শেখ হাসিনা যা বলেন, সেটি বাস্তবায়ন করেন: লিটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, যার সুফল মানুষ পাচ্ছেন। দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে, তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা যা বলেন, সেটি বাস্তবায়ন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এই বছরটি উদ্বোধনের বছর। একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলও উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হবে এই বছরেই।

রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর সকল উন্নয়নের অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়নে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীকে সাজানো হচ্ছে। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। নগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বিকেএসপিসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। এভাবেই রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে।

মেয়র বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সভা-সমাবেশ ও প্রচার মিছিল করা হয়েছে। সব জায়গায় আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ হবে, মানুষের কাছে জনসভাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রোজেটি নাজনীন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুনবী নবী অনুসহ সভায় বিভিন্ন পেশাজীবী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিদেশে টাকা পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাপার বনানী কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের

জাপার বনানী কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, লুটপাট এবং বিদেশে টাকা পাচারের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষের হাতে টাকা নেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাপার বনানী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন ।

রমজানের আগে থেকেই দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজার উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষ পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন বাস্তবতায়, দেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে রেশনিং এর মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশের মানুষের কষ্ট বোঝে না সরকার। দেশের মানুষের কষ্ট দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। গণমানুষের কল্যাণেই আমাদের রাজনীতি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব, গোলাম মেহাম্মদ রাজু, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পাদক সারা শাওলিন দিশা, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীন আরা সুলতানা রিমা প্রমুখ ।

;

‘দুঃসহ ইতিহাস আড়ালের জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুলরা তাদের সময়ের দুঃসহ ইতিহাস আড়াল করার জন্যই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুরভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বিএনপি কখনো এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, প্রকৃতপক্ষে তাদের মানসিকতা এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি! যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরবচ্ছিন্নভাবে এ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় এক বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত সক্ষমতার কারণেই দেশে কেউ আর না খেয়ে দিনাতিপাত করে না। অথচ বিএনপির সময় দেশের অবস্থা কী ছিল? মির্জা ফখরুল কী ভুলে গেছেন? তাদের শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গাপীড়িত মানুষ না খেতে পেয়ে কীভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে! বঙ্গবন্ধুকন্যার বহুমাত্রিক পদক্ষেপের ফলে দুর্বিষহ ক্ষুধার সেই অভিশপ্ত অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাতের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশি^ক অর্থনীতি একটি গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রকোপে সারা পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের জনগণও কিছুটা কষ্টে আছে। মানুষের এই কষ্ট লাঘবের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের জনবান্ধব ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার যখন বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, তখনই সঙ্কটকে পুঁজি করে কতিপয় চিহ্নিত মহল সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধবিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সকল সঙ্কটে ও দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।

;

বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতার আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সম্মানে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে দলটি।

জানা গেছে, আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ, দলের সিনিয়র নেতারা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাবেক রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত থাকবেন। তারা কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করবেন।

;

এক-এগারোর কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা এবং বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এই সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে প্রয়াত জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। সংকটকালে ধৈর্য্যশীল ও অবিচল থেকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার শিক্ষা জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি। দেশের ইতিহাসে, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ভালো মানুষ এবং অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরণের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে, নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নাই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে তারা সিট পেয়েছিল ২৯টা। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে, ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেও মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল মাত্র ৭টি। আর গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে যে আবার নির্বাচিত করবে এবং বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির কারণে মানুষ যে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেটিও তারা অনুধাবন করতে পেরেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই এক জোট হয়ে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে, কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে অনুষ্ঠিত হবে। সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তার বক্তৃতায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তানিয়া রহমান তার প্রয়াত পিতার আত্মার শান্তির জন্য সকলকে প্রার্থনার আবেদন জানান। জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দীন পাঠানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, এডভোকেট এ বি এম বায়েজিদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ সভায় বক্তব্য দেন।

;