আওয়ামী রাজনীতিতে সম্মেলনের হাওয়া



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন নেতৃত্ব বাছাই করে সংগঠনকে গতিশীল করে তুলতে সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেই সম্মেলনই অনিয়মিত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে আওয়ামী ঘরানার রাজনীতিতে হঠাৎ সম্মেলনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগে নিয়মিত সম্মেলন হলেও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয় না। কোনও কোনও সংগঠনে কমিটি মেয়াদের কয়েকগুণ বেশি সময় ধরে পদ আগলে রেখেছে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মূল সংগঠনের ওপর।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই ওমর ফারুক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশীদকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছর মেয়াদী যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত সাত বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছে।

২০১২ সালের ১১ জুলাই সম্মেলনে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি ও পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি দেওয়া হয়। পঙ্কজ দেবনাথ প্রায় দুই দশক ধরে একই পদে আছেন।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই সম্মেলনে মোতাহার হোসেন মোল্লাকে সভাপতি ও খোন্দকার শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কৃষক লীগের কমিটি দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই সম্মেলনে শুক্কুর মাহমুদকে সভাপতি এবং সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে শ্রমিক লীগের কমিটি দেওয়া হয়।

মহিলা শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ এর ২৯ মার্চ। প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। এরপর ১০ বছর বিরতি দিয়ে গত ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন এসব সংগঠনে সম্মেলন না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তবে পদ হারানোর ভয়ে তারা হাইকমান্ডের বিরোধিতা করার সাহস দেখান নি। সম্মেলন না থাকায় সংগঠনেও ছিল চরম বিশৃঙ্খলা। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত হন। এমনকি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের দিকে মনোযোগী হন তারা। সম্প্রতি যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের নেতাদের বাসা, বাড়ি, অফিসে অভিযান চালিয়ে শত শত কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই ভোজবাজির মতো দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে।

দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, চলমান শুদ্ধি অভিযানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো দেশব্যাপী বিতর্কিত হওয়ায় এখন শীর্ষ নেতারা দায়িত্ব ছাড়তে চান। তাদের অবস্থা ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’। কারণ অনেক আগেই তাদের মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন করার নাম নেননি। তারা নিজেদের সংগঠনের মালিক মনে করতেন।

এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শুধু মূল দলের জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শুদ্ধি অভিযানে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নগ্ন রূপ উন্মোচিত হওয়ায় তাদেরকে আগে শুদ্ধ করতে চান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশও দেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগ ও ২৯ নভেম্বর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। আর আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

হঠাৎ করে সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন অনেক নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ে বেড়েছে তাদের আনাগোনা। পদপ্রত্যাশীরাও নিজেদের তুলে ধরতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে এসব সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে বিভিন্ন উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। কাউন্সিল-ডেলিগেট তালিকা চেয়ে জেলায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রচারণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যানার ফেস্টুনের নকশা চূড়ান্তের কাজও চলছে।

সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার বলেন, ‘গত শুক্রবার কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সম্মেলন প্রস্তুতিসহ আনুষঙ্গিক উপ-কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ১২ নভেম্বর মহানগর উত্তরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ অক্টোবর আমরা সম্মেলন উপলক্ষে বর্ধিত সভা করবো।’

এদিকে, সম্মেলনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে যুবলীগও। গত শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা বৈঠক করেন। বৈঠকে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী অনুপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্মেলন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ১০ অক্টোবর কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করেছে কৃষক লীগ। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা ১৩টি উপ-কমিটি গঠন করেছে। ১৯ অক্টোবর বর্ধিত সভা করতে চায় সংগঠনটি। আর ১৬ অক্টোবর সংগঠনের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে সম্মেলনের প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু করতে চায় শ্রমিক লীগ।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে যথাযথ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;