ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে আলোচনায় যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর চারটি ইউনিটের কমিটি নিয়ে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। খুব শীঘ্রই আসছে নগরীর নতুন কমিটি। যে-কোন সময় ঘোষণা করা হবে এই চারটি ইউনিটের কমিটি। এ নিয়ে দলটির একটি অংশ চাচ্ছে রাজনৈতিক আন্দোলন ফিরিয়ে আনতে তরুণ এবং চলমান শিক্ষার্থীদের কমিটিতে রাখতে। আর একটি অংশ চাচ্ছে নিজেদের আধিপত্য ও ক্ষমতা ধরে রাখতে নিজেদের পছন্দের লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে।

আসন্ন নতুন কমিটিতে পদ পেতে যে যার সামর্থ মতো জোর লবিং শুরু করেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারীদের মধ্য থেকেই আসছে আগামীর ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিটের ছাত্রদলের নেতৃত্ব। খুব শিগগিরই ঘোষিত হতে যাচ্ছে নতুন কমিটি। আর এ কমিটি হবে দুই সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি।

আলোচনায় রয়েছেন যারা

মহানগর উত্তর

আহ্বায়ক প্রার্থী : আহ্বায়ক প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন- জসিম শিকদার রানা সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় সংসদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলিটেকনিক। (সমর্থনকারী এম এ কাইয়ুম সভাপতি ঢাকা উত্তর বিএনপি, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।), মো. ইলিয়াস সাবেক সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল।(সমর্থনকারী যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন।), রাসেল বাবু সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর। (সমর্মথনকারী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।)

সদস্য সচিব প্রার্থী : সদস্য সচিব প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন- সোহেল সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহানগর উত্তর। (সমর্থনকারী ছাত্রদল সভাপতি ও মিজানুর রহমান রাজ সাবেক সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল।), আজম হোসেন সাবেক সদস্য মহানগর উত্তর ছাত্রদল। (সমর্থনকারী মিজানুর রহমান রাজ সাবেক সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল।)

ছাত্রদলের মিছিল/ফাইল ছবি

মহানগর দক্ষিণ

আহ্বায়ক প্রার্থী: পাভেল শিকদার সাবেক সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বর্তমান সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় সংসদ। (সমর্থনকারী বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।), মো. শামিম হোসেন সাবেক সহ সভাপতি মহানগর দক্ষিণ, সাবেক সেক্রেটারি যাত্রাবাড়ী থানা। (সমর্থনকারী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিএনপি নেতা নবি উল্লাহ নবি।), শফিকুল ইসলাম দারা সাবেক সহ সভাপতি মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল। (সমর্থনকারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন।

সদস্য সচিব প্রার্থী: মুফতিজুল কবীর কিরণ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল। (সমর্থনকারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন আরমান। রফিকুল ইসলাম (সমর্থনকারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।)

মহানগর পূর্ব

আহ্বায়ক প্রার্থী: মহানগর পূর্বে আহ্বায়ক প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন- খালিদ হাসান জ্যাকি সাবেক সভাপতি ধানমন্ডি থানা ও সাবেক মহানগর পূর্ব সহ-সভাপতি ছাত্রদল। (সমর্থনকারী ধানমন্ডি থানা বিএনপি সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবি ও ছাত্রদলের সভাপতি।), মহি উদ্দিন মহি সাবেক সহ সভাপতি মহানগর পূর্ব ছাত্রদল। (সমর্থনকারী মির্জা আব্বাস, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, খন্দকার এনামুল হক এনাম সাবেক সভাপতি মহানগর পূর্ব ছাত্রদল।), মামুনুর রশীদ মামুন সাবেক সহ সভাপতি নগর (সমর্থনকারী মির্জা আব্বাস, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, খন্দকার এনামুল হক এনাম সাবেক সভাপতি নগর পূর্ব ছাত্রদল।), মো. আজাদ চৌধুরী সাবেক সহ সভাপতি মহানগর পূর্ব, হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। (সমর্থনকারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।), আল আমিন হোসেন সাবেক সহ সভাপতি মহানগর পূর্ব ছাত্রদল, সাবেক শাহজাহান পুর থানা সভাপতি। (সমর্থনকারী মির্জা আব্বাস, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, গিয়াস উদ্দিন মানিক সাবেক সাধারণ সম্পাদক পূর্ব ছাত্রদল।)

সদস্য সচিব প্রার্থী: সোহাগ হোসেন সাবেক শাহজাহান পুর থানা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহানগর পূর্ব ছাত্রদল। (সমর্থনকারী মির্জা আব্বাস, হাবিবুর রশিদ হাবিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, খন্দকার এনামুল হক এনাম সাবেক সভাপতি নগর পূর্ব ছাত্রদল।), মো. হান্নান সামি। (সমর্থনকারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।), আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহানগর পূর্ব। (সমর্থনকারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গিয়াস উদ্দিন মানিক সাবেক সাধারণ সম্পাদক পূর্ব ছাত্রদল।)

মহানগর পশ্চিম

আহ্বায়ক প্রার্থী: আমিনুর রহমান শান্ত যুগ্ম সম্পাদক বাংলা কলেজ। (সমর্থনকারী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, রওশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহানগর উত্তর ছাত্রদল।), হাসান বসনিয়া সাবেক সহ সভাপতি মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল। (সমর্থনকারী ছাত্রদল সভাপতি।), আকতার মামুন (সমর্থনকারী সাফায়েত রাব্বি আরাফাত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।) এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন নূরে আলম সিদ্দিকী রনি (সমর্থনকারী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।)

সদস্য সচিব প্রার্থী: মাজহারুল ইসলাম মারুফ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদপুর থানা। (সমর্থনকারী কামরুজ্জামান জুয়েল সাবেক সহ সভাপতি নগর পশ্চিম ছাত্রদল।), আশরাফুল হোসেন মামুন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।(সমর্থনকারী ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক।), আল আমিন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদাবর থানা। (সমর্থনকারী কামরুজ্জামান জুয়েল সাবেক সভাপতি মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল।) এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন সোয়াইবুর রহমান বাপ্পি সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মহানগর পশ্চিম।

উল্লেখ্য, ১৬ জুন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমের বিদ্যমান পূর্ণাঙ্গ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;