স্বেচ্ছাসেবক লীগের কলেবর বাড়ছে!



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেবা, শান্তি ও প্রগতি-এ তিন মূলমন্ত্র ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে এবারের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

আগামী ১৬ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনকে ঘিরে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির আহ্বায়ক বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ আর সদস্য সচিব বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু।

এরই মধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আহ্বায়ক কমিটি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন সফল করতে ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ কমিটির কনভেনার হিসেবে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতিরা। এছাড়া কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্যান্য সম্পাদক মণ্ডলী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে এ ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে উপ কমিটিগুলো নিজেদের কাজ শুরু করেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিল ঘিরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিস এখন সরগমর। নেতাকর্মীদের আনাগোনায় পুরো এলাকায় একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব যেতে পারে আগামী সম্মেলনে। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি ১০১ সদস্যের। এর আকার ২৫১ করার প্রস্তাব উঠতে পারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে- এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছে আহ্বায়ক কমিটি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৭৯টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে ২৫ জন করে কাউন্সিলর এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী নেতৃত্ব গঠিত হবে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন করতে চায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোট কাউন্সিলর ১ হাজার ৯৭৫ জন। আর কেন্দ্রীয় কমিটির ২০০ জন মিলে মোট কাউন্সিলর হবে ২ হাজার ১৭৫ জন। এদের ভোটেই মূলত আগামী নেতৃত্ব গঠিত হবে। সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ঢাকা মহানগরে যেমন উত্তর-দক্ষিণ আছে, তেমনি কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামেও উত্তর-দক্ষিণ ভাগ রয়েছে। আর মহানগরে একটি করে ইউনিট কাজ করছে।

১৩টি উপ কমিটির মধ্যে অভ্যর্থনা কমিটি, আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবে। মঞ্চ কমিটির নেতৃত্বে মঞ্চ সাজানো হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ আগামী দিনে কীভাবে চলবে তার একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করবে গণতন্ত্র উপ কমিটি। প্রচার কমিটি পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী সম্মেলন সম্পর্কে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাউন্সিল করতে চাই। এজন্য এবার কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই অল্প অল্প করে নিজেদের অর্থ দিয়ে ফান্ড গঠন করছি। এ সম্মেলনকে ঘিরে কারো অন্য কোনো উপায় খোঁজার সুযোগ নেই। এ রকম কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসা মাত্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মোটো হচ্ছে স্বেচ্ছা সেবা। যেহেতু মঞ্চটা নেত্রী করে দিচ্ছেন। তাই অন্যান্য আয়োজন নিজেদের অর্থেই করব। আমরা আসলে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে চাই।

এবারের কাউন্সিলে গঠণতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন আসছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই রকম কোনো পরিবর্তন না। তবে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রথম সম্মেলনে ১০১ সদস্যের ছিল, সেটি বাড়িয়ে ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী বোর্ড এবং ১০০ কেন্দ্রীয় কমিটির বোর্ডসহ মোট ২৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব আসতে পারে। এটা যদি কাউন্সিলররা তাদের ভোটে পাস করেন, আর নেত্রী যদি অনুমতি দেন, তাহলেই হবে। সব কিছু ঠিক করবেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার সৈনিক হয়ে কাজ করব। আমরা সব সময় সেবামূলক কাজের সঙ্গে থাকব।

কাউন্সিল সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্মেলন সফল এবং অনাড়ম্বরভাবে করার জন্য আমরা এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা ১৩টি উপ কমিটি করেছি। এক একটা উপ কমিটির কনভেনার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পদক মণ্ডলী থেকে ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিছু সাবেক ছাত্র নেতার সমন্বয় করে এ কমিটি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই। তখন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এটি হবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;