কেন ইভিএমে বিএনপির ভয়, জানালেন তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল ও গোপনে সিল মারার অপসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার জন্যই ইভিএমকে ভয় পায় বিএনপি।

বুধবার (০৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড: ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: তাজুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বলেন, 'প্রথমত কেউ তো জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না, জোর করে কেউ ক্ষমতায় যেতেও পারে না। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তারা তো জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা ভাবেও না। যদিওবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। তিনি বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন এবং জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন। আমাদের সরকার জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আছে, পরপর তিনটি নির্বাচনে  জয়লাভ করেই আমরা সরকার গঠন করেছি।'

গত নির্বাচনে বিএনপি ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম সবাইকে নিয়ে জোট গঠন করেছিলো এবং বিএনপি পাঁচটি আসন পেয়েছিলো উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আর শুধু ইভিএম নয়, বিএনপি তো সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন বিনা পয়সায় সাবমেরিন কেবল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো আর তিনি বলেছিলেন এটি বসালে বাংলাদেশের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। এই বলে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যে সাবমেরিন কেবল পরবর্তীতে শতশত কোটি টাকা খরচ করে  আমাদের বসাতে হয়েছে।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'দুনিয়ার সমস্ত উন্নত দেশে ইভিএম বা ইলেক্ট্রনিক ভোটের মেশিনের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে যেমন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এমনকি মালয়েশিয়াতেও হয়। দুনিয়ার সব জায়গায় হয় আর আমাদের দেশে যখন আমাদের দল ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে, এটি আমরা না দিয়ে অন্য কেউ দিলে উনারা পছন্দ করতেন, আমার ধারণা। আমরা প্রস্তাব দেয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তার মানে উনারা চায় যে, ভোট কেন্দ্র দখল, সিলমারা, যেগুলো জিয়াউর রহমান সাহেব চালু করেছিলেন, সেই অপসংস্কৃতিটা থাকুক। সেই অপসংস্কৃতিকে যদি বন্ধ করতে হয়, ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু তারা এটাকে ভয় পায়।'

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

;

এই বাজেটের কারণে দারিদ্রের সংখ্যা বাড়বে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, এই বাজেটের কারণে দারিদ্রের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সাথে আছেন, তাদের দরিদ্র হবার আশঙ্কা রয়েছে। এই বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।

শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ এর পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরেছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টের হয়ে উঠবে। এই বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

তিনি বলেন, চাপিয়ে দিয়ে এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ, সম্পূর্ণ ঋণ নির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভ সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। আর, দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে, এতে মূল্যস্ফিতি আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানিনা।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

উত্তরা কালচারাল সোসাইটির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আইটিআই বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, উত্তরা কালচারাল সোসাইটির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল মাহমুদ ইয়ং। আলোচনা শেষে উত্তরা কালচারাল সোসাইটি এবং রাঙামাটির জুম কালচারাল সোসাইটির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

;

ভিসানীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন ভিসা নীতির সমালোচনা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, দুই দল এটাকে যেভাবেই নিক না কেন বাংলাদেশের জন্য এটা বড় লজ্জার। সার্বিকভাবে দেশের জন্য এটা অসম্মানের। সাধারণত যে দেশ ভিসা দেয় তার ইচ্ছামতই দিয়ে থাকে, এটাই বিধান। কিন্তু সেই বিধানটা বাংলাদেশের ওপর এরকম ঘোষণা করে যে এটা করলে ওটা হবে ওটা করলে ওটা হবে এটা আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। আমরা যে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, সেই রক্তের অবমূল্যায়ন হয়েছে। আমি আশা করব এটা দেশের মানুষও এটা বোঝার চেষ্টা করবেন।

শুক্রবার (২ জুন) সকালে গাজীপুর নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিতনগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার ভিসা-নীতির এই ঘোষণাকে কেউ একবার ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে জাতির, সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।

সম্মেলনে জেলা সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দেলোয়ার অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ (বীর প্রতীক) বক্তব্য দেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আব্দুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গাজীপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

 

;

এটা জনবান্ধবহীন বাজেট: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সমানে রেখে- নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেলো বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তব সম্মত মনে করছি না।

বৃহস্পতিবার (১ জুন ) বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের মেটাল গেটে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবন যাত্রা কঠিন হয়ে আছে এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। ডাইরেক্ট ট্যাক্সের পাশাপাশি সকল কিছুতেই ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিস পত্রের দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলবে। এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিলো তাই বেশি ছিলো। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সার্পোট দেয়া যেতো না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি ও বিদেশী ঋণ নির্ভর ছিলো, এটা এখন আরো বেড়েছে। তিনি বলেন, পরিচালন ব্যয় খুব সহজভাবে ব্যয় করা যাবে। যেখানে-সেখানে ব্যয় করা যাবে নিয়ে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে। উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। উন্নয়ন করে জনগণকে দেখানোর টেন্ডেন্সি অনেক কম। অর্থ দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নেয়ার কারণে যে শর্ত দেয়া হচ্ছে তাতে জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। আমার মনে হয়, এই বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে না বরং বাড়বে।

;