দেশব্যাপী বিএনপির এক ঘণ্টার মানববন্ধন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে মহানগর ও জেলা শহরে আজ শনিবার (১১ মার্চ) এক ঘণ্টার মানববন্ধন করবে বিএনপি। বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের দশম কর্মসূচি হিসেবে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত মানববন্ধন হবে। মহানগর উত্তর বিএনপি আবদুল্লাহপুর (টঙ্গী ব্রিজ), বিমানবন্দর, যমুনা ফিউচার পার্ক, বাড্ডা, রামপুরা আবুল হোটেল, মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত এবং দক্ষিণ বিএনপি মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক, টিকাটুলী, যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মানববন্ধন করবে।

এদিকে রমজানের আগে এই কর্মসূচিতে ব্যাপক শোডাউনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দিতে চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। প্রতিটি মানববন্ধনে দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধান অতিথি থাকবেন। কোন জেলা-মহানগরে কোন নেতা থাকবেন, এরই মধ্যে তার তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, উত্তরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা জেলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জে আব্দুল মঈন খান, গাজীপুরে অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, টাঙ্গাইলে আহমেদ আযম খান, মুন্সীগঞ্জে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় আতাউর রহমান ঢালী, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে শিরিন সুলতানা, গাজীপুর মহানগরে আবদুস সালাম আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বরকত উল্লাহ বুলু, কুমিল্লা দক্ষিণে জয়নুল আবদিন ফারুক, কুমিল্লা উত্তর জেলায় মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগরে রাশেদা বেগম হীরা, চাঁদপুরে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কিশোরগঞ্জে ফজলুর রহমান, জামালপুরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনায় ডা. দেওয়ান সালাউদ্দীন, ময়মনসিংহ দক্ষিণে নীলুফার চৌধুরী মনি, ময়মনসিংহ উত্তরে হেলেন জেরিন খান, শেরপুরে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ময়মনসিংহ মহানগরে ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কক্সবাজারে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মহানগরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আব্দুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম উত্তরে মীর মো. নাসির উদ্দিন, নোয়াখালীতে মো. শাহজাহান, খাগড়াছড়িতে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ফেনীতে মাহবুবের রহমান শামীম, লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বান্দরবানে বেলাল আহমেদ, রাঙামাটিতে জালাল উদ্দীন মজুমদার, বরিশাল মহানগরে বেগম সেলিমা রহমান, ভোলায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঝালকাঠিতে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পিরোজপুরে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বরিশাল উত্তরে মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল দক্ষিণে বিলকিস জাহান শিরিন, পটুয়াখালীতে এবিএম মোশাররফ হোসেন, বরগুনায় আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, বগুড়ায় মিজানুর রহমান মিনু, পাবনায় হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী মহানগরে অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, সিরাজগঞ্জে আব্দুল মান্নান তালুকদার, নওগাঁয় হারুন-অর-রশিদ, নাটোরে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী জেলায় মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সৈয়দ শাহীন শওকত, জয়পুরহাটে ওবায়দুর রহমান চন্দন, ঠাকুরগাঁওয়ে আসাদুজ্জামান রিপন, রংপুর মহানগরে আব্দুল হাই সিকদার, দিনাজপুরে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, লালমনিরহাটে আসাদুল হাবিব দুলু, পঞ্চগড়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, রংপুর জেলায় সামসুজ্জোহা খান, কুড়িগ্রামে আনিসুজ্জামান বাবু, নীলফামারীতে আব্দুল খালেক, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলায় শফিকুল হক মিলন, গাইবান্ধায় সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রাজবাড়ীতে জহুরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া, মাদারীপুরে শামা ওবায়েদ, ফরিদপুরে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মাগুরায় শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা মহানগরে নিতাই রায় চৌধুরী, সাতক্ষীরায় মামুন আহমেদ, যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চুয়াডাঙ্গায় অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, খুলনা জেলায় আজিজুল বারী হেলাল, কুষ্টিয়ায় মো. হারুন অর রশিদ (ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক), ঝিনাইদহে জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বাগেরহাটে অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নড়াইলে এমএ মালেক, মেহেরপুরে আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সুনামগঞ্জে ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগরে খন্দকার আবদুল মোক্তাদির, সিলেট জেলায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেল আলাল, হবিগঞ্জে আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজারে ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন প্রধান অতিথি থাকবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ব্যতীত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সব নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবেন। বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।

মানববন্ধনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান কালবেলাকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। এ বিষয়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আশা করি, সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবেন।

   

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;