নির্বাচন পর্যন্ত আ. লীগ রাজপথ দখলে রাখবে: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসছে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ দখলে রাখবে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আজকে বিকেলে নয়াপল্টনে মিটিং করে বলেছেন, রাজপথ দখল করতে হবে। আমরা বলছি, এটি শোকের মাস। সেজন্য আমরা নানা কর্মসূচি পালন করছি। সেপ্টেম্বরে আমরা মাঠে নামবো। রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে।

তিনি বলেন, কোনও দুস্কৃতিকারীরাকে আমরা রাজপথ ইজারা দেইনি। বিএনপির ব্যানারে তারা আবার রাজপথ দখল করে মানুষের ওপরে পেট্রোল বোমা মারবে, সেটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতে দেবে না। আমরা রাজপথ দখলে রাখব আগামী মাস থেকে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন মানুষের ওপর হামলা করতে না পারে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথ দখলে রাখবো।

জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে মাঠ গরম করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যখন পৃথিবীতে স্থিতিশীলভাবে দাম কমবে, তখন বাংলাদেশেও কমবে। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারও মাঠ গরম করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, তেলের দাম ভারতে অনেক আগে বেড়েছে। ভারতের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক বড়। এরপরও তারা বেশ আগে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আমাদের সরকার তা করেনি। গত তিন মাসে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লোকসান করেছে। অব্যাহতভাবে তো চলতে পারে না। সে কারণে বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। আমরা দাম বৃদ্ধি করে ভারতের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। রিজার্ভ তো কমবে-বাড়বে। সব সময় কি বাড়বে? কোনো দেশে যদি তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। আমাদের কিন্তু প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। রিজার্ভের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে আমাদের অবস্থান ৪৫, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে আমাদের অবস্থান। অথচ আমাদের বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বা সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তারা কী বলেন! মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা নানা কথা বলেন।

দেশে এখন তিন ধরনের ‘বিশেষজ্ঞ’ আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা অনেক কথা বলেন। বাংলাদেশে তিন ধরনের বুদ্ধিজীবী আছেন। এক সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী, বিশেষ কারণে বুদ্ধিজীবী আর সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিজীবী। পড়েছেন আইন, উনি আবার পরিবেশ বিশেষজ্ঞ! পড়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান, উনি আবার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ! পড়ান পদার্থ, উনি আবার তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ! সব বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আছে। রাত ১২টার পর যখন টেলিভিশনের পর্দার সামনে বসবেন, তখন দেখবেন।’

তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রাইভেট টেলিভিশন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এসেছে। এখন প্রায় ৪০টার কাছাকাছি বেসরকারি টেলিভিশন। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। গত ১৩ বছরে ৩০টি টেলিভিশন সম্প্রচারে এসেছে। এই টেলিভিশনের পর্দায় যদি রাত ১২টার পরে বসেন এবং কিছু কিছু মানুষের বক্তব্য যদি শোনেন, মনে হবে বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে ১৩ ফুট নেমে গেছে। তাদের বক্তব্যে মনে হয়। আসলেই কি তাই?’

আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে যখন করোনা মহামারি দেখা দিল, তখন গবেষণার নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু কিছু রিপোর্ট সামনে আনা হলো। কোন গবেষণালব্ধ রিপোর্ট না। বিশেষ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলল, এই করোনায় দুই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হবে। কয়দিন আগে আইএমএফ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এক শতাংশ দরিদ্র কমেছে এবং অতিদরিদ্র মানুষের হার বাংলাদেশে ১১ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে এটা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এই করোনা মহামারির মধ্যেও যেখানে তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা ফতোয়া দিয়েছেন, বিভ্রান্ত করার জন্য বক্তব্য দিয়েছেন যে দারিদ্রতা বাড়বে, সেখানে কিন্তু দারিদ্রতা কমছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। এখন তিন হাজার ডলারের কাছাকাছি আমাদের মাথাপিছু আয়। এটাও আইএমএফের রিপোর্ট। অনেকেই বলেছিল, করোনার পর এই দেশে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। সবার ওপরে আমরা।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।

   

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তাদের বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমূণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি' বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

;

আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আ.লীগ- রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, সংসদীয় এলাকাগুলোতে ‘এমপি রাজ’ শুরু হয়েছে। এমপির ভাই, খালা মামাদের দিয়ে ‘এমপি রাজ’ চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাবদাহে নগরবাসীকে পানি বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবীর রিজভী এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন ‘সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী’, ‘গুণ্ডাদের মন্ত্রী’। তাই, বিএনপি কর্মসূচি দিলে পালটা কর্মসূচি দেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বিএনপির প্রোগ্রামের সঙ্গে মিল রেখে প্রোগ্রাম দেন? তিনি (ওবায়দুল কাদের) উত্তরে বললেন, বিএনপিকে মানসিক চাপে রাখতে নাকি কর্মসূচি দেন। আসলে যারা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’, তারাই এ সব কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব তো করে পাড়া-মহল্লার গুণ্ডারা। সন্ত্রাসী যারা, তারা।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণবিরোধী নীতি, গণবিরোধী প্রকল্প নিতে কখনো ভাবেন না। দেশে আজ চাল সংকট, আদা সংকট, পেঁয়াজ সংকট। এসবের পেছনে মূল কারণ শেখ হাসিনার গণবিরোধী প্রকল্প। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, শেখ হাসিনার ব্যর্থতা।

রাজনীতির প্রধান কাজ ‘সমাজ সেবা’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাবিশ্বের রাজনীতি একটি সমাজ সেবা কাজ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গণবিরোধী কাজের জন্য আমাদের সব সময় রাজপথে থাকতে হয়। এ জন্য আমরা সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।

এসময় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন রিজভী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাকশ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;