সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলা‌পের না‌মে রাষ্ট্রপ‌তি হকার‌গি‌রি কর‌ছেন ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভী।

তি‌নি ব‌লেন, শেখ হা‌সিনা জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তামাশা করছেন। রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তিনি সংলাপও ডাকাচ্ছেন। আর সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন। ট্রেনে যেমন হকাররা বড়ি বিক্রি করতে মজার কাহিনী বলত, মানুষ আকর্ষণবোধ করতো। এই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সেই ধরনের হকার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে বাংলা‌দেশ ফেডা‌রেল সাংবাদিক ইউ‌নিয়ন (‌বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌নের উদ্যো‌গে এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। করোনা যেমন রূপান্তর হচ্ছে আওয়ামী লীগও নিজের রূপান্তর ঘটায়। দুটিই মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, করোনাও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) চেষ্টা করছে বাংলাদেশ থেকে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার। যে মামলার কোন সত্যতা নাই, কোন প্রমাণ নাই, কোনভাবে প্রমাণ করতে পারেননি, শেখ হাসিনা শুধু গায়ের জোরে সেই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। বিনা চিকিৎসায় ধুকেধুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য, চিরদিন টিকে থাকার জন্য যা কিছু করার তিনি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটা আর লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ তো জানেই আস্তে আস্তে বিশ্বের কাছে সরকারের বোরখা খুলতে শুরু করেছে। আমি বলবো প্রধানমন্ত্রীকে আপনার সরকারের সেই বোরখা খোলার আগে পদত্যাগ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দেন। রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দেন। তা না হলে যখন সব কিছু উন্মোচন হয়ে যাবে তখন পালিয়েও নিজের ভূত আর ঢাকতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেল ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাকের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ -সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, সাংবাদিক নেতা ইকবাল মজুমদার তৌহিদ প্রমুখ।