আ. লীগ ও শেখ পরিবারের ষড়যন্ত্রে বিডিআর হত্যাকাণ্ড: মেজর হাফিজ
আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের ষড়যন্ত্রে বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। যা দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারা জড়িত ছিলো, বিদেশি কোন শক্তির হাত ছিল কিনা এটি এখনো ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবি ও একটি কমিশনের গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে অতি অল্প সময়ের মধ্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।
মেজর হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড এতোই মর্মান্তিক যে ওই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিলো। নির্মোহ উন্মুক্ত তদন্ত হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ধারণা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সেনাবাহিনীর মনোবল ভাঙার জন্য, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার জন্য, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ পরিবারের সদস্য জড়িত ছিল জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, শেখ ফজলে নূর তাপস, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, মির্জা আজম, হাসানুল হক ইনুসহ অনেকেই জড়িত ছিলো বলে জনগণ মনে করে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার ভূমিকা রসহ্যজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এতজন সেনা সদস্য নিহত হওয়ার নজির নেই। এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর বিডিয়ার প্রধান সাহায্যের জন্য বলেছিলেন কিন্তু তখন কোন সাহায্য করা হয়নি। সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ পিলখানায় সেনা সদস্যদের অপারেশন চালাতে নিষেধ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর আচরণ অত্যন্ত রহস্যজনক। সেনাবাহিনী যাতে কোন অ্যাকশনে যেতে না পারে এজন্য তিনি গণভবনে তিন বাহিনীর প্রধানকে কোন রকম কাজ ছাড়াই বসিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের আগে আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর তোরাব আলীর বাসায় বিডিআর সদস্যদের বৈঠক হয়। সেখানে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা করা হয় কিভাবে লাশ গুম করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।