বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক বিকেলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক আজ শুক্রবার। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এই বৈঠকে আগামী দিনে আন্দোলন জোরদার ও বিএনপির ২৭ দফা ও মঞ্চের ১৪ দফা নিয়ে সমন্বয় করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, শুক্রবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কালকের বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা ও বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা সমন্বয় করে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলো একটি ইশতেহার তৈরি করবে।

এবিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটি ও গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে শুক্রবার বিকাল ৪টা গুলশান চেয়ারপারসন অফিসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক করবেন।

বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে পুরো মুভমেন্টের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করবেন দুই পক্ষের নেতারা। বিশেষ করে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উপস্থিতিতে বৈঠক নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শুক্রবারের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। প্রথমবার বিএনপির মহাসচিবসহ মিটিং হবে। এতে বিশেষ মনোযোগ আছে। ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা, যুগপৎ আন্দোলন কীভাবে সমন্বয় হবে, সবাইকে রাজপথে কীভাবে নামানো যেতে পারে, সমাজের অন্যদের অংশের মানুষকেও কীভাবে যুক্ত করবো, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ

বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

দলটির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগেও শওকত মাহমুদকে দুবার শোকজ করেছিল বিএনপি। এবার তাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

২০১৬ সালে ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছিলেন শওকত মাহমুদ। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রেও ত্রুটি আছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের ত্রুটি দেশে দেশে আছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের ত্রুটি দেশে দেশে আছে

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি- মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এমন প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের ত্রুটি দেশে দেশে আছে। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের দেশেও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্প আজ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি। অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার আগে নিজেদের কথা বলুন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বংশাল থানা ও কোতয়ালী থানার অন্তর্গত ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৬নং ওয়ার্ড এর ইউনিট সমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্নে হচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত। আমরাও সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে স্পিকার নির্বাচিত করতেও ১৫ বার ভোট করতে হয়েছে। গণতন্ত্র কোথাও ত্রুটিমুক্ত নয়।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজেদের ভেতরের চিত্র দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিমাসে ৩-৪টি ম্যাস শুটিং হয়। কত শিশু, মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এসব ম্যাস গান শুটিং কি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত নয়?

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এখনো বলে ভোট চুরি হয়েছে। ভোট চুরির অপবাদ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এখনো দিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের পারফেক্ট বলছি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ত্রুটিমুক্ত করছি। শেখ হাসিনা আইন করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। তবে অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজেদের সমালোচনা আগে করুন। সেটাই হবে যথার্থ।

বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশে আমরা বাধা দিয়েছি এমন একটা উদাহরণও আছে? তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে কেন অবান্তর অভিযোগ? এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্র নেতার নাম শেখ হাসিনা। বেগম জিয়া তুচ্ছ করে বলেছিলেন শেখ হাসিনা একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আজ বেগম জিয়া কোথায় আর শেখ হাসিনা কোথায়। আল্লাহ যাকে বাঁচায়, মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকে সরানো যায় না।

তিনি বলেন, জনতার চোখে শেখ হাসিনা নয়নের মণি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো এতো কাজ আর উন্নয়ন কেউ করত পারেনি। গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশে একজন সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। প্রশাসনের সবচেয়ে দক্ষ নেতা, সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম ও সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, এ জনপ্রিয়তাই শেখ হাসিনার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রিয়তার জন্য তিনি বাংলাদেশের শত্রুদের টার্গেট হয়েছেন। তারা জানে নির্বাচন হলে হারানো যাবে না। শেখ হাসিনা সুুষ্ঠু নির্বাচনে হারবেন না। সেজন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।

;

‘১/১১-এর সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেওয়া হবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যার বেসাতি ছাড়া বিএনপির কাছে আর কোন কিছু নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ওরা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখে আবার এক/এগারোর সরকার কায়েম করবে। এক/এগারোর সরকার বাংলার একটি মানুষ জীবিত থাকতে আর কায়েম হতে দেওয়া হবে না। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে মির্জা ফখরুল সাহেব তার ফল শুভ হবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেৃতত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন যুক্তিতে চান? আপনাদের নেতা আপনাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল নিরপেক্ষ বলতে কেউ নেই। এক পাগল আর শিশু হল নিরপেক্ষ। তাহলে আপনারা নিরপেক্ষ সরকার চান তাহলে আপনাদের ম্যাডামের ভাষায় মির্জা ফখরুল আপনারা নয় শিশু, নয় পাগল। আসলে ওরা (বিএনপি) দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না বলেও জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা শত্রু-মিত্রের তালিকা করতে পারি নাই বলে শত্রু সেদিন ঘাপটি মেরে বসেছিল। আমরা মোশতাক-জিয়াদের তালিকা করে কবর রচনা করতে পারি নাই বলেই সেদিন মোশতাক-জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজকের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেই প্রেতাত্মারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলে অভিযোগ করেন নানক।

আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে যুব মহিলা লীগের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সেকথা কি ভুলে গেছেন মির্জা ফখরুল সাহেব? মেয়েদের ব্লাইজ ছিঁড়ে দিয়েছেন, আমাদের মেয়েদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। আপনাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে। আর আজকে আন্দোলন করেন, সমাবেশ করেন, মহাসমাবেশ করেন তারপরও বলেন গণতন্ত্র নাই? কথা বলার অধিকার নাই? কি অধিকার আর চান?

যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেউজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

;

নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই তাদেরকে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। এ কারণে তারা নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।’

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের ‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ভীতি পাওয়া স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মহিলা আসনসহ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। তারা তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটি জানে, সে জন্য তাদেরকে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্যান্য সমস্ত গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মির্জা সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে মির্জা ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন, এ জন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে, এছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সাথে মারামারি করে। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি বজায় থাকে সে জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।’

এর আগে সেমিনারের বিষয় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইন রক্ষাকারীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসাথে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।’

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডিভালপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি (Nabeel Tirmazi), এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নওয়াজ ও সেমিনার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদিক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইবিডি’র সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০জন সাংবাদিক অংশ নেন।

;