ভাইরাল সাবেক ছাত্রলীগ নেতার দায়িত্ব নিলেন এলিট
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ছিল ১৬ নভেম্বর। ওই দিন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানার মলিন মুখের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সম্মেলনও তাকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা হয়। এর পর রানার দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
জানা যায়, মোতাহার হোসেন রানার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ হওয়ার পর নিজ উপজেলা মিরসরাই ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবনে এমন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মানুষটি পরবর্তী জীবন যুদ্ধে হেরে যান। তাকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই স্ট্যাটাসটির কিছু অংশ হুবহু (বানান সংশোধিত) তুলে দেওয়া হলো-
‘অনেক পুরাতন শার্ট, টুপি পরিহিত ও আশাহীন চোখে তাকিয়ে থাকা জরাজীর্ণ ছবির এই মানুষটির নাম- মোতাহার হোসেন রানা। (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। সাবেক সভাপতি, কবি জসীম উদ্দিন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, মিরসরাই থানা ছাত্রলীগ)
৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে ৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সভামঞ্চে তার বক্তব্য শুনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা খুশি হয়ে তার নাম, ঠিকানা ডায়রীতে টুকে নিয়েছিলেন সেদিন।
১৬ নভেম্বর মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ছিল। উপস্থিত দর্শকের সারিতে চেয়ারে এমন অসহায় হয়ে বসেছিলেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানা ভাই। কিন্তু সভামঞ্চে তারই হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধা অনেকে থাকলেও কেউ তার খবর রাখেনি।
রাজনীতিতে অর্থ-বিত্ত না থাকলে দাম নাই।টাকা, পয়সা না থাকলে টিকে থাকা যায় না। সংগ্রাম আর ত্যাগের এটাই সত্য। জয় হোক রানা ভাইয়ের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সারা বাংলার সকল মুজিবপ্রেমী কর্মীদের।’
এলিট গণমাধ্যমকে জানান, তিনি রানার দায়িত্ব নিয়েছেন। একইসাথে তার সন্তানদের পড়ালেখার খরচ ও চিকিৎসা খরচসহ প্রতি মাসে একটি সম্মানী দেবেন। এছাড়া সাবেক এই নেতার বাড়ি সংস্কারের আশ্বাসও দেন তিনি।