বিএনপি আন্দোলন করবে, আ.লীগ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজপথ কোন রাজনৈতিক দলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়, রাজপথ জনগণের। এই রাজপথ ঢাকাবাসীর। রাজপথ কোন দলকে ইজারা দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকলে রাজধানীর লালবাগস্থ নবাবগঞ্জ পার্কে আয়োজিত লালবাগ থানা এবং ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

‘রাজপথ এখন থেকে বিএনপির দখলে থাকবে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে আন্দোলন করুন। আন্দোলনের নামে কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আপনারা ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করবেন, আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবে, তা হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করার জন্য কিছু লোক নামিয়েছে। কারা কত দিন থাকে আমরাও দেখবো। গতবার নির্বাচনের সময়ে ২০ দলের অবস্থা ছিল জগাখিচুড়ি। এখন তাদের অবস্থা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন সাড়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো পিছু হটতে জানেন না, ভয় পান না। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। এরা জানে না তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন তাদের শেখ হাসিনা ছাড় দিবেন না। স্লোগান দিয়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, শক্তি প্রদর্শন করে নেতা হতে পারবেন না। যে যার এলাকায় জনপ্রিয় তিনিই নেতা হবেন।

লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তাফ জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

   

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ বিকেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশটি বিকাল ৩টায় শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। চিকিৎসা শেষে এদিন সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।

এ ছাড়া শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেবেন।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। প্রায় একই সময় থেকে শান্তি সমাবেশ করে আসছে আওয়ামী লীগ। তবে দলটির নেতাদের দাবি এগুলো পাল্টা কোন কর্মসূচি নয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে জনগণকে নিয়ে মাঠে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।

;

'বিএনপির আন্দোলন আ.লীগ সরকারকে পতন করতে পারবে না'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি এই আন্দোলন দিয়ে আ.লীগ সরকারকে পতন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩ এর প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানোর জন্য দেশি-বিদেশী নানা চক্রান্ত চলছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যে তো পিতার একটা দৃঢ়তা আছে। আমরা লক্ষ্য করছি একটা একটা করে বাধা তিনি কাটিয়ে আসছেন। বিএনপি যতই বলুক তারা আর পনেরো দিন পরে বিরামহীন আন্দোলন করবে, যা তারা গত ৭ বছর ধরে করছে, তা কখনো সফল হওয়ার নয়। কিন্তু এখনো তারা একথাটি কেন বলছে, তাদের কি লজ্জা করছে না? এই আন্দোলনে যে সরকার পতন হয় না, অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা যায় না, এটি তাদের বোঝা উচিত ছিল। সে কারণে কারো মধ্যে দ্বিধা রাখবেন না, সবাই জাগ্রত থাকবেন, শেখ হাসিনার ডাকে যা করণীয় করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র পোশাক শিল্প রপ্তানির উপর নির্ভরশীল না থেকে আরো অনন্ত ১০টি আইটেম রপ্তানি করার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে সরকার। বর্তমানে বাংলদেশ উন্নত বিশ্বেও ওষুধ রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ করছে, এখন হয়তো এই খাতটি বড় হয়নি তবে আগামীতে আরো অনেক বড় জাহাজ তৈরি করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্সিং খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে দেশে। রাজশাহীতে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনের উদ্বোধক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয় ব্যক্তি, মানুষ তাকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। রাজশাহী জেলা ও মহানগরে যারা নেতৃত্বে আসবেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। আমি বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন। বাংলার মানুষ মনে করে শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার।

এরআগে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। 

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি পদে মাহাবুব আলম (জি.পি.ও) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার আলী (রেলওয়ে) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সম্মেলনে সহ-সভাপতি পদে জহুরুল ইসলাম ও সেলিম রেজা বায়রুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আফজাল হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন খায়রুজ্জামান লিটন।

;

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মস‌জি‌দে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন ।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এখন প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাঠালে তাঁর জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। অথচ সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করছে।

এসময় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপ মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিপূর্ণ মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। তাকে গৃহবন্দি করে দেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে

দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমাৎসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মোঃ শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মোঃ আলী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন প্রমুখ।

;

‘নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না কিছু যায়-আসে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না এতে কিছুই যায়-আসে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ’র প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। এ নিয়ে বিএনপিকেও দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কিনা এমন প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যাই? যাই না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করলো না এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না আসলেও কোন অসুবিধা নাই। কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউ’র পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, এব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি কি আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে।

তিনি বলেন, দেশে এ ধরণের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দিবে না। সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

;