বিএনপির সঙ্গে একই দিনে গণমিছিলের ঘোষণা জামায়াতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই একই দিনে একই কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে ১০ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের প্রচার বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডা. শফিক বলেন, গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জনগণের অধিকার বাস্তবায়ন করতে গেলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। আদালতে ন্যায় বিচারের পরিবেশ নেই।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশকে আজ ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এজন্য অবিলম্বে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

জামায়াতের ১০ দফা দাবি হচ্ছে-

>> অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ এবং ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ এর আলোকে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন করতে হবে।

>> গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করতে হবে।

>> বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর মুক্তি।

>> অবিলম্বে জামায়াতের অফিস খুলে দেওয়া, নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়া এবং সভা-সমাবেশ ও মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

>> ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ বাতিল।

>> বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

>> গত ১৫ বছরব্যাপী বিদেশে অর্থপাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে।

>> গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন বন্ধ ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারের ব্যবস্থা করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

>> আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

>> সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতিকে দ্বিধা-বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সেলিম উদ্দিন।

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। অব্যাহতভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দারিদ্র্যতা কমছে, দেশের সমৃদ্ধির সঙ্গে সব মানুষের সমৃদ্ধি এবং স্বচ্ছলতা এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকের পছন্দ হয় না।’

শুক্রবার চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনীতিকদের আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো সমীচীন নয়। প্রয়োজনে কূটনীতিকদের আচরণ সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের বাজেটের জন্য ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারও দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হয় না। বরং আমাদের সাহায্য দেওয়ার জন্য তারা অর্থের ঝুলি নিয়ে আমাদের কাছে আসে এখন। আমাদের খাটো করার সময় চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ করোনা মহামারি এবং বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, অর্থনীতিক সমৃদ্ধি যেভাবে অব্যাহত আছে, এটি পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রশংসা করছে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে তারা বলেছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং করোনার মধ্যেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কারণে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনা জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদের মতো নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ব্লুমবার্গ এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যেভাবে তিনি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন, সেই কারণেই তিনি চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

;

‘আওয়ামী লীগ কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না’



মো আরমান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন আমরা তো অবশ্যই চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক, আওয়ামী লীগ তো কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ধানমন্ডিতে তার নিজের বাসায় বার্তা২৪.কমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ কিন্তু বন্দুকের নলের মধ্যে ক্ষমতা দখল করে গঠিত হওয়া কোন রাজনৈতিক দল না উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমরা তো ক্ষমতার বাইরে থেকে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি, কি রকম ক্ষমতার বাইরে? তখন মুসলিম লীগ ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতায়, মুসলিম লীগ কারা করতেন? এই সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিজাত জোতদার তারাই, তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু প্রজাদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন নাম দিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই প্রজাদেরকেই বঙ্গবন্ধু পরবর্তীতে তাদের অধিকার আদায়ের মাধ্যমে রাজায় পরিণত করে সেই তথাকথিত সামন্ত প্রভুদের ভৃত্য বানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সত্যিকারের দল। সুতরাং আমি মনে করি বিএনপি যদি মনে করে তারা মানুষের ওই আস্থার জায়গায় আছে তাহলে তারা নির্বাচনে আসুক, এটা ভাবার কোন কারণ নাই যে ওরা আসলে আমরা ভয় পাবো।

২০০৮ সালের ইলেকশন তো আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে হয়নি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত এক ছিল এবং জামায়াতের নেতা যারা মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হয়েছে ফাঁসিতে ঝুলেছে তারাও জীবিত ছিল তাওতো আওয়ামী লীগ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটকে সাথে নিয়ে ৩০০ আসনে ২৬২ আসনে জয়লাভ করেছিল। তারা পেয়েছে মাত্র ২৯টা আসন জামায়াত পেয়েছিল দুটি আসন। তাহলে সে আওয়ামী লীগ আজকে গত ১৪ বছরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কৃষি সামাজিক সূচক প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূত-পূর্ব উন্নয়ন করার পরে আমরা তাদেরকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। বরং আমি মনে করি আমরা আরো ভালো রেজাল্ট করব।

মানুষের দুঃখে ছিলাম সুখে ছিলাম সাথে ছিলাম উল্লেখ করে দলের সাবেক এই প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আমরা বাংলাদেশটাকে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নেই না বাংলাদেশের ইকোনমি থেকে শুরু করে ধরুন ২০০৯ সালের আগে শুধু ৪১ ভাগ মানুষই বিদ্যুতের আওতায় ছিল এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আছে। যদিও বা শতভাগ মানুষ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না মাঝে মাঝে একটু লোডশেডিং হচ্ছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে

একসময় এ দেশের সন্তানদের গার্ডিয়ানরা তাদের স্কুলে পাঠাতো না বই কেনার টাকার অভাবে এখন কিন্তু সে জায়গায় বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে এবং উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে কোন সন্তানকে তার স্কুলে গেলে চিন্তা করতে হচ্ছে না। যে কারণে শিক্ষিতের হার আজকে ৭৪ ভাগ। 

দেশের সাধারণ মানুষের জীবন মানের লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, এক সময় আমাদের সোসাইটিতে যারা একটু নিম্নবিত্ত তাদের মায়েরা ছিল পরিবারের বোঝা, কারণ তারা নিজেরাই নুন আনতে পান্তা ফুরায় নিজের বউ-বাচ্চাকেই পেটে খাবার দিতে পারে না মাকে কোথায় থেকে দিবে? বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই অবহেলিত মায়েদের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা নানা সোশ্যাল সেফটিনেস এর মাধ্যমে তাদেরকে এই সমাজের সম্পদে পরিণত করেছে। কারণ ওরা যখন সোশ্যাল ভাতাটা পায় ওরা কিন্তু ওই টাকা দিয়ে স্নো পাউডারও কেনে না, সিনেমা দেখতেও যায় না । তারা চিন্তা করে আমি টাকা দিয়ে কি করব? তারা ওই টাকা দিয়ে একটি মুরগি কিনছে, সে মুরগি বাচ্চা দিচ্ছে, একটা খাসি কিনতেছে ওই ছাগল আরেকটা ছাগল বাচ্চা দিচ্ছে, ওর মধ্যে একটা আর্থিক স্বচ্ছলতা আসছে, বরং কি সে আমাদের সমাজে একটা সম্পদে পরিণত হচ্ছে, তার যে সন্তান আগে নিজের সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য মাকে অবহেলা করত সে সন্তান মনে করে যে না আমার মায়ের সাথে একটু খাতির করলে আমার মায়ের তো একটা মুরগির ডিম আমার ছেলেকে দিত তাহলে আমার ছেলে পুষ্টি পাবে এভাবে কিন্তু সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে। এই মানুষগুলো কিন্তু অকৃতজ্ঞ নয় দেশের মানুষ।

দ্রব্যমূল্যের বর্তমান চিত্র আরও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে আশা রেখে তিনি বলেন, শহরে থেকে অনেক কথা বলা যায়, আপনি স্বপ্নতে গিয়ে, মিনা বাজারে গিয়ে বাজার দর যাচাই করেন আর বাস্তবে বাজার দর যাচাই করেন ভিন্ন একটা চিত্র পাবেন। আমি বলছি না আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি। বিশ্বব্যাপী নানা সমস্যায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

দেশের মানুষ অকৃতজ্ঞ নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমি কখনোই এই দেশের মানুষকে অকৃতজ্ঞ মনে করি না। এই দেশের মানুষ অকৃতজ্ঞ হলে ৭৫ এর পরে বঙ্গবন্ধু একটা নিষিদ্ধ নাম ছিল সরকারি জায়গায় ১৯৯৬ সালে এদেশের মানুষ আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে ভোট দিয়েছে। কেন? বঙ্গবন্ধুর জন্যই। এটা কেন? যেহেতু এদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ছিলেন। ঠিক তাঁর মত তাঁর কন্যা এদেশের মানুষের জন্য করে যাচ্ছেন, সুতরাং আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে এই মানুষগুলো শেখ হাসিনার প্রতি, শেখ হাসিনার দয়ার প্রতি, ভালোবাসার প্রতি, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ঋণশোধ করবে।

এসময় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য আওয়ামী লীগ মোটেই চিন্তিত না বলেও জানান তিনি।

;

যৌথসভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলের সভাপতিমন্ডলী, সম্পাদকমন্ডলী ও সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের যৌথসভা আহবান করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) আওয়ামী লীগ দপ্তরসম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ১ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী, সম্পাদকমন্ডলী ও সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

;

বিদেশে টাকা পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাপার বনানী কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের

জাপার বনানী কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, লুটপাট এবং বিদেশে টাকা পাচারের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষের হাতে টাকা নেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাপার বনানী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন ।

রমজানের আগে থেকেই দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজার উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষ পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন বাস্তবতায়, দেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে রেশনিং এর মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না সরকার। দেশের মানুষের কষ্ট দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। গণমানুষের কল্যাণেই আমাদের রাজনীতি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব, গোলাম মেহাম্মদ রাজু, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পাদক সারা শাওলিন দিশা, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীন আরা সুলতানা রিমা প্রমুখ ।

;