আমতলীতে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৭
বরগুনার আমতলী পাওয়ার প্লান্টের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক সাংবাদিকসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্থানীয়রা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা এলাকায় সরকার ২০২২ সালে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করে। ওই পাওয়ার প্লান্টের শ্রমিকের কাজের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুড়িয়ার খেয়াঘাটের আমিনুল ইসলাম ও মিলন মৃধার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই ঘটনা মীমাংসা করতে যায় আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদারসহ বেশ কয়েকজন, এমন দাবি আমিনুলের। ওই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় খুড়িয়ার খেয়াঘাটের রাইশা সুপার মার্কেটের মিল্টন মৃধার ঘর ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন যুবদল কর্মী মো. আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মো. মিলন (৩৬), মো. মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মো. হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মো. রেজাউল কবির (৩০), মজিবর রহমান আকন (৪৫) ও সাংবাদিক এইচ. এম. রাসেল (৩৭)।
আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান তাকে সংকটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, উপজেলা বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে এবং মিল্টন মৃধার ঘর ভাঙচুর করেছে। তারা আরও বলেন, উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আমতলী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, সামসুল হক চৌকিদার ও হেলাল চৌকিদারসহ বেশ কয়েকজন আমতলী পাওয়ার প্লান্টে চাঁদা তুলতে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন মিলে তুহিন মৃধাকে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি আরও বলেন, তুহিন মৃধার লোকজন খুড়িয়ার খেয়াঘাটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের ছোট ছেলে রাহাত ফকির পাওয়ার প্লান্টে চাঁদা বাদী করে। আমি তা প্রতিহত করতে গেলে তার লোকজন হামলা করেছে।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
ওই বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষের নিকট থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।