ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক হলেন ছাত্রলীগের সভাপতি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের ভাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক চয়ন কুমার মন্ডলকে সদ্যঘোষিত নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে চয়ন কলেজ ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় এলাকায় সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। শুধু তথ্য গোপনই নয়, চয়ন কুমার মন্ডলের নামে নগরকান্দা থানায় চুরি, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতাসহ অন্তত ৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে চার্জশীটভুক্ত আসামি। এতোগুলো মামলা থাকার পরেও চয়ন কুমার মন্ডলের নাম কিভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের মত দায়িত্বশীল পদে আসে সেটা নিয়েও এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চয়ন কুমার মন্ডল ভাঙ্গা সরকারি কে এম কলেজের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। চলতি বছরের এপ্রিলে ভাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পান চয়ন। ৩০ এপ্রিল ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে ১১ নং যুগ্ন আহবায়ক করা হয় চয়ন কুমার মন্ডলকে। তবে কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা অবস্থায়ই চয়নকে আবার নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। তাই ছাত্রদল থেকে রাতারাতি ছাত্রলীগ সভাপতি বনে যাওয়ায় এতে সংগঠনটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান ২১ সদস্যবিশিষ্ট ভাঙ্গা কাজী মাহবুবউল্যাহ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। ওই কমিটির একজন আহ্বায়ক, ১৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, একজন সদস্যসচিব এবং বাকি সবাই সদস্য। ঘোষিত ওই কমিটির ১২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছে চয়ন কুমার মন্ডলের নাম।

অপর দিকে গত ৩১ জুলাই (শনিবার) নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ। ঘোষিত ওই উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ে মোট ১২ সদস্যবিশিষ্ট। দলীয় প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ। ঘোষিত ওই উপজেলা কমিটিতেও সভাপতি হিসেবে রয়েছে চয়ন কুমার মন্ডলের নাম। এতে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের দুই কমিটিতে একই ব্যক্তির নাম থাকায় উপজেলাব্যাপী হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ভাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল মৃধার ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় সোহেল মৃধা এক মামলায় প্রায় দুই মাস ধরে কারাগারে আছেন।

পরে এ বিষয়ে ভাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের ১ নং যুগ্ন আহব্বায়ক হামিদুর রহমান বলেন, চয়ন ভাঙ্গা কলেজের প্রভাষক রঞ্জিত কুমার মন্ডলের ভাতিজা। সেই সুবাদেই ‘আমি তাকে রাজনীতিতে এনেছি। সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছি। ছাত্রদলের রাজনীতিতে সে সক্রিয় ও সরব ছিলো। এমনকি গত কয়েক মাস আগে কলেজ ছাত্রদলের নব ঘোষিত কমিটিতে সে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে। বর্তমানে চয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে হঠাৎ তিনদিন আগে শুনলাম সে উপজেলা নগরকান্দা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। এতে আমি বিস্মিত হয়েছি। তবে আজ পর্যন্ত তিনি কোনো পদত্যাগ বা অব্যাহতিপত্র দেয়নি।’ এ বিষয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে চয়ন কুমারের বিরুদ্ধে নগরকান্দার ছাত্রলীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, শুধু ভাঙ্গা কলেজই না, চয়ন ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের প্রতিটি মিটিং-মিছিলেও সরব উপস্থিত থাকতেন। তবে হঠাৎ ছাত্রলীগে ডিগবাজি দেন। যদিও তিনি এ সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য ফরমও পূরণ করেননি। ছাত্রলীগের কোন কমিটিতেও তার নাম নেই। তবুও তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আমরা অবাক হয়েছি। এবং কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে তিনি সভাপতি হলেন সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।

নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সৈকত শিমুল বলেন, ‘এটা তো ছাত্রলীগের কমিটি না, ছাত্রদলের কমিটি। তা না হলে ছাত্রদলের লোক কিভাবে কমিটিতে জায়গা পায়। আমরা যারা দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করি তাদের কাউকে না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে গোপনে এ কমিটি ঘোষণা করেছেন।

এদিকে ভাঙ্গা কাজী মাহবুবউল্যাহ সরকারি কলেজের ব্যবস্থপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত তিন চার দিন ধরে ফেসবুকে ভুগোল বিভাগের বড় ভাই চয়ন কুমার মন্ডলকে কলেজের সবাই অভিনন্দন জানিয়ে পোষ্ট দিচ্ছে। তিনি নাকি নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে। কিন্তু আমরাতো তাকে ভাঙ্গা কলেজে ছাত্রদলের সোহেল ভাই, সবুজ ভাই, নিরা ভাই, রহমান ভাইদের সাথে রাজনীতি করতে দেখেছি। এখন হঠাৎ করে কিভাবে সে নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হলো সেটা আমি ভেবে পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে চয়ন কুমার মন্ডলের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, আমার নামে কোন মামলা নেই। আর আমি আজীবন ছাত্রলীগ করেছি, ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি ও ছাত্রদলের চয়ন এক ব্যক্তি নন। আমি ভাঙ্গা কলেজে লেখাপড়া করি কিন্তু ওখানে ছাত্রদলের চয়ন কুমার মন্ডল নামের কাউকে চিনি না। এ নামে ভাঙ্গা কলেজে আছে কেউ আছে বলেও আমার জানা নেই।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরানকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এ কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে আমি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কোন নেতার কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেয়া হয়নি। কমিটি ঘোষনার পর জানতে পারলাম ছাত্রদলের রাজনীতি করা চয়নকে সভাপতি করা হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তাই ভাঙ্গার অনেক নেতাকেই চিনি।

চয়ন ছাত্রদল করতো এটা আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। এজন্যই চয়নকে ছাত্রলীগের কমিটিতে দেখে অবাক হয়েছি। এটা ছাত্রলীগের জন্য লজ্জাজনক। এর মাধ্যমে নগরকান্দা ছাত্রলীগের কবর রচিত হবে বলে মনে করি। তিনি বলেন, হয়তো নগরকান্দায় ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার কেউ যোগ্য ছিলনা বলেই ছাত্রদল নেতাকে দিয়ে চালিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে আমি বলব যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত হবে অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস বলেন, আসলে কেউ যদি ছাত্রদলের পদে আসতে চায় তাহলে তার সমস্ত ডকুমেন্ট জেলা ছাত্রদলকে জমা দিতে হয়। পরে আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করে কমিটি দেই। কিন্তু ছাত্রদলের পদে থাকার পরেও যদি কাউকে ছাত্রলীগে নেয়া হয় সেটা একান্ত ছাত্রলীগের ব্যাপার। এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমরা তাকে দল থেকে বহিস্কার করবো। আলফাডাঙ্গায়ও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই ছেলে রনি কিন্তু আবেদন করে অনেক আগেই ছাত্রদলে এসেছে। তারপরেও অন্তত ৬ মাস পরে আবার তার নাম ছাত্রলীগে এসেছে। এতে আমাদের দোষ কি? একটা ছেলে ছাত্রদলের চলতি কমিটিতে থাকতে কিভাবে তারা তাকে আবার ছাত্রলীগে নিলো? তাতে বোঝা যায় ছাত্রলীগ যাচাই-বাছাই না করে কমিটি দেন।

তবে কমিটি ঘোষণাকারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামদীদুল রশিদ রিয়ান বলেন, চয়ন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না জেনেও চাপে পড়ে তাঁকে কমিটির সভাপতি করতে বাধ্য হয়েছি। তবে কিসের চাপ, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে রাজি হননি। রিয়ান বলেন, চয়ন কলেজ ছাত্রদলের পদে ছিলো এটা আমার জানা ছিলো না।

চয়নের বিরুদ্ধে রজু হওয়া মামলার এজহার পর্যালোচনা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর তালমা বাজারে ভ্যান স্ট্যান্ডের কাছে এস এস ইলেকট্রনিক্সের দোকানের সামনে উপজেলার মানিকদির বাসিন্দা তারেক মল্লিক (৩০) পথরোধ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান চয়ন কুমার মন্ডল। ওই ঘটনায় পরদিন তারেক মল্লিক বাদি হয়ে নগরকান্দা থানায় চয়ন কুমার মন্ডলসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭/২০।

এছাড়াও অভিযুক্ত চয়ন ২০২০ সালে রাজনৈতিক মতবিরোধ নিয়ে উপজেলার তালমার মোড় রাজ্জাকের চায়ের দোকানের সামনে থেকে নগরকান্দার ঝাউডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজনু পাটোয়ারীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরতর আহত করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় মজনু পাটোয়ারী বাদি হয়ে চয়নকে আসামি করে নগরকান্দা থানায় একটা হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলা নং ১৩/২০।

এছাড়া ২০২০ সালের ৮ আগস্ট রাজনৈতিক মতবিরোধকে কেন্দ্র করে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ফিরোজ খানের নেতৃত্বে চয়ন কুমার মন্ডলসহ আরো বেশ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উপজেলার পিপরুল গ্রামের ছামাদ মাতুব্বর (৬০) এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর বাড়িঘর ভাংচুরসহ মালামাল লুটপাট করে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছামাদ মাতুব্বর বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় চয়ন কুমার মন্ডলসহ আর ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৯/২০।

   

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা আদায়, কারণ দর্শানোর নোটিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসীর ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘুরতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ফাহাদের মা মেয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ের পরিবার তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন।

পরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে চাঁদার টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ দেন। সৌরভের কাছে টাকা চাইলে উল্টো টাকা না দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, মতিগঞ্জে ওই মেয়ের বাড়িতে ফাহাদের মাকে আটক রাখার বিষয়টি জানতে পেরে আমি সালিশি বৈঠকের কথা বলে তাদের নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

;

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;