হাতীবান্ধায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বড়খাতা বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর উপজেলার বড়খাতা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর বিকেল পাঁচটায় বড়খাতা বাজারে বিএনপির নেতা আনারুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করেন। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আহতদের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আব্দুর সালাম (৩২), আবু বক্কর (৩০) বকুল হোসেন (৪৫), আহসান হাবিব (৩৪) নুরুজ্জামান (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বড়খাতা বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির মতির সাথে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বকুল হোসেসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আনারুল ইসলাম দলবল নিয়ে অস্থায়ী বিএনপি'র কার্যালয়ের সামনে গেলে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আব্দুল হাইয়ের লোকজনের সাথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে এতে দুই গ্রুপের পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহতদের হাতীবান্ধার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় আহত বকুল হোসেনকে গুরুতর অবস্থা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দকে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাই বলে আনারুল হকের লোকজন বিএনপি'র কার্যালয় ভাঙচুর ও অফিসের তালা ও নেতাকর্মীকে মারধর করতে পারে না। আমরা বিষয়টি লালমনিরহাট-১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানকে অবগত করেছি।
এ সময় বিএনপির নেতা আনারুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, খবর পেয়েছি, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।