয়কার। দেশের রাজনৈতিক পরিম-লে বোধহয় এই বাস্তবতাটি একরকম ধ্রুবসত্যই হয়ে উঠেছে। আশির দশকে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরের পূর্ব পর্যন্তও সংসদীয় আসনের বিস্তৃতি ছিল বিরাট এলাকা নিয়ে। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপে ভোটের রাজনীতির সমীকরণ বদলের সঙ্গে পুরনো সংসদীয় আসন ভেঙে একাধিক আসন সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্বের সুযোগও বেড়েছে বহুসংখ্যায়। কিন্তু রাজনীতিকদের কর্তব্য পালনের প্রবণতা কিংবা ‘জননেতাদের’ জনসেবা খুব একটা বেড়েছে বলে আমরা দেখছি না। সংবাদপত্রে প্রায়শই আমরা দেখব, জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে সংসদ সদস্যদের প্রতি তাদের ভোটারদের ক্ষোভ ‘ভোটে জেতার পর আর দেখা মিলে না এমপিদের’ ইত্যাদি। জনগণের এই অভিযোগ অমূলক নয়, অনেকক্ষেত্রে বহুলাংশেই সত্য। দেশের অনেক জনপদেই নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এলাকাবিমুখ। স্থানীয় সমস্যা-সংকট তাদের স্পর্শ করে সামান্যই। এমনকি রাজধানীতে গিয়ে জনগণের অর্থে নির্মিত ও পরিচালিত ভবনে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও অনেক প্রান্তিক মানুষ বাধা পান বা দেখা না পেয়ে মনোকষ্ট নিয়ে ফিরে আসেন।

কিন্তু গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় শাসন কাঠামোতে একজন সংসদ সদস্যের কর্তব্যের পরিধি অনেক বিস্তৃত। বলতে গেলে একটি সংসদীয় আসনের সামগ্রিক সংকট-সম্ভাবনা এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রগতি দেখভালের নৈতিক দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের ওপরই বর্তায়। যদিও সমকালীন বাস্তবতা এর এতোটাই উল্টো যে জনগণ এখন সেই অধিকারের কথা ভুলতেই বসেছে। জনশক্তি রপ্তানিতে প্রতারণায় দেশের একজন সংসদ সদস্য যখন কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত হয়ে পদ হারান কিংবা সম্প্রতি তিনজন সংসদ সদস্যকে অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে আদালত কর্তৃক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়; তখন স্খলনটা কোন স্তরে পৌঁছেছে তা সহজেই অনুমেয়।

ইকবাল হোসেন সবুজের রাজনৈতিক কর্মপ্রয়াসের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক মনে হয় নিবিড় জনসংযোগ

কিন্তু আমরা অনেক আশাবাদী হওয়ার মতো খবরও পাই, যা আমাদের গ্লানি ঘুচিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সাহস যোগায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একজন সংসদ সদস্যের নানা গণমুখী প্রয়াস আমাদের আশাবাদী করেছে। এই অঞ্চলের রাজনীতিবিদদের গণমুখী রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল যে অতীত, তিনি সেই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বলছিলাম রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজের কথা।

তারুণ্যের শক্তি নিয়ে দুই দশক আগে রাজনীতির মাঠে পা দেওয়া ক্ষমতাসীন দলের এই নেতাকে নিয়ে এমন আশাবাদের পেছনে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য দিক রয়েছে। ইকবাল হোসেন সবুজের রাজনৈতিক কর্মপ্রয়াসের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক মনে হয় নিবিড় জনসংযোগ। প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে এই সংযোগই এক সময় কর্মী থেকে নেতায় রূপান্তর ঘটাতো রাজনীতিকদের। সমকালীন বৈপরিত্যে সবুজরাই সেই পরম্পরাকে এগিয়ে নেন।

আমরা দেখেছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ ‘উঠান বৈঠক’ কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দুয়ারে হাজির হয়েছিলেন। যেখানে প্রান্তিক মানুষেরা তাদের অভাব-অভিযোগ তুলে ধরার সুযোগ পান। এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্য একে একে পুরো নির্বাচনী এলাকার মানুষের জনজীবনের প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেকে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। দেশের প্রতিটি জনপদেই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু একজন চৌকষ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জনপ্রতিনিধি গণমানুষের আকাঙ্খার নিরিখে একটি বাস্তবসম্মত অগ্রাধিকার তৈরি করে তা প্রশাসনের সঙ্গে সুসমন্বয় করে জনকল্যাণকে নিশ্চিত করতে পারেন। ইকবাল হোসেন সবুজ এই কাজটি সার্থকভাবেই করতে পেরেছেন।

রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ

শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নে নগরহাওলা ও ধনুয়া নামে দুটি গ্রাম রয়েছে। মহাসড়কের কোল ঘেঁষে শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত এই গ্রাম দুটিতে অন্তত এক দশক আগে থেকেই কিছু সমস্যা ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠছিল। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট তরল শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণ ও নির্গমণপথ ভরাট হওয়ায় জলাবদ্ধতা অধিবাসীদের জনজীবনকে ক্রমেই অতীষ্ট করে ফেলছিল। সম্প্রতি আমরা সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজকে জলাবদ্ধ সেই জনপদে যেতে দেখেছি। পত্রিকার খবরে জেনেছি, সংসদ সদস্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী উপায় খুঁজতে এবং তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এটা জানি যে, মানুষের উদগ্র লোভ ও দায়িত্বহীনতায় যেভাবে পরিবেশ-প্রতিবেশ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে উঠছে সেখানে ইকবাল হোসেন সবুজের এই পদক্ষেপ হয়তো এখনি সব সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবে না; কিন্তু ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এবং জনসচেতনতা ব্যাপকভাবে তৈরি করা গেলে সচেতন জনগোষ্ঠী পরিবেশবিনাশী এ অপচেষ্টা একদিন নিশ্চয়ই রুঁখে দিতে পারবে।  

ক’মাস আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে আমরা জেনেছি, গাজীপুরের হোতাপাড়ায় একটি শিল্পকারখানায় মজুরির দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে আরেক মানবিক দৃষ্টান্ত গড়েছেন ইকবাল হোসেন সবুজ। খবরে প্রকাশ, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে তবেই তিনি ওই কারখানা চত্বর ত্যাগ করেন। যদ্দূর জেনেছি, ওই কারখানার শ্রমিকরা এখানকার ভোটার নন, তদুপরি একজন জনপ্রতিনিধি তাদের সহমর্মি হয়ে এগিয়ে গেছেন!

রাজনীতিবিদদের কর্তব্যবোধ তো এমনি হওয়ার কথা। কিন্তু দুর্বৃত্তায়িত সমাজে, স্খলিত মূল্যবোধের ঘুণে ধরা সমাজে এই ‘কর্তব্যবোধ’ অনেক আগেই নির্বাসনে গেছে। সেখানে আমরা সত্যিকারের রাজনীতির পরম্পরাকে বহন করার দৃষ্টান্ত দেখলে বিস্মিত হই বৈকি!  সেইসঙ্গে আমরা আশাবাদী হই এইভেবে যে, গণমুখী রাজনীতির পুনঃপ্রত্যাবর্তন নিশ্চয়ই আমাদের সমাজে ঘটবে। ইকবাল হোসেন সবুজরা সেই আলোকবর্তিকা বয়ে নিয়ে যাক।

লেখক: সাংবাদিক গবেষক  

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;