সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা: ঢাকা দক্ষিণ আ.লীগের সম্পাদক হুমায়ুনকে শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা, নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কম-কে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কর্মীদের গালিগালাজ ও সম্মেলনে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে সমাবেশ করার পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের লালবাগ থানা ইউনিটের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার পক্ষ।

এসময় বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ হুমায়ুন কবির ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেন বিশৃঙ্খলাকারীদের।

সম্মেলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মোট পাঁচ দফায় হাতাহাতি মারামারি হয়েছে।

মাইকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও থামেনি বিশৃঙ্খলা। রাজধানীর লালবাগেই বাড়ি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের।

এসময় বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, স্লোগান বন্ধ করো। স্লোগান বন্ধ কর 'শুয়োরের বাচ্চারা'।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মারামারি থামানোর জন্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মারামারি থামানোর জন্য আহ্বান করছি। বিশৃঙ্খলা করবেন না, বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থামুন আপনারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপনাদের মাঝে এসেছে, এর গুরুত্ব উপলব্ধি করুন আপনারা?

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, লাফালাফি, বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি অথচ শোডাউন দিয়ে শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছেন। আপনারা কেউ এমপি হতে পারবেন না, নেতা হতে পারবেন না।

এছাড়া পূর্ব নির্ধারিত চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ছিল শুক্রবার বিকাল ৩টায়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সেই সম্মেলন না করার জন্য বললেও না মেনে সম্মেলনস্থলে সমাবেশ করে চকবাজার থানার অন্তর্গত বিভিন্ন শাখা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

   

শারদা হলে সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর হামলা: সিলেট বিএনপির দুঃখ প্রকাশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নগরীর শারদা স্মৃতি ভবনের হলরুমে বিএনপির মিছিল থেকে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিএনপি।

বুধবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত নগরীর ক্বীনব্রিজ সংলগ্ন শারদা হলে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে এক বৈঠকে সিলেট বিএনপি নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করেন।

এসময় বিএনপির প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ। সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদসহ ২০ জনের একটি দল।

বৈঠকে শেষে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অবশ্যই দোষী। বিএনপি কখনো এরকম ঘটনা সমর্থন করে না। সিলেট বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা চাই যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তারা শাস্তি পাক।

তিনি বলেন, সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে বৈঠক করে যাতে এই ঘটনাটি সামাজিকভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি বিগত দিনের মতো আন্তরিক পরিবেশ রক্ষা করে একটি সুন্দর সামাধানে পৌঁছাতে পারব।  

এব্যাপারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, সিলেটের রাজনীতিবীদের আমরা সম্মান করি। বিএনপির পক্ষ থেকে যারা আজ এসেছিলেন তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আজ বৈঠকে বসেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। আমরা তাদের দুঃখ প্রকাশকে স্বাগত জানাই।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরের কিনব্রিজ এলাকার সারদা হলে বিএনপির রোডমার্চ ও সমাবেশে যোগ দিতে আসা কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে। হামলায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্তসহ অন্তত ১০ জন সংস্কৃতিকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার দুদিন পর রজতকান্তি গুপ্ত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও সিলাম টিলা পাড়া এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ হারুন মিয়া এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সালেহ আহমদ ওরফে আবু ছালেহকে মোগলাবাজার থানা পুলিশ আটক করে।

 

 

;

‘অক্টোবরে খেলা শুরু- নভেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তলে তলে আপস হয়ে গেছে: কাদের

তলে তলে আপস হয়ে গেছে: কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি, তলে তলে সব আপস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন হবে, খেলা হবে। অক্টোবর থেকে খেলা শুরু। আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। খালেদা জিয়া ছাড়া নাকি বিএনপি নির্বাচন করবে না, না করুক।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাভারের আমিন বাজারে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমাদের সঙ্গেও দিল্লি আছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব আমাদের। কারো সঙ্গে আওয়ামী লীগের শত্রুতা নেই। আর কোনো চিন্তা নাই।

আওয়ামী লীগ কখনো হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গেছে? কারণ আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না, বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে বলেই শেখ হাসিনাকে ২০ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের উন্নয়নে আস্থা রেখেছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া এ দেশের জনগণ আর কিছু চায় না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জরিপই বলছে শতকরা ৭০ জন মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।

নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের দম ফুরিয়ে গেছে, তারা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন যথাসময়েই নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির পরোয়া আমরা করি না।

এসময় তিনি দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের দামের কারণে কষ্টে আছে উল্লেখ করে বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি, এটা সারা দুনিয়াতেই বেশি। তবে নির্বাচনের আগে তা কমে আসবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

;

খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন। সেই চরম প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা পরায়ণ বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে। আর বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমান দম্ভ, অহমিকা, যে তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি। তার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিলো। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়ার আমলে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির কাছ থেকে কিছু কম্পিউটার কেনার চুক্তি হয়েছিলো, সেই কোম্পানির নাম কেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার কন্যা “টিউলিপ” নামের সাথে মিল, সে জন্য সেই চুক্তি তারা বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, জিয়াউর রহমানের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়াও তাদেরকে আবার পুনর্বাসিত করেছেন।

তিনি আরও, বেগম খালেদা জিয়া এতো প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, এতো জিঘাংসা দেখিয়েছেন কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নজিরবিহীন মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি কি তারা কখনো করতো’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

 

;

‘বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই। বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার যারা চিকিৎসকবৃন্দ আছেন তারা যদি মনে করেন তার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে তাহলে যেহেতু বেগম খালেদা দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি সেই হিসেবে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, জাতি খুব দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই সভা সামাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য আইনি যে প্রক্রিয়া সেটার মধ্যে যাচ্ছে না। এতে জাতির মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, চিকিৎসা করাতে চায় না।

বিএনপি ধরেই নিয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করলে রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়া যাবে। সে কারণেই তাদের এই প্রক্রিয়া। না হলে তারা এতোদিনে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতো, গেলে হয়তো একটা সমাধান আসতো।

হানিফ আরো বলেন, আমি আশা করি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সমাধান করবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, মার্কিন রাষ্টদূতের বিষয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে যে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এটা আমাদের জাতি অবশ্য জানে না। একজন রাষ্টদূতের পক্ষ হয়ে যখন একটি দলের মহাসচিব কথা বলেন, তখন জাতির মধ্যে এটা নিয়ে একটা সন্দেহ হয়।

বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু বিএনপি কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাটে নাই, যার কারণে তাদের কাছে এটা অসম্ভব বলেই মনে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই আছে যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করে, নির্বাচনে পরাজিত হবার পর একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলো ২০০১ সালে। আর বিএনপি তো নির্বাচনে কখনো বিশ্বাসী না। যার ফলে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এটা তাদের কাছে একটা কাল্পনিক ব্যাপার বলেই মনে হয়, তারা ভাবতেই পারে। কিন্তু এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব।

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক রাসেলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

;