জাপার নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদের সঙ্গে রয়েছেন: গোলাম মসীহ্



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাপার নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদের সঙ্গে রয়েছেন: গোলাম মসীহ্

জাপার নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদের সঙ্গে রয়েছেন: গোলাম মসীহ্

  • Font increase
  • Font Decrease
জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্য রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। রওশন এরশাদের ডাকা সম্মেলনে সকলেই থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন দশম জাতীয় সম্মেলনের সদস্য সচিব গোলাম মসীহ্ ।
 
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর ফারর্স হোটেলে জাতীয় পার্টির আসন্ন দশম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে  জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। রওশন এরশাদ বলেন, পায়ে সমস্যার কারনে ফিজিওথেরাপি নিচ্ছি। খুব শিগগিরই দেশে ফিরবো। পার্টি ঠিকমতো পরিচালিত হচ্ছে না। আমি এগারো মাসের মতো এখানে রয়েছি, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমাকে দল সংগঠিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। গত কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র বদলানো হয়েছে। পার্টিকে সংগঠিত করতে হবে, নতুন প্রজন্মকে জাতীয় পার্টিতে আনতে হবে। যারা নিস্কিয়ভাবে তাদেরকে সক্রিয় করতে হবে। আমরা যদি সকলেই মিলে পার্টির জন্য কাজ করতে পারি, তাহলে আগামীতে অনেক ভালো করবো আমরা। 
 
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম চলছে, আমরা ফাইভজি ব্যবহার করছি, তাহলে ইভিএম নয় কেনো। যারা নির্বাচনে হেরে যায় তারা বলে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। যারা বিজয়ী হয় তারা বলেন সুষ্ঠু হয়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
 
দশম জাতীয় সম্মেলনের সদস্য সচিব গোলাম মসীহ্ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, এরশাদের অবর্তমানে এই মুর্হূতে তাঁর প্রকৃত উত্তরসূরি বেগম রওশন এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রপতির সরকার পরিচালনার সফলতা ও উন্নয়ণমূলক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক আদর্শ বাঁচিয়ে রাখতে অবহেলিত, ত্যাগি ও নিঃস্ব নেতাকর্মীর আর্তনাদে সাড়া দিয়ে আজ আপনাদের সামনে।
 
তিনি বলেন, মাঠের আন্দোলন সংগ্রামে গণমাধ্যম যোদ্ধারা, দেশবাসির চাওয়া পাওয়া পুরণের লক্ষ্যে বেগম রওশন এরশাদের অভিভাবকত্বে নতুন পুরাতন, অবহেলিত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, বহিস্কৃত, নিস্ক্রিয়া ও অন্য দলে চলে যাওয়া সব নেতাকর্মীদের এক মঞ্চে একত্রিত করে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ডাকা হয়েছে দশম জাতীয় সম্মেলন। বেগম রওশন এরশাদ ঘোষিত ২৬ নভেম্বরের দশম জাতীয় সম্মেলন ও বিভিন্ন সময় তাঁর দেয়া বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে নানা রকম সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এমনও কথা বলা হয়েছে যে, এরশাদ পুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদসহ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বেগম রওশন এরশাদ জিম্মি করে রেখেছেন। ম্যাডাম নাকি চাপে পরে সম্মেলন ডেকেছেন বা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। বলা হয়েছে, ম্যাডাম নিজে তো কিছু বলছেন না। পার্টির অনেকে এমন প্রশ্ন তুলেছেন। শ্যোসাল মিডিয়ায় নানাভাবে সাদ এরশাদকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রল করা হয়েছে,পার্টি ও দলের বাইরে অনেক কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও মন্তব্য করেছেন, যা সামাজিক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এই সংবাদ সম্মেলন থেকে। 
 
তিনি বলেন, যারা নামে বেনামে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে নোংরা উপস্থাপনা বা স্ট্যাটাস অথবা মন্তব্য করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা অনেকে আমাদের সহকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, স্নেহ ভালবাসার মানুষ। তাই বলছি, নিরাপরাধ যে শিশুটি চারটি বছর জেল খেটেছে, যার এই দলটির জন্য শিশু জীবনের প্রথম চারটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হয়েছে, যে শিশুটির জন্য জেলে প্রয়োজনীয় দুধ সরবরাহ করা হয়নি, যাকে সঠিকভাবে একবেলার খাবার দেয়া হতো না, সেই পুত্র সাদ এরশাদকে নিয়ে কথা বলার আগে একবার নিজের চেহারাটা আয়নায় ভাল করে দেখুন, দলে আপনার কি অবদান আছে।
 
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দেলোয়ার খান, এসএমএম আলম, কাজী মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক এমপি অধ্যাপন নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এমএ গোফরান প্রমুখ।
   

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তাদের বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমূণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি' বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

;

আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আ.লীগ- রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, সংসদীয় এলাকাগুলোতে ‘এমপি রাজ’ শুরু হয়েছে। এমপির ভাই, খালা মামাদের দিয়ে ‘এমপি রাজ’ চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাবদাহে নগরবাসীকে পানি বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবীর রিজভী এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন ‘সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী’, ‘গুণ্ডাদের মন্ত্রী’। তাই, বিএনপি কর্মসূচি দিলে পালটা কর্মসূচি দেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বিএনপির প্রোগ্রামের সঙ্গে মিল রেখে প্রোগ্রাম দেন? তিনি (ওবায়দুল কাদের) উত্তরে বললেন, বিএনপিকে মানসিক চাপে রাখতে নাকি কর্মসূচি দেন। আসলে যারা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’, তারাই এ সব কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব তো করে পাড়া-মহল্লার গুণ্ডারা। সন্ত্রাসী যারা, তারা।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণবিরোধী নীতি, গণবিরোধী প্রকল্প নিতে কখনো ভাবেন না। দেশে আজ চাল সংকট, আদা সংকট, পেঁয়াজ সংকট। এসবের পেছনে মূল কারণ শেখ হাসিনার গণবিরোধী প্রকল্প। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, শেখ হাসিনার ব্যর্থতা।

রাজনীতির প্রধান কাজ ‘সমাজ সেবা’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাবিশ্বের রাজনীতি একটি সমাজ সেবা কাজ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গণবিরোধী কাজের জন্য আমাদের সব সময় রাজপথে থাকতে হয়। এ জন্য আমরা সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।

এসময় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন রিজভী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাকশ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;