শান্তিপূর্ণ নয় সন্ত্রাসী কার্যকলাপই বিএনপির উদ্দেশ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শান্তিপূর্ণ নয় সন্ত্রাসী কার্যকলাপই বিএনপির উদ্দেশ্য

শান্তিপূর্ণ নয় সন্ত্রাসী কার্যকলাপই বিএনপির উদ্দেশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ব‌লে‌ছেন, নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান এ সময় গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপি অফিস থেকে ১৫টি তাজা বোমা, ২ লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, 'দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং  যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনিভাবে যখন সমাবেশ করা হয়, তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বারংবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটি তো সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনী।'

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সবাই করতে পারে এবং সরকার যদি সহায়তা না করতো, নিরাপত্তা বিধান না করতো তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনও দেশের নয়টি জায়গায় বড় সমাবেশ করা সম্ভব হতো না উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশের সব কয়টি বিভাগীয় শহরে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে, সেখানে টুঁ শব্দটুকু হয়নি। যেখানে একটু হয়েছে, সেখানে তারা নিজেরা নিজেরা চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, মারামারি করেছে।

‘কিন্তু যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না' বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, '২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টাসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা ও প্রায় পাঁচশ' নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছিল। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাসহ শতশত মানুষকে আহত করা হয়েছিল। অথচ ১৪ বছর যাবৎ আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।'

মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, 'মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস তারা সবাই ২০১৩-১৪-১৫ সালে পাঁচশ' মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো, লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুম দাতা হিসেবে আসামী। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। আর গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটলো, পুলিশের ওপর হামলা করা হলো, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেলো। চট্রগ্রাম ঢাকাসহ সারা দেশে যে গাড়িতে আগুন দেয়া এবং ভাঙচুর। এগুলোর হুকুম দাতাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ও মির্জা আব্বাস। তাদের নেতৃতত্বে এগুলো হয়েছে। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন যারা বসা ছিল সবাই তো অপরাধী, তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিল? এ সব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।'

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্তার প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৭ তারিখের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ তো বিএনপি অফিসে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বোমা বানিয়েছিল, বানানোর টাকা কারা দিয়েছিল, পুলিশের উপর কিভাবে হামলা করেছিল। এগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে, পুলিশের কোনো ভুল থাকলে সেটাও তদন্তে বেরিয়ে অসবে। সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করেছে সেই কারণেই বিএনপি সারা দেশে নয়টি বড় সমাবেশ করতে পেরেছে এবং ঢাকায়ও যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও বিকল্প চারটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পার্টি অফিসে বোমা রাখা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল মারা, হামলা করা, বেআইনীভাবে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা এগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়।'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, 'সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল। সেটি যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সেটার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং করছে, মামলাও পরিচালিত হচ্ছে, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে, এখানেও ৭ তারিখের ঘটনা তার সাথে তুলনীয় যে, এটাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।'

এ সময় কিছু গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলা। একপেশে সংবাদ পরিবেশন গণমাধ্যমের কাজ নয। সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়। কোনো গণমাধ্যমেরই রাজনীতি করা সমীচীন নয়।'

   

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী উপহার দিলো যুবলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রায় তিন শতাধিক অসহায় দুস্থ মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেয় এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ যুব সংগঠনটি।

ইফতার সামগ্রীর আওতায় চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য দেওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।

রিকশাচালক আতিয়ার হোসেন বলেন, ইফতার বলতে সবাই তো মুড়ি, চিড়া, বুট দেয়, খাবার দেয়। এনারা তো তেল চিনি দিয়েছে, ভালোই হয়েছে কদিন ভালোই চলবে।

হুমায়রা বেগম নামের একজন বলেন, আমরা বসা মাত্র চেয়ারে প্যাকেট দিয়েছে। কোন ঝামেলা নেই। ভালো পেয়েছি। অনেক খুশি আমরা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মাস ব্যাপি ইফতার সামগী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ম. রাজ্জাক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ম. আব্দুর রাজ্জাক

ম. আব্দুর রাজ্জাক

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করায় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দফতর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ১৮ মার্চ রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করেন। তার অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ম. আব্দুর রাজ্জাক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ছাত্র জীবনে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডাকসুর সদস্য ছিলেন।

আরও জানানো হয়, রাজ্জাক ২০০৩ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠিত হলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের পুনরায় সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমান কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সদস্য।

;

সাকিব নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর হাফিজ বলেছেন, বিএনএমের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, বিএনএম’কে জড়িয়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বনানীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নানাভাবে মানুষজন বিএনএমে যুক্ত হওয়ার কথা আমার কাছে জানান। আমি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং তা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দুই মাস আগেই জানিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি এক সময় ক্রীড়াবিদ ছিলাম। পাকিস্তান আমলে একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় ছিলাম। ১শ থেকে ২শ মিটার দৌড়ে দ্রুততম ব্যক্তি ছিলাম। সাবেক ক্রীড়াবিদ হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সাকিব আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে। আমি তাকে নিরুৎসাহিত করেছি।

বিএনএম সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনএম কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সৃষ্টি। তারা আমার পূর্ব পরিচিত। আমার দলের (বিএনপি) বিভিন্ন বিষয়ে আমার দ্বিমত ছিল। এটাতে অনেকেই ভেবেছেন, আমি দল ত্যাগ করবো। সেজন্য তারা আমাকে ‘অফার’ (প্রস্তাব) করে বিএনএমে যোগ দিতে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে সরকার নিজের ফায়দা লুটতে আমাকে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা যে সব পত্রিকা এসব লিখছে, তারা সরকারের মদতপুষ্ট হয়ে এসব করছে।

মেজর হাফিজ বলেন, দেশে অরাজকতা চলছে। দেশ দুর্নীতির স্বর্গ হয়েছে। ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি হয়েছে। এসব তো কোনো পত্রিকায় দেখি না। যারা আমেরিকা, কানাডায় বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন, সেসব খবর তো পত্রিকায় আসে না। আমাকে হেয় করতে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হেয় করতে, এসব সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ৩২ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছয়বার এমপি হয়েছি। দুইবার মন্ত্রী ছিলাম। আর কী প্রয়োজন আমার! আমি মানুষের সেবা করেছি। পথে-ঘাটে মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছি। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

আক্ষেপ করে মেজর হাফিজ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ৮০ বছর বয়সে এসে আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র নতুন দলে যোগ দেইনি বলে। এসব তো আগেই ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছি। এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি খুব মর্মাহত সাকিবকে নিয়ে আমার নামে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা নিয়ে!

এসময় মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আগেই কথা হয়েছে এবং নিজের অবস্থান দলের কাছে ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

;

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলোতে আমরা সম্মেলনের চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রিপোর্টের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরটাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্র যে 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ)..., 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিতপ্রায় রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন, আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এইটা কোন নির্বাচন!

তিনি বলেন, জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনকে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি বলা হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী, সেটা বোঝা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর 'ডিক্টেটরশিপ' (স্বৈরতন্ত্র) এবং তাদের 'সিবলিংস' (স্বজন) এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ২১ বছর ধরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;