আল্লাহ নিজের রহমতের চাদরে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে চলেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র ৭৬ তম শুভ জন্মদিন পালনে কৃষক লীগের আয়োজন

প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র ৭৬ তম শুভ জন্মদিন পালনে কৃষক লীগের আয়োজন

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার দূর হবে, আলোর বিচ্ছুরণ হবে, এই হল জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মের তাৎপর্য। নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমাদের একটাই স্বপ্ন এবং উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে এনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শূন্যতা পূরণ করব। বাঙালির বাঁধভাঙা কান্না এবং প্রকৃতির কান্নায় একাকার হয়ে ঝড় উঠেছিল জনমনে, পাগলে মত ছুটেছিল মানুষ সরকার-পুলিশ-বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীদের বাধা উপেক্ষা করে জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ, বিমান বন্দর থেকে সর্বত্র। আল্লাহ নিজের রহমতের চাদরে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করে চলেছেন। ২১ আগস্টসহ এখনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বুলেট-বোমা উপেক্ষা করে নেত্রীর সুরক্ষায় প্রাচীর হয়ে অবস্থান করছে।

শনিবার ( ১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র ৭৬ তম শুভ জন্মদিন পালনে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনা আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে জাগরিত করে নানা রকমের হামলা জয় করে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন করে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিএনপি-জামাত বাংলাদেশ কে পাকিস্তানী ভাবার্দশে একটি সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করতে চায়। পাকিস্তান প্রেমী মির্জা ফখরুল এবং তারেক জিয়া’রা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা ১৬ কোটি মানুষ এবং আওয়ামী লীগের সকল সংগঠনকে সাথে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করব।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, ১৯৮১ সালে কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যান, হাল ধরেন বাঙালি জাতির, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সহ তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেন এবং শিক্ষাঙ্গণকে সন্ত্রাস মুক্ত ও সেশনজট মুক্ত করে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেন। আজকের এই মঞ্চে নেত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে একটি কথাই বলব, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং  ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। কারণ তিনি সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

সভা সঞ্চলনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শরীফ আশরাফ আলী, আলহাজ্ব শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এস.এম আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা এমপি, কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, মোঃ আবুল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, এ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু,  অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, আইন সম্পাদক এ্যাড. জহির উদ্দিন লিমন, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

সভা শেষে  প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

   

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লক্ষ্য করে তাকে পেটানোর হুমকি দিয়ে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেইট থেকে তাকে গ্রেফতারের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হয়। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নরসিংদী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ও পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী ক্লাব লিমিটেড এর মিলনায়তনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) এর দেয়া বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেয়া হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের নৌকা প্রতীক বিজয়ের লক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না, নরসিংদী শহরে ও সদরের কোনো এলাকায় তাকে থাকতে দেয়া হবে না।’

ছাত্রলীগ নেতার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন।

এ ঘটনায় নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক।

মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে ডিবি পুলিশ হুমকি দেয়া ছাত্রলীগনেতা রিমনকে গ্রেফতার করে।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম জানান, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান দলের সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে শোকজ করেন। এতে আইন ভঙ্গের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে শোকজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

;

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এমপি দিদারুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম

বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম

  • Font increase
  • Font Decrease
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম।
 
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
 
দিদারুল আলম বলেন, দেশব্যাপী যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন, একইভাবে আমিও প্রতিনিধির মাধ্যমে একটি ফরম নিয়েছি। তবে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করলাম। দল যাকে নমিনেশন দিয়েছে আমিও তাকে বিজয়ী করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।
 
সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য আমার এ সিদ্ধান্ত।
 
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন।
 
এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।
;

আ.লীগের পক্ষ নেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করলেন রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারত সমর্থন দেয়ায় দেশটির কড়া সমালোচনা করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দুই দেশে তো গণতন্ত্র নেই। তারা কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। তারা কীভাবে গণতন্ত্রের ছবক দেয়?

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে রিজভী ভারতের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন।

গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে বাংলাদেশের সরকারকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রিজভী।

ভারতের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতীয় সমর্থন বিস্ময়কর ও বেমানান। ভারত সবসময় বাংলাদেশকে ঠকিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের (ভারতের) ন্যায্য পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলে, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলে, একচেটিয়া বাণিজ্য নিয়ে কথা বলে। যারা এসবের প্রতিবাদ করে তাদের প্রতি বৈরিভাব, আর যারা এসব বিষয় মেনে নেয় শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের প্রতি ভারত খুশি। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত চায়, তাদের ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’

এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ তারা সাপোর্ট করছে বিনা ভোটের একটা সরকারকে। তাদের কাছে গণতন্ত্র কোনো বিষয় না, বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এই দলের মাধ্যমে মোদি সরকার তার স্বার্থ হাসিল করতে পারছে। ফলে গণভিত্তি হারানো একটি রাজনৈতিক দলকে ভারত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব, তখন ১৫ বছর ধরে বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে থাকা শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের পক্ষে নেয়? তারা মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও মূলত জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

লোভে পড়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ তাদের বেইমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন দল থেকে ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে নির্বাচনের যেই ট্রেনে উঠেছেন, সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

‘দেশের মানুষের কথা শুনেন, মেনে নিন। না হলে পতন অনিবার্য’ বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।

;

‘১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান মুক্তিযোদ্ধা দিবসের স্বীকৃতি না পাওয়ায় আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমরা চাই ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস হোক। আমরা একদিন থাকব না। আমরা চলে গেলে আমাদের কথা সবাই মনে রাখবেন না। কিন্তু একটা দিবস যদি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া হয়, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ-অবদান পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে।’

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকার করেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আর জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। যারা জয় বাংলা স্লোগান দেয় না তারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না।

শাজাহান খান বলেন, '৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য কী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ভাষণ আবার রেডিও-টেলিভিশনে শোনানো হয়। এ প্রজন্ম আবার বঙ্গবন্ধুকে জানতে শুরু করে, তিনি কী ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী না করে আমরা বাড়ি ফিরব না। শেখ হাসিনা একা নন, সারা দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। আমাদের মাঠে থাকতে হবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে নিরাপদে যেতে পারেন। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে হবে। ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। 

;