ইউপি নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী মনোনয়নে 'অসন্তোষ' তৃণমূলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় বিএনপি, জামায়াত, রাজাকারপূত্র,হত্যা মামলার আসামিসহ দলছুট ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন। এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের  নাম পরিবর্তন করে দলের জন্য গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী এবং সম্ভব্য জয়ী প্রার্থীকে নতুন করে  মনোনয়ন দেওয়ার জন্য  সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন এমনকি বিক্ষোভ মিছিল করছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।

এসব ইউপিতে বিতর্কিত প্রার্থীদের অভিযোগ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, কারো বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলেই যে তা সঠিক হবে তা ভাবার সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই মনোনয়ন বাতিল করা হবে। এর আগেও প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অনেকের নামে অভিযোগ ছিল।কিন্তু সবার অভিযোগ প্রমাণিত হয় নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকার বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ২ হাজার ৭৯টি ইউপিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে,রংপুর বিভাগের ১৫১টি  রাজশাহী বিভাগের ১৬৫টি, খুলনা বিভাগের ১৩৫ টি,  বরিশাল বিভাগের ২৫ টি, ঢাকা বিভাগের ১৭৫ টি; ময়মনসিংহ বিভাগের ৮৮টি ; সিলেট বিভাগের  ৭৭টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ২০১টি ইউনিয়ন পরিষদ।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ১ নং গোবরিয়া আব্দুল পুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান মো এনামুল হক,যিনি  এই ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হত্যার মামলায় প্রধান আসামি। এই ইউনিয়নের অপর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা  আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামসুদ্দোহা সাফি হত্যা মামলার আসামি হয়েও নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, অত্র ইউপিতে বর্তমানে যাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবদুল আওয়াল হত্যা মামলার মূল আসামি। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে নিজ দলীয় নেতা হত্যা মামলার মূল আসামিকে মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতে করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া হাবিবুর রহমান হাবিব ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। একটি জালিয়াতি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ইউএনওকে লাঞ্ছিতসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন,নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম সাজু সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয় পান। এবার তাকে বাদ দিয়ে হাবিবুর রহমান হাবিবকে মনোনয়ন দেয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ভোটার ও আওয়ামী লীগের মধ্যে।

২০১৪ সালের ৩ মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান হাবিব। মামলাটির বিচার চলছে।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শিকদার মিজানুর রহমান। তার বাবা চাঁদ আলী শিকদার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। তারা শিকদার মিজানুর রহমানের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন। শিকদার মিজানুর রহমান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নে রেজাউল করিমের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার পছন্দের হওয়ায় কেউই তার মনোনয়ন নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না। কিন্তু তাকে নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। বহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা রেজাউল করিম ২০১২ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও তাকে দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী দলছুট হিসেবেই দেখছেন।

উল্লেখ্য, প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেসব ইউনিয়নে বিতর্কিত ব্যক্তিরা মনোনয়ন পান,সেসব ইউনিয়নে নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়।কিন্তু ৩য় ধাপের নির্বাচনে এখনও বিতর্কিত দের নাম পরিবর্তন করা হয় নি।

   

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

সোনাগাজীতে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা আদায়, কারণ দর্শানোর নোটিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসীর ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘুরতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ফাহাদের মা মেয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ের পরিবার তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন।

পরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা নেন। রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে চাঁদার টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ দেন। সৌরভের কাছে টাকা চাইলে উল্টো টাকা না দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, মতিগঞ্জে ওই মেয়ের বাড়িতে ফাহাদের মাকে আটক রাখার বিষয়টি জানতে পেরে আমি সালিশি বৈঠকের কথা বলে তাদের নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

;

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;