ইউপিতে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে আ.লীগের প্রার্থী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ নভেম্বর) মনোনয়ন বোর্ডের  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকা অনুযায়ী এই দুই বিভাগে মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন:

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদে সোলায়মান হোসেন, হুগড়ায় তোফাজ্জল হোসেন খান, করটিয়ায় খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ঘারিন্দায় হোসাইন সাদাব অন্তু, পোড়াবাড়ীয়ায় ফজলুজ্জামান রশীদ, মগড়ায় আজাহারুল ইসলাম, বাঘিল ইউনিয়নে এস এম মতিয়ার রহমান, গালায় রাজকুমার সরকার; ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুন ইউনিয়ন পরিষদে দিদারুল আলম খান (মাহবুব), গাবসারায় মনিরুজ্জামান, ফলদায় সাইদুল ইসলাম তালুকদার, গোবিন্দাসীতে দুলাল হোসেন চকদার, অলোয়ায় রফিকুল ইসলাম, নিকরাইলে মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার; ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ীতে সুজাত আলী খান, ঘাটাইলে মোহাম্মদ হায়দার আলী, লোকেরপাড়ায় মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, আনেহলায় তালুকদার শাহজাহান, দিঘলকান্দিতে ইকবাল হোসেন, দিগড়ে জামাল হোসেন, দেওপাড়ায় বাহাদুর আলম খান মনোনয়ন পেয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়ন পরিষদে আ. ছালাম, সিদলায় কামরুজ্জামান কাঞ্চন, গোবিন্দপুরে মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, আড়াইবাড়ীয়াতে মোছলেহ উদ্দিন, শাহেদলে শাহ্ মাহবুবুল হক, পুমদীতে আ. কাইয়ুম; কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামে কামাল হোসেন মিলন, সহশ্রাম ধুলদিয়াতে আবুল কাসেম আকন্দ, করগাঁওয়ে বেলায়েত হোসেন, চান্দপুরে মাহফুজুর রহমান, মুমুরদিয়ায় তরিকুল ইসলাম, আচমিতায় একেএমএম মুর্শেদ, মসুয়ায় আল আমিন, লোহাজুরীতে আতাহার উদ্দিন ভূইয়া, জালালপুরে আ. খালেক সরকার (রাজু); ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দিতে মিজানুর রহমান, শ্রীনগরে আবুল বাশার, শিবপুরে শফিকুল ইসলাম, সাদেকপুরে সাফায়েত উল্লাহ, গজারিয়ায় ফরিদ উদ্দিন খান, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে ফারুক মিয়া, আগানগরে হুমায়ুন কবীর চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে হারুন অর রশিদ, দিঘলিয়ায় সফিউল আলম (জুয়েল), দড়গ্রামে আলীনূর বক্স, সাটুরিয়ায় আনোয়ার হোসেন, হরগঞ্জে আনোয়ার হোসেন খান, ফকুরহাটিতে আফাজ উদ্দিন, ধানকোড়ায় আব্দুর রউফ, তিল্লীতে শরীফুল ইসলাম, বালিয়াটিতে রুহুল আমিন; ঘিওর উপজেলার ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদে হামিদুর রহমান, বানিয়াজুড়ীতে নূর আলম, বড়টিয়ায় সামছুল হক মোল্লা (রওশন), বালিয়াখোড়ায় এমএ লতিফ, পয়লায় হারুন অর রশীদ, নালীতে আব্দুল কুদ্দুস, সিংজুরীতে আব্দুল আজিজ নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদে দেবব্রত সরকার, বালুচরে এএসএম শাহাদাত হোসেন, রশনিয়ায় মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইছাপুরায় আবদুল মতিন হাওলাদার, রাজানগরে মজিবর রহমান, চিত্রকোর্টে শামছুল হুদা (বাবুল), কেয়াইনে আশ্রাফ আলী, বাসাইলে সাইফুল ইসলাম, মধ্যপাড়ায় মি. করিম শেখ, বয়রাগাদীতে শহিদুল্লাহ, লতব্দীতে এস এম সোহরাব হোসেন, কোলায় মীর লিয়াকত আলী, জৈনসারে আবুল খায়ের বেপারী, মালখানগরে সানজিদা আক্তার; লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদে আমিনুল ইসলাম ফকির, খিদিরপাড়ায় আবুল কালাম আজাদ, গাঁওদিয়ায় শহিদুল ইসলাম, বৌলতলীতে তোফাজ্জল হোসেন, বেজগাঁওয়ে ফারুক ইকবাল, হলদিয়ায় মোজাম্মেল হক, কনকসারে মেহেদী হাসান, কুমারভোগে লুৎফর রহমান তালুকদার, মেদিনীমণ্ডলে আশরাফ হোসেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে জহিরুল ইসলাম খান, কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদে মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে জাকির হোসেন আকন্দ, চালাকচরে ফখরুল মান্নান, চন্দনবাড়ীতে আব্দুর রউফ হিরন, বড়চাপায় অধ্যাপক এম সুলতান উদ্দিন, কাচিকাটায় নাজিবুর রহমান (সেলিম), শুকুন্দীতে ছাদিকুর রহমান শামিম, দৌলতপুরে হাদিউল ইসলাম, একদুয়ারিয়ায় আনিসুজ্জামান মিটুল, গোতাশিয়ায় মতিউর রহমান; পলাশ উপজেলার চরসিন্দুরে মোফাজ্জল হোসেন (রতন), জিনারদীতে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গাজী নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে অদুদ মাহমুদ, দুপ্তারায় নাজমুল হক, ব্রাহ্মন্দীতে লাক মিয়া, ফতেপুরে আবু তালিব, মাহমুদপুরে মোহাম্মদ আমান উল্যাহ, হাইজাদীতে আলী হোসেন, উচিতপুরায় ইসমাঈল, খাগকান্দায় আরিফুল ইসলাম, বিশনন্দীতে সিরাজুল ইসলাম, কালাপাহাড়িয়ায় মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম; সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদে আল আমিন সরকার; নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন মনোনয়ন পেয়েছেন।

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টুকু মিজি, খানগঞ্জে মুহাম্মদ শরিফুর রহমান সোহান, চন্দনীতে আব্দুর রব, সুলতানপুরে লুৎফর রহমান চুন্নু, শহীদ ওহাবপুরে নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, পাঁচুরিয়ায় কাজী আলমগীর, দাদশীতে রমজান আলী, বরাট ইউনিয়নে ফরিদ উদ্দিন শেখ, বাণীবহে মোছা. শেফালী আক্তার, রামকান্তপুরে আবুল হাসেম বিশ্বাস, মুলঘরে ওহিদুজ্জামান শেখ, খানখানাপুরে আমীর আলী মোল্লা, বসন্তপুরে আব্দুল মান্নান মিয়া, আলীপুরে মুহাম্মদ বজলুর রশিদ মিঞা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে মিয়া আসাদুজ্জামান, বানায় আশরাফুজ্জামান মিয়া (জিল্লু), পাঁচুড়িয়ায় এসএম মিজানুর রহমান; বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুরে ফারুক হোসেন, ময়নায় পলাশ বিশ্বাস, চতুলে খোন্দকার আবুল বাশার, গুনবহায় কামরুল ইসলাম, শেখরে কামাল আহমেদ, বোয়ালমারীতে ওহাব মোল্যা (তাঁরা), পরমেশ্বরদীতে সোলাইমান মোল্যা, দাদপুরে শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই, রূপাপাতে মাহব্বত আলী, সাতৈরে মুহাম্মদ মুজিবর রহমান নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে বিজন বিশ্বাস, সাদুল্যাপুরে সমর চাঁদ মৃধা, রাধাগঞ্জে ভীম চন্দ্র বাগচী, বান্ধবাড়ীতে মিজানুর রহমান হাওলাদার, আমতলীতে রাফেজা বেগম, পিঞ্জুরীতে আমিনুজ্জামান খাঁন, হিরণে মাজাহারুল আলম, কান্দিতে তুষার মধু, কুশলায় সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, শোয়াগ্রামে যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলীতে বেলায়েত হোসেন সরদার, বর্ণিতে মোসা. মিলিয়া আমিনুল, গোপালপুরে লাল বাহাদুর বিশ্বাস, পাটগাতীতে শেখ শুকুর আহমদ, ডুমুরিয়ায় আলী আহম্মেদ শেখ নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়ন পরিষদে মোখলেছুর রহমান তালুকদার, বকশীগঞ্জ সদরে আলমগীর কবির আলমাস; মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদে মোজাম্মেল হক, গুনারীতলায় মোস্তাফিজুর রহমান, আদারভিটায় মিজানুর রহমান, সিধুলীতে মাহাবুব আলম, চরপাকেরদহে বদরুল আলম সরদার, বালিজুড়ীতে মির্জা ফকরুল ইসলাম, জোড়খালীতে সুজা মিঞা; সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়ন পরিষদে আবু তাহের, পোগলদিঘাতে মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, ডোয়াইলে মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, আওনায় বেল্লাল হোসেন, ভাটারায় বোরহান উদ্দিন, কামরাবাদে আব্দুস ছালাম, মহাদানে একেএম আনিছুর রহমান নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী ইউনিয়ন পরিষদে মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, গড়জরিপায় সাইফুল আলম সাগর, সিংগাবরুনায় ফকরুজ্জামান, কাকিলাকুড়ায় জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িকাহনিয়ায় নূর হোসেন, ভেলুয়ায় রেজাউল করিম, গোসাইপুরে শাহজামাল ইসলাম আশিক, রাণীশিমূলে মাসুদ রানা, তাতিহাটিতে আসাদউল্লাহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার তারাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদে খাদেমুল আলম শিশির, গালাগাঁওয়ে আবদুর রহমান তালুকদার, ঢাকুয়ায় এনায়েত কবির, বিষকায় আব্দুছ ছালাম মণ্ডল, বানিহালায় আলতাব হোসেন খন্দকার, কাকনীতে মশিউর রহমান, বালিখাতে শামছুল ইসলাম, রামপুরে আজিজুর রহমান, কামারিয়ায় একেএম, আজাহারুল ইসলাম, কামারগাঁওয়ে রফিকুল ইসলাম, গৌরিপুরে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ মুহাম্মদ জোসেফ উদ্দিন, গৌরীপুরে হযরত আলী, অচিন্তপুরে মোছা. জাহানারা বেগম, মাওহাতে নুর মোহাম্মদ কালন, ডৌহাখলায় শহীদুল হক সরকার, সহনাটিতে সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, বোকাইনগরে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রামগোপালপুরে আবুল হাসিম, ভাংনামারীতে নুরুল ইসলাম আকন্দ, সিধলাতে জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদে মোতাহার হোসেন চৌধুরী, বড়তলী বানিহারীতে মুখলেছুর রহমান, তেতুলিয়ায় শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মাঘান সিয়াধারে আবু বকর সিদ্দিক, সুয়াইরে কামরুল হাসান, গাগলাজুরে হাবিবুর রহমান, সমাজ সহিলদেও ইউনিয়ন পরিষদে আমিনুল ইসলাম খান সোহেল; খালিয়াজুরি উপজেলার চাকুয়ায় আবুল কালাম আজাদ, নগরে হরিধন সরকার, কৃষ্ণপুরে নাজিম উদ্দিন সরকার, গাজীপুরে আতাউর রহমান, সদর উপজেলার মদনপুরে কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলের মনোনয়ন আগ্রহীদের নিকট থেকে গত ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

   

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলি: স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ কারাগারে ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলির ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৩ জনকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

তারা হলেন- থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।

এর আগে ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ভিকটিম এম. সজীবের মা পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী বুলি বেগম বাদী হয়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১৮/২০ জনসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬জন মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কফিল উদ্দীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবসহ ৪জনকে গুলি করে ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্বজনরা ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বাদী বুলি বেগম জানান, মারাত্মক আহত এম. সজীবের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চার জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নং আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম. সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন- চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

;

মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯:৪৫মিনিটে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

এদিন সকাল ১০টায় মেহেরপুরের মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে এক আলোচনা সভা করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল- আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক।

এতে আরও উপস্থিত থাকবেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিনস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

আগুনে ঘর পোড়া চার শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেনি কোনো কাপড়চোপড়ও। অদূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুড়ছে তাদের কাপড়, পুড়ছে সব। এরপর থেকে এক কাপড়েই ছিল এই তরুণীরা। সেই তরুণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ। নগরীর টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী ও নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ৪ শিক্ষার্থী সুবংকর দাশ, বাবলু দাশ, পূর্ণা দাশ ও অঙ্কিতা দাশকে এ শিক্ষা উপকরণ ও নতুন জামা তুলে দেন নূরুন নবী সাহেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব, পাথরঘাটার কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেবি দোভাস, নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আগুনে ওই এলাকার ৮৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

 

;

উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আওয়ামী লীগের আমলে কখনো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত রয়েছে।

;