বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা আ.লীগের
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা-২০২১’-এর আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করাসহ জাতীয় জীবনে এ হত্যাকাণ্ডের প্রভাব বিষয়ে অধিকতর তথ্যানুসন্ধান এবং গবেষণার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার জন্য ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, আইনজ্ঞ, সাংবাদিকসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে গবেষণাপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গবেষণাপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ৩১ আগস্ট।
দলটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য অসীম ও অপূরণীয় ক্ষতি। এই হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য এক দুঃস্বপ্নের মতো ঘটনা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভণ্ডুল করার জন্যই পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ছিল দেশি-বিদেশি একটি চক্র। এই চক্রটি এবং এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীরা বহু বছর জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে দেয়নি। তারা অবৈধ আইন ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে বহু বছর ধরে জাতির পিতার হত্যার বিচার রুদ্ধ করে রেখেছিল। এমনকি জাতির পিতার নামটিও তারা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।
গবেষণাপত্র প্রণয়ন প্রতিযোগিতা ২০২১ এর কাৰ্যসূচি
গ্রুপ ক
বিষয়: সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড এবং এর বিচার রহিতকরণে জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি: আইনি, সাংবিধানিক, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যায়ন
প্রতিযোগী: দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আইনের ছাত্র- ছাত্রী
গবেষণাপত্রের আকার: ৭০০০ শব্দ (সর্বোচ্চ)
গ্রুপ খ
বিষয়: জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের তথ্যানুসন্ধান : ঐতিহাসিক দলিলাদির আলোকে বিশ্লেষণ
গবেষণা পত্রের আকার: ১০০০০ শব্দ (সর্বোচ্চ)
প্রতিযোগী: শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবী
গবেষণাপত্রের রেফারেন্সিং স্টাইল: অক্সফোর্ড
গবেষণাপত্রের ভাষা: বাংলা অথবা ইংরেজি
গবেষণাপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ: ৩১ আগস্ট ২০২১
গবেষণাপত্র মূল্যায়নে গঠিত বিচারকমন্ডলী
১ বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক বিচারক, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
২ ড. মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
৩ অজয় দাশ গুপ্ত, সিনিয়র সাংবাদিক।
৪ ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
৫ ড. আশফাক হোসেন, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিটি গ্রুপের সেরা পাঁচটি গবেষণা পত্রের রচয়িতার জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে
গবেষণাপত্র পাঠানোর ঠিকানা
তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,
মাননীয় সভাপতির কার্যালয় (নতুন বিল্ডিং)
বাড়ি-৫৩, রোড -৩/এ, ধানমন্ডি,
ঢাকা- ১২০৯
ই-মেইলে অবশ্যই গবেষণাপত্রের সফট কপি পাঠাতে হবে
ই-মেইল: [email protected]