আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের

আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমাদের বলা হয়, আপনারা আরও সংগঠিত হন, আপনাদের আরও বেশি সিট দিবে। কে দিবে? আওয়ামী লীগ দিবে? জনগণ ভোট দেবে না? আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীরা সিট দিতে পারে তাহলে নির্বাচনের দরকার কী?

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় পার্টি ঢাকা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির মাঠে কথা আছে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে বিভিন্ন নামে কিছু সিট দিবে। আমাদেরও কিছু সিট দিবে। তাহলে ঘোষণা দিয়ে দেন কে কে পাশ করেছে। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করছে আওয়ামী লীগ কোন কোন সিট দিবে আপনাদের? নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে জনগণ ঠিক করবে কে হবেন তাদের প্রতিনিধি। যদি আওয়ামী লীগই জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেন তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন কেন? আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। আইনগতভাবে বাকশাল করা হয়েছিলো। এখন আইনগত ভাবে না করলেও বাকশালের আদলে “আওয়ামী লীগ প্লাস” তৈরী করা হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য আর তাদের সৌভাগ্য হলে আগামী নির্বাচনের পর বাকশালের নাম হবে ”আওয়ামী লীগ প্লাস”।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে এখন যোগ দিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তারা একটা নতুন দল হয়েছে ”আওয়ামী লীগ প্লাস” সবাই যেনো এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। সবাই এখন আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। পার্লামেন্টও এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ হয়েছে। বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ বানানোর চেষ্টা চলছে। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, এক প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছি। প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তিনি বলেন, সারাদেশ গরমে পুড়ছে, সরকারের খবর নেই। সরকার ভাবছে দেশের মানুষ মরণের পরে সবাই দোজখে যাবে। তাই দেশের মানুষকে এই গরমে প্রাকটিস করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরী করে রেখেছে। তারপরও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না কেন? আসলে তারা আমাদের বিদ্যুত দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করেননি। তারা লুটপাটের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করেছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। সরকার এখন গ্যাস কিনতে পারছে না, কয়লা কিনতে পারছে না, তেল কিনতে পারছে না টাকার অভাবে। এদেশের গরিব মানুষও বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখেনি তাহলে সরকার কয়লা কিনতে পারবে না কেন? হাসি হাসি মুখে তারা বলেন, কয়লা কিনতে আরো দেড় মাস লাগবে। তাহলে আপনারাও আমাদের সাথে আসুন, আপনারাও থাকুন আমাদের সাথে দোজখের আগুনে। সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। টেন্ডার ছাড়াই কাজ দেয়া হয়েছে বিদ্যুত খাতে। রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে ঋণ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ১ হাজার কোটি টাকার স্টিমেটের প্লান্টের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র ৩ শো কোটি টাকা। প্রকল্পে ৭ থেকে ৮ শো কোটি টাকা ঋণ করে বাকি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তাই এক শ্রেণীর মানুষ দেশে টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। দেশের মানুষ যেনো নরকে বাস করছে।

তিনি বলেন, রুপপুর পাওয়ার প্লান্ট রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছে। এটি আনবিক শক্তির ২৪ শো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। একই ধরনের কোম্পানী থেকে ভারতেও এমন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিনেছে মাত্র ৩৪ হাজার কোটি টাকায়। আর, আমাদের দেশে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করা হয়েছে। এর মাত্র ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। কোন রকম ভুল ত্রুটি হলে এটম বোমের মত বিষ্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। যে দেশে দারোয়নদের অবহেলায় শত শত গার্মেন্টস কর্মীরা আগুনে পুড়ে মারা যায়, সেদেশে এমন ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে।

সম্মেলনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে পুনরায় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি’র নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো- চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে জুয়েল আহমেদ, শাকিব আহমেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল হামিদ, আবুল হাসনাত আজাদ প্রমুখ।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;