'স্মার্ট বাংলাদেশ' ইশতেহার আনছে আওয়ামী লীগ



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে। ইশতিহারে আগামী পাঁচ বছরের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকবে বলেও জানা গেছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারের ইশতেহারে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দুর্নীতি রোধের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও তরুণদের আকৃষ্ট করতে কর্মমুখী শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উন্নয়নের ধারাকে চলমান রাখার প্রতিস্রুতিও থাকবে এতে।

আরও জানা যায়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদকমুক্ত দেশ গড়া, টেকশই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তথা দেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী জনবল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি সহ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গঠনের উপর জোড় দেয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ক্যাশলেস সোসাইটি, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলার বিষয়টি ইশতেহারে থাকবে। চলমান মেগাপ্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করা ও আগামী পাঁচ বছরে উন্নয় রূপরেখার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গঠনেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে।

সূত্রটি জানায়, এবারের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনের উপর জোড় দিবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের ঘোষণা দেবে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে নাগরিকদের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্মার্ট সিটিজেন হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইশতেহারে।

ইশতেহার নিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা এবারের ইশতেহারে সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়েছি। তারা অর্থনীতি, অবকাঠামো, কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুতের উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাদের এসব মতামতকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমাদের নেত্রীর যে ১৫ বছরের উন্নয়ন, বিশেষ করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, ইনভেস্টমেন্ট এগুলোকে কিভাবে জনকল্যাণে কনভার্ট করা যায় এজন্য বাস্তবিক পদক্ষেপ আমাদের এবারের ইশতেহারে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যতগুলা লংটার্ম প্রোগ্রাম আছে, প্ল্যান আছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেন সমানভাবে সকল সুবিধা পায় এরকম একটা বক্তব্য আসবে। কর্মসংস্থানে গুরুত্ব আসবে। দারিদ্রবিমোচনে গুরুত্ব আসবে।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের নামে প্রতিটা সেক্টরে, যেন এফেসিয়েন্সি বাড়ে সে বিষয়টি থাকবে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স থাকবে। আমাদের উদ্যোগের কারণে যে দেশে ব্যাপক দুর্নীতি কমেছে এটা কেউ বলছে না। যেমন বাংলাদেশের টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়ে গেছে, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রধান দুটি ক্ষেত্র ডিজিটালাইজেশনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। সারা দেশে লিখিত পরীক্ষা মাস্ট করা হয়েছে সরকারি বেসরকারি সকল পরীক্ষায়। লিখিত পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ নিয়োগ প্রদানকারীর হাতে নেই। এই মেসেজ থাকবে। 

সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা ইশতেহারে তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান এবং এন্টারপ্রেনারশিপ এই দুই দিকে জোড় দিচ্ছি। প্রযুক্তিকে আমাদের গভর্নেন্স, আমাদের ডেভেলপমেন্ট, আমাদের ওয়েলফেয়ার ব্যবহারে জোড় দেয়া হবে। আমরা হাইটেক এর দিকে যাচ্ছি। আমাদের জিডিপিতে অংশগ্রহণ থাকে প্রাইমারিলি এগ্রিকালচার, সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের। এগুলোকে ইমারজিং ইকোনোমিকের ক্ষেত্রে কোথায় কতটুকু কনট্রিবিউশন বিজ্ঞানসম্মতভাবে দরকার সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। 

এর আগে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিন বদলের সনদ’ শিরোনামে ইশতেহার দেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৪ সালে ১০টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ইশতেহার দেয় দলটি। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ইশতেহার প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন দলটি। এবার টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার পর চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হবার প্রত্যয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে চায় দলটি।

জানা যায়, এদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করবেন। সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাগত বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক। এরপর বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারপর দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার পাঠ করবেন।

   

বিএনপির স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে স্থগিত সমাবেশ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

;

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

আ. লীগের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপি পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে।

উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোন না কোনভাবে শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অনেক নেতাই মানছেন না। নির্বাচন প্রায় কাছাকাছি চলে আসলেও অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন এখনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। এক্ষেত্রে আপনারা কি সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেছেন আওয়ামী লীগ সারাদিন স্বাধীনতার কথা বললেও তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এর জবাবে তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। জিয়াউর রহমানের সময় হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ হ্যাঁ ভোট এসব কিন্তু তাদেরই সৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অধিনে ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রলীগের সমাবেশ



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ১২টার দিকে তারা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তারা 'ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড', 'স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন', 'ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল ও বাকস্বাধীনতার সনদ দেয়, সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আটক ও অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে আন্দোলন করার কারণে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসাইন্স বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুধু মাত্র ফিলিস্তিনের জন্যে আন্দোলন করার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, স্কুলে-হাসপাতালে হামলা করে নারী ও শিশুদের হত্যা করে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। বিশ্বমোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কবে এটিকে গণহত্যা বলা হবে? আর কত হাজার প্রাণ গেলে?

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের দুর্দশা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি। টানা ৭৫ বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর ভিন্ন জাতি ধর্ম, বর্ণের শিক্ষার্থীরা আজ এক হয়েছে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে হাসপাতালে বোমাবর্ষণের মতো নৃশংসতা দেখিনি। পৃথিবীর যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তারা আমাদের ভাই। এছাড়াও আমেরিকা ও ইসরায়েলের নাগরিক হয়েও যেসব শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, এ সমাবেশে কলম্বিয়াসহ বিশ্বব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সংহতি জানিয়ে স্মারকলিপি পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

;