করোনা পরিস্থিতিতে বিএনপির কর্মসূচির পুননির্ধারণের সিদ্ধান্ত
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপির চলমান কর্মসূচির তারিখ ও স্থান পুননির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে একাধিক জনসমাবেশ করার জন্য আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল বিএনপি।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা সমাবেশের তারিখ পুননির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা বিএনপি ও অঙ্গ দল সমূহের সকল কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুননির্ধারিত তারিখে সভা সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যহত রাখার আহবান জনাচ্ছি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ব আস্থা সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞ মহল যখন বলছেন, উন্মুক্ত স্থানের চেয়ে বন্ধ স্থানে কোভিড বেশি ছড়ায় তখন বাংলাদেশ সরকার ১১ দফা নির্দেশনায় স্বাস্থাবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে বহু স্থানে তা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়েছে। এই অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোভিডের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে নেয়া হয়নি। বিরোধী দল সমূহের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ ও দমন করা জন্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘোলা রাখা যাবে, দোকান-পাট, শপিং মল খোলা রাখা যাবে। সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচী দীর্ঘায়িত করা যাবে সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আগরান্ত্রিক এবং দমন মূলক বলেই আমরা মনে করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।