বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, 'চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।'

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রীর প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকরা 'বিএনপির পক্ষ থেকে এখন নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তোলা হয়েছে' এমন প্রসঙ্গ তুললে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো আন্তর্জাতিকভাবে কারো সমর্থন পায়নি। তাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে 'নিরপেক্ষ' সরকারের কথা বলছে। তারা যে সমস্ত দেশের হাতে-পায়ে ধরে, সে সকল দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হবে।'

সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহে সময়ে সময়ে ছেদ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেবরা বড় গলায় কথা বলেন, অথচ তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষকে বিদ্যুৎ দেবে বলে ছেলে-ভোলানো চকলেট আর মোয়ার মতো শুধু বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়েছে। আমরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিয়েছি, মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে, দেশ পরিবর্তন হয়েছে, শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুতের ব্যবহার এখন বহুমাত্রিক।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ৩ হাজার ৬ শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যে কোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। এবং বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।'

'আসলে বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়ে গেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'মানুষ এখন গ্রামেও এসি চালায়, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় এখন এসি চলে, প্রতিদিন হাজার হাজার ইজি বাইক এবং ১৭ কোটি মানুষের দেশে সাড়ে ১৫ কোটি মোবাইল চার্জ করতে বিদ্যুৎ লাগে, এমন কি গ্রামেও রাইস কুকারে ভাত রান্না করে। অর্থাৎ বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহারে গত ১৪ বছরে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষকে এতো বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে নিশ্চয়ই ভুল করা হয়নি, সবার খানিক ধৈর্য্যের প্রয়োজন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এখন বিশ্বমন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অসুবিধাটা সাময়িক, ১৫-২০ দিনের মধ্যে দূর হবে।'

এর আগে ব্লু ইকোনমি'র সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন (Revealing the Potentials of Blue Economy) শীর্ষক সেমিনারে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে প্রায় দেশের সমআয়তনের সমুদ্রসীমা অধিকার করেছি। এই সমুদ্রসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার আরো ২ থেকে ৩ শতাংশ বাড়বে।

সেমিনারে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম আজম চৌধুরী উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, জার্মান সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড'র প্রিন্সিপাল এডভাইজার ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোয়েনেওল্ড (Stefan Alfred Groenewold) এবং ঢাবি'র আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: জিল্লুর রহমান। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অভ ন্যাচার (আইইউসিএন) কান্ট্রি ডিরেক্টর মো: রকিবুল আমিন সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যপক জোবায়ের আলম।

আন্তর্জাতিকভাবে 'প্লানেট ওশান : টাইডস আর চেঞ্জিং (পরিবর্তিত তরঙ্গে গ্রহের মহাসমুদ্র)' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান গভারন্যান্স (আইসিওজি), জিআইজেড, ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক এন্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (নোয়ামি) ও জিআইজেড এর সহযোগিতায় দিবসটি উপলক্ষে সেমিনারের পাশাপাশি সকালে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের র‍্যালিটি কার্জন হল প্রদক্ষিণ করে।

   

কৃষকলীগের মহাসমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছরে পর এই প্রথম রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

এর আগে, দেশে বিরোধী পক্ষ যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

জানা যায়, সারাদেশে থেকে প্রায় তিন লাখ কৃষক, কৃষাণী ও নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষক লীগের এটাই হবে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।

এ সমাবেশ থেকে বিএনপি–জামায়াতের শাসনামলে সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত করতে গিয়ে যেসব কৃষক শহীদ হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করবে দলটি।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে হলো- সারা দেশের কৃষক সমাজ যাতে এক হয়ে সরকারের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। কোনো ষড়যন্ত্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। আগামীতেও শেখ হাসিনা সরকার থাকবে।

তারা আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ উন্নত হবে। দেশে যাতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য তারা সজাগ রয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে চলছে।

;

শর্তের বেড়াজালে আটকে খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। সকালে সিসিইউতে নেওয়া হচ্ছে তো বিকেলে কেবিনে এমনভাবেই হাসপাতালে দিন কাটছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তবে কোনো শর্তে বিদেশ যেতে রাজি নয় খালেদা জিয়া বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র।

জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে, থাইল্যান্ড নেওয়ার কথা বলা হলেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা সবচেয়ে ভালো মনে করছেন জার্মানিকে। এর পরপরই বিকল্প হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কথা চিন্তা করছেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক। এখন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। ইতিবাচক কোনো সাড়া এলেই দ্রুত যাতে বিদেশ পাঠানো যায়, তেমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি আমার দফতরে এসেছে। এটি যাচাই-বাছাই করে রোববার মতামত জানাবো।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া শর্তযুক্তভাবে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে মুক্ত রয়েছেন। আইনের এই বিদ্যমান অবস্থানে সরকারের পক্ষে তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আরও কয়েকজন মন্ত্রীও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তারা আইনগত জটিলতার কথা বলে আসছিলেন।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি, সেটি থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।

লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কে কে যাবেন সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ও দুইজন গৃহকর্মী সঙ্গে যেতে পারেন। এ ছাড়া লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও জার্মানিতে আসতে পারেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। গতকাল বিকালেও তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে তিন দফা তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

;

‘সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গদি টিকিয়ে রাখতে সরকার যতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তার অর্ধেক সচেতন হলেও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না। সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার নিকৃষ্ট রেকর্ড করেছে সরকার। কয়েক বছর ধরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। তাই সম্প্রতি ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু একদিনও সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করেনি খুচরা বিক্রেতারা। ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে ১২ টাকার ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা ৫০ পয়সা, ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং ৬৪ থেকে ৬৫ টাকার পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার মনিটরিং বলতে কিছুই নেই। কারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার কেন তাদের ধরতে পারছে না? মজুদদার ও অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে সরকার কী জিম্মি?

সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না। বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চায় দেশের মানুষ। দেশের মানুষের কাছে নিত্যপণ্যের বাজার যেনো মূর্তিমান আতঙ্ক। অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম নির্মূল করে নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের প্রতি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

;

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ গুণাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। আব্দুস সাত্তারও ভালো মানুষ ছিলেন। এই দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

আব্দুস সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।

;