এক নজরে চয়ন ইসলাম
চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আসন্ন জাতীয় কংগ্রেসের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় যুবলীগের দায়িত্ব থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়ে চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর থেকে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসেন চয়ন ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চয়ন ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামের অধিবাসী। উপজেলা শহরেই বসবাস করে তার পরিবার।
চয়ন ইসলাম ১৯৭৭ সালে শাহজাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। দুই দশকের বেশি সময় তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন চয়ন ইসলাম।
তাঁর বাবা মাজহারুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার চাচা ড. আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।
চয়ন ইসলামের বোন মেরিনা আক্তার কবিতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
চয়ন ইসলাম রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারঁ স্ত্রী লিলি ইসলাম গুণী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। তিনি শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। রবীন্দ্র সংগীতের উপর ডক্টরেট ডিগ্রীও অর্জন করেন তিনি।
জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের অধিবাসী ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সিরাজগঞ্জে সম্ভ্রান্ত, মার্জিত ও আওয়ামী রাজনীতিতে বিশ্বস্ত পরিবারগুলোর অন্যতম চয়ন ইসলামের পরিবার। আমাদের ছোটবেলায় তাদের পরিবারের গল্প শুনে বেড়ে উঠেছি। যুবলীগের ক্রান্তিকালে চয়ন ইসলামের মতো সজ্জন, ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বকে দায়িত্ব দেওয়ায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন। নেত্রী সঠিক ব্যক্তিকে যোগ্য স্থান দিয়েছেন।
চয়ন ইসলাম বলেন, অল্প সময়ের জন্য পাওয়া এই দায়িত্বে সবার আগে একটা ভালো সম্মেলন করতে চাই এবং যুবলীগের ভাবমূর্তি যেটুকু ক্ষুণ্ন হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন, সদস্য সচিব হারুনুর
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে অব্যাহতি
যুবলীগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ নির্ধারণ