বিএনপি সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

যখনই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে ও বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আরমগীর।

শনিবার (২ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশে সর্বশেষ নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসটিতে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবশ্যকতাকে তুলে ধরার জন্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। আগের রাত্রে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হননি। জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। যখনই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সোজা পথে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

তিনি বলেন, বাঁকা পথ তো আপনারা নেন, পেছনের দরজা দিয়ে তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। আপনারা মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকারের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের সাথে আঁতাত করেই এখনো বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি করছেন। এটা এদেশের জনগণ জানে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আজকে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বে-আইনিভাবে মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছেন। ৩৫ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। আপনাদের এতো ভয় যে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকেও আপনারা মামলা দেন। তারপরও আপনারা বলেন গণতন্ত্রের কথা, আপনারা বলেন সোজা পথের কথা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে পুলিশকে ব্যবহার করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে, আদালতকে ব্যবহার করে আপনারা এই শাসনকে টিকিয়ে রাখছেন। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনারা ইতিমধ্যে এদেশের সর্বনাশ করেছেন। অর্থনীতির সর্বনাশ করেছেন, মেঘা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। সাধারণ মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে। আর আপনারা বড় লোক থেকে আরও বড় লোক হচ্ছেন। আপনাদের আমলে ক্যাসিনো সম্রাট, এমনকি করোনার সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সেখানেও আপনারা দুর্নীতি করতে দ্বিধা করেন নাই। আপনারা করোনার টিকা নিয়ে পর্যন্ত দুর্নীতি করেছেন। পদে পদে সব জায়গায় আপনারা দুর্নীতি করছেন। পুরো দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, আজকে আপনারা আবার চেষ্টা করছেন ওই রকম একটা নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। আপনারা ইভিএম চালু করেছেন। এটা ভোট চুরির একটা বড় হাতিয়ার। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনা হুদা সাহেব যিনি পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনিও বলছেন সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলেচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। যাওয়ার সময় হয়েছে তো। এখন তো আর আগের মতো নিরাপত্তা পাবে না। আবার কয়েকদিন আগে উনি রাশিয়াতে গিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি দেখে এসেছেন। রাশিয়ার একই অবস্থা। ওটা আরও মজার জিনিস। একবার প্রধানমন্ত্রী হয় আরেকবার প্রেসিডেন্ট।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও পার্টি। আরে হরতাল জ্বালাও-পোড়াও করে আপনাদের তো কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। আপনারা বরাবরই সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় এসেছেন। সন্ত্রাসের মাধ্যমেই আপনারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা প্রথমে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। এমকি আপনারা গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। ফলে আজকে গোটা জাতি কথা বলতে পারছে না। তাদের মতামত দিতে পারছে না। আমরা প্রজাতন্ত্রের যারা সাধারণ মানুষ তারা একটা দিন রাজা হই, যেদিন আমরা ভোট দিতে পারি। কিন্তু সেই ভোটের অধিকারটুকু আওয়ামী লীগ কেড়ে নিয়ে গেছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১ অক্টোবর ছিল একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচলানায় সর্বশেষ নির্বাচন। সেটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছিল। জনগণ সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল, ভোট দিয়েছিল। ভোটাররা নির্ভয়ে যার ভোট যাকে ইচ্ছে তাকে দিয়েছিল। আমরা এই দিনটা এই জন্য পালন করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোরতাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

   

রাইসি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

সোমবার (২০ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুতে শোক এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান। ইরান সরকার ও সেদেশের জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন তিনি।

শোকবার্তায় বলেন, ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যু সংবাদে আমরা স্তম্ভিত ও শোকাভিভূত। এমন হৃদয়বিদারক সংবাদ মেনে নেওয়া সহজ নয়। ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। ইব্রাহিম রাইসি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসাম্যান্য অবদান রেখেছেন।

তার কর্মের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন ইব্রাহিম রাইসি। শুধু ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় ইব্রাহিম রাইসি অক্ষয় হয়ে থাকবেন। ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হবার নয়।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করে বলেন, ইরান সরকার ও সেদেশের জনগণ অবশ্যই এই শোক কাটিয়ে ইরানকে আরও এগিয়ে নেবেন।

;

দামি ঘড়ি পরা লোকরা রিকশা চালকদের করুণ কাহিনী জানবে কীভাবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যাদের ঘড়ি এবং সানগ্লাসের দাম লক্ষ লক্ষ টাকা তারা কি করে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকদের করুন কাহিনি জানবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক চা দিবস ও 'মুল্লুক চলো' আন্দোলন উপলক্ষে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, 'হঠাৎ করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দিলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি নিজেই বলেছেন তার হাতের যে ঘড়ি এই ঘড়ির দাম অনেক টাকা। অনেক মানুষ বলে ৫০ লাখ টাকা। তিনি যে সানগ্লাস পড়েন সেটারও অনেক দাম লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যার সানগ্লাসের দাম এত, ঘড়ির দাম ৫০ লাখ টাকার উপরে তিনি এই ব্যাটারি চালিত রিকশাওয়ালাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। তিনি কীভাবে তাদের মর্ম বুঝবেন। উনি কি জানেন এরা একবেলা খায় নাকি দুই বেলা খায়? ওবায়দুল কাদের কি জানেন তারা যে পরিশ্রম করে রিকশা চালায় সেই টাকা দিয়ে সেই উপার্জন দিয়ে তার সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাতে পারে কিনা?'

রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্তানরা তো বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। কেউ বলে দুবাইয়ে, কেউ বলে কানাডায় আবার কেউ বলে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম এবং বিভিন্ন ধরনের বাড়ি তারা সেখানে নির্মাণ করেছেন। তারা তো এদের বিষয়ে জানেনা। এ অসহায় মানুষগুলো এক বেলা চাল কিনতে পারছে না। যে দেশে আলুর দাম এই সিজনেও ৫০ টাকা এটা কি ওবায়দুল কাদের সাহেব জানেন? ওবায়দুল কাদের সাহেব জানেন না উনার নেত্রী শেখ হাসিনাও জানেন না। কারণ ওনাদের প্রত্যেকটি নেতা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বিদ্যুৎ খাত থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে। বিভিন্ন উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। শুধু টাকা পাচারের এই আরব্য উপন্যাসের কাহিনী প্রতিদিন আমরা সংবাদপত্রের পাতায় পড়ছি। সুতরাং তারা কি করে ওই ব্যাটারি চালিত রিকশাওয়ালাদের করুণ কাহিনী জানবে।'

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, 'এই ব্যাটারি চালিত রিকশা নিশ্চয়ই কোন দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার লাইসেন্স কে দিল? ঢাকাসহ প্রতিটি শহরেই আমি দেখেছি এই ব্যাটারি চালিত যান চলাচল তাদেরকে এই রোড পারমিশন কারা দিল? আপনার সরকারই দিয়েছে। এগুলো যারা ইমপোর্ট করেছে তারা তো আওয়ামী লীগের লোক। তারা তো আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী। আর যারা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে তাদেরই দোষ হয়ে গেল?আপনাদের পেট ভরে বদ হজম হবে তারপরও আপনাদের টাকা দরকার। তারপরও এরা কিন্তু এমনি এমনি চালাতে পারে না। আপনার প্রশাসনের লোকদেরকে টাকা দিতে হয়, স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হয়। এত ঘাটে ঘাটে টাকা দেওয়ার পরও যতটুকু তাদের উপার্জন হয় সেটা দিয়ে কোনোরকমে তারা দিন যাপন করে। আর এদের উপরেই আপনারা চালাচ্ছেন স্টিম রোলার। এদের উপরই আওয়ামী লীগের তরবারি মাথার উপর ঝুলছে।ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি গরিবের আহার কেড়ে নিয়ে, ভাত কেড়ে নিয়ে আপনি রাজত্ব করবেন। আপনারা স্বর্গে বসবাস করবেন, ওই স্বর্গ থেকে আপনাদের বিদায় নিতেই হবে। ওই স্বর্গে আপনারা আর বেশি দিন বসবাস করতে পারবেন না।'

শেয়ার বাজারেও নতুন করে ধস নেমেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'তরুণ শিক্ষিত যুবকেরা, অল্প আয়ের মানুষেরা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে, সেই শেয়ার মার্কেটেও আবার নতুন করে এমন পতন হচ্ছে। ওই পতন থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না শেয়ার মার্কেট। এতে বেকার হচ্ছে তরুণরা-যুবকেরা। তারা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে ফতুর হয়ে গেছেন।'

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা অনেক কথা বলেন, আমি এই করেছি সেই করেছি, এত উন্নয়ন করেছি। এগুলোতো উনার হচ্ছে গলাবাজি আর উনার নেতা মন্ত্রীদের চাপাবাজির কথা। দিন দিন কত মানুষকে যে ওনারা গরীব বানিয়েছেন, গরিব থেকে চরম গরিব বানাচ্ছেন সেইটা তারা কোনদিনও বলেন না। তারা বলবেন কি করে! এবারও বাজেটে ভর্তুকি বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত থেকে সব খাতে। কারণ ভর্তুকি না দিলে বিদ্যুৎখাতের যে দেনা সেই দেনা তারা পরিশোধ করতে পারবে না। আইএমএফ থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদেরকে শর্ত দিচ্ছে। শর্ত দেওয়ার পরেও তারা ভর্তুকি বাড়াচ্ছে। এই ভর্তুকি কে দেয়? এটা কি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার টাকা দিয়ে চলে? এই গরিব মানুষ এই শ্রমজীবী মানুষদের ঘরের টাকায় এই ভর্তুকি দেয়া হয়।'

রিজভী আরও বলেন, 'আজকের এই দিনে ঘুমন্ত চা শ্রমিকদের উপর গুলি চালায় ইংরেজ শাসকদের এ দেশীয় তাবেদার পুলিশ বাহিনী। তাদের এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে অধিকার আদায়ের যে তীব্র আকুতি যে আকাঙ্ক্ষা আজও বাংলার আকাশে বাতাসে, বাংলার নদী নালায় যে দাবি প্রবাহিত হয় সেখান থেকে এখনো তাদের আওয়াজ মুছে যায়নি। আজও এদেশের নিপীড়িত মানুষকে এক বেলা খাবারের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সেদিনের সেই মুল্লুক চলো আন্দোলন যে শিক্ষা দিয়েছে সেই শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিপীড়িত নির্যাতিত শ্রমজীবী মানুষ লড়াই করছে।'

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানসহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের পিকেটিংয়ে নজিরবিহীন অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নজিরবিহীন পিকেটিংয়ের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকে আধাবেলা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

জেলার লংগদু উপজেলায় ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।

সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়িতে শতাধিক নেতাকর্মী পিকেটিং শুরু করেন। তাদের নজিরবিহীন পিকেটিংয়ে একটি মোটরসাইকেল পর্যন্ত চলাচল করেনি। এসময় রাজপথে অবস্থান করে স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিলেন অবরোধকারীরা।

এছাড়াও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি রুটের কুতুকছড়ি, সাপছড়িতে পিকেটাররা মিছিল করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান নিয়ে সব ধরনের যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি আটকে রাখেন।

অবরোধের কারণে রাঙামাটির সঙ্গে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক, অটোরিকশা, মালবাহী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সকালে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো আটকা পড়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি খামারপাড়া এলাকায়।

এছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি জেলা আঞ্চলিক মহাসড়কে কতুকছড়ি, বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, আবাসিক এলাকা, সাজেক পর্যটন রোডের বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পিকেটাররা।

এর আগে রোববার এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ অবিলম্বে লংগদুতে তাদের সদস্যসহ দুজনকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খুনের রাজনীতি বন্ধে সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ এবং বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, ১৮ মে (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড় হাড়িকাবা এলাকায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফের কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ের ইউপিডিএফের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

;

ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না: ওলামা লীগকে কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই। ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন এই রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।

কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের জন্য এবং এর বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে অন্য কোন শাসক কিছুই করেননি সে তুলনায়।

ওলামা লীগের ইতিহাস আমাদের জন্য খুব সুখকর নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অতীতে যা দেখেছি কার সঙ্গে কারো মিল নাই। নেতায় নেতায় বিবেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিবেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে সংগঠন করতে হবে। কোন টাউট বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যেখানে সম্মেলন সেখানেই কমিটি করতে হবে। দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতবেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। আমাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দল বিরোধী কোন কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহায় পাবে না।

দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।

;