জামিন নামঞ্জুরে লীগপন্থী আইনজীবীদের আদালত বর্জন
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনের হামলা ও নাশকতার মামলায় জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আদালত বর্জন করেছে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাতে আদালতের সামনে থেকে আইনজীবী আমানউল্লাহ আকাশকে গ্রেফতার করে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
জামিন আবেদন নামঞ্জুরের খবরে ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগ পন্থী আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রম বর্জন করেন। ফলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে আইনি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন।
পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদর থানা পুলিশ আমান উল্লাহ আকাশকে আদালতে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালতে উপস্থিত আওয়ামীলীগ পন্থী আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনজীবী মহলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন,‘আদালত আবেদন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। যথারীতি আইন মেনে আমাদের বারের সভাপতির জামিনের আবেদন করেছিলাম। এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য মিস কেস দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনিসুজ্জামান গামা বলেন, জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশের জামিন শুনানিতে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত উভয়পক্ষের শুনানির পর তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর লীগপন্থি আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছে। জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস করবেন তারা শুনেছি।