ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে শিবির
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণমিছিল শেষে এই দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
জুমা’র নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ আসে ইসলামী ছাত্রশিবির।
এরপর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে দেখেনি। অনতিবিলম্বে এই ফ্যাসিবাদের বিচার কার্যকর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জনগণকে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে দিয়ে এই জমিনের মাটিতে তারা লুটতারাজ, হত্যা, গুম, খুন কায়েম করেছে। তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে নির্বিচারে রাজনৈতিক বন্দীদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিচার নিশ্চিত করে এই সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ৬ মাস যাবত দেখতে পাচ্ছি, কিছু রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের বিচারের দাবিতে সরব না থেকে তারা বাসস্ট্যান্ড, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে গেছে। তারা এই জাতির ঐক্যের মাঝে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অচিরেই আওয়ামী লীগের হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশে হবে। কিন্তু দেখছি তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো আমাদের ভাইদের হত্যা করছে। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের শহিদ ভাইদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না করার পর্যন্ত ছাত্রসমাজকে নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির মাঠে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ভিনদেশীদের মদদে এখন রাজনীতি করছে তদের উদ্দেশ্যে বলে, আওয়ামী লীগের মতো তাদেরও বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ২০০৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রশিবির তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে। সামনে কেউ এই ফ্যাসিবাদী দলকে নিয়ে আসতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধেও ইসলামী ছাত্রশিবির সংগ্রাম চালিয়ে যাব।