বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমে হতাশ জাপার তৃণমূল



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্য ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ৫০ জেলা ও মহানগর কমিটির কাউন্সিল করা হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। যেখানে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না, সেখানে আহ্বায়ক কমিটি কিংবা চলমান কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু লক্ষ্যের ধারে কাছেও যেতে পারেনি জাতীয় পার্টি। নির্ধারিত সময়ে শুধুমাত্র মাদারীপুর জেলায় কাউন্সিল হয়েছে। ওই জেলায় সভাপতি-সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা যায়নি। এর বাইরে খুলনা মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সফলতা বলতে গেলে এটুকুই। এতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে জাতীয় পার্টিকে।

এতে করে ডিসেম্বরে কাউন্সিল নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার (১ ডিসেম্বর) বসছে জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সভা। এ সভাতেই কাউন্সিলের ভাগ্য চূড়ান্ত হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কাউন্সিল ডিসেম্বরে হতেই হবে। কারণ কেন্দ্রীয় কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আমরা এখন গ্রেস পিরিয়ডে আছি। নতুন করে সময় চাইলে নির্বাচন কমিশন হয়তো নাও দিতে পারে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, বিধায় কাউন্সিল করতেই হবে। আমরা নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিল করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

৫০ জেলা ও মহানগর কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে যখন কাউন্সিল হয়েছে, তখন আরও খারাপ অবস্থা ছিল। আমাদের গঠনতন্ত্রে প্রভিশন রয়েছে, যতদিন নতুন কমিটি না হবে, ততদিন আগের কমিটি বহাল থাকবে। সে কারণে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হতে কোনো গঠনতান্ত্রিক বাঁধা নেই।

জাতীয় পার্টির ৭৬ কমিটির (জেলা ও মহানগর) মধ্যে ৫০ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। নয় বছর আগে মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে এমন জেলা কমিটিও এখন বিদ্যমান। আবার এমন অনেক জেলা রয়েছে, যেখানে সম্মেলন হয়েছে কয়েক বছর আগে কিন্তু কমিটি গঠন করা যায়নি। নাজুক অবস্থা রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের কমিটির। ২০১২ সালের আগস্টে মেয়াদ শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির। এরপর আর কোনো খোঁজ নেই এ কমিটির। একই সময়ে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির মেয়াদও।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী আরেক জেলা গাজীপুরের অবস্থাও নাজুক। এ জেলার আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও শোডাউনের ক্ষেত্রে এসব জেলার ওপর নির্ভরশীল থাকে। স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে লোকজন এনে জমায়েত বাড়ানো সম্ভব হয়। সেই জেলাগুলোতে বেহাল অবস্থা জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির।

ঢাকা বিভাগের চার মহানগর ও ১২ জেলা কমিটির মধ্যে ১১টির মেয়াদ শেষ। বলা হয়, রাজধানীতে যে দলের ভিত যত মজবুত, সেই পার্টি রাজনীতির ক্ষেত্রে ততবেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একাধিক সভায় বলেছিলেন, শুধু ঢাকায় আন্দোলনের কারণে আমাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু সেই ঢাকা বিভাগে জাপার সাংগঠনিক অবস্থা অনেকদিন ধরেই নড়বড়ে।

সবার আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে জাতীয় পার্টির সবচেয়ে ভাগ্যবান নেতা মজিবুল হক চন্নুর জেলা কিশোরগঞ্জের। তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতার উষ্ণতা ভোগ করেছেন। এখনও করে যাচ্ছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য চুন্নুর জেলা কিশোরগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও কাউন্সিল করা হয়নি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে জেলা জাপার কার্যক্রম।

বলতে গেলে বিভাগ ভিত্তিক সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিলেট বিভাগের। রংপুরের পরে সিলেটকে বলা হয় জাতীয় পার্টির জন্য দ্বিতীয় উর্বরক্ষেত্র। এখানে জাতীয় পার্টির অনেক রিজার্ভ ভোট রয়েছে। এ বিভাগের প্রার্থীরা প্রত্যেক নির্বাচনেই ভালো ফল পেয়েছেন। সিলেট মহানগর ও চার জেলা কমিটির সবক’টির মেয়াদ শেষ বলা যায়।

২০১৪ সালে শেষ হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ। ২০১৭ সালের ৯০ দিনের সময় দিয়ে গঠন করা হয়েছিল সিলেট জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। সেখানেই আটকে আছে শাহজালালের পুণ্যভূমি সিলেট জেলা জাপার কার্যক্রম। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন হয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও কমিটি গঠন করা যায়নি। ঝুলে রয়েছে কমিটি গঠনের কার্যক্রম।

জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের অবস্থাও বেহাল বলা যেতে পারে। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের ওই নিজ বিভাগের এক মহানগর ও আট জেলা কমিটির মধ্যে পাঁচটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু কমিটি গঠন করা যায়নি। খোদ চেয়ারম্যানের নির্বাচনী আসন লালমনিরহাট জেলার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ১৩ মাস আগে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ১৬ মাস আগে রংপুর মহানগর কমিটির সম্মেলন হয়েছে। এখনও কমিটি জমা পড়েনি দফতরে।

জাপার ঘাটি খ্যাত এ বিভাগের সাংগঠনিক টিমের কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ। এখনো তারা সরেজমিন যেতে পারেননি। বলা চলে হাত গুটিয়ে বসে আছেন। এ বিভাগের সাংগঠনিক টিমের প্রধান করা হয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুকে। যার নিজের জেলাতেই কমিটি নেই ২০১০ সাল থেকে। যে কারণে তার সফলতা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদের নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ বিভাগেও সাংগঠনিক অবস্থা বেহাল। এ বিভাগের শুধু নেত্রকোনা জেলা কমিটির মেয়াদ রয়েছে। অন্য তিন জেলার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কার্যক্রম নিয়েও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। কথিত রয়েছে শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়েই নিষ্ক্রিয় সাংগঠনিক টিমও।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলা কমিটির মধ্যে ছয় জেলার মেয়াদ শেষ। ২০১৬ সালে বগুড়া জেলা কমিটির সম্মেলন হলেও এখনো কমিটি গঠন হয়নি। কেন্দ্রেও কমিটি জমা হয়নি। মুখে মুখে যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন, সেই পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু কেউ দেখেননি কমিটির কাগজ। এরশাদ বেঁচে থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ও নাটোর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।

তবে এ বিভাগের সাংগঠনিক টিম বেশিরভাগ জেলা সফর করে কর্মীদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা প্রত্যেকটি জেলায় প্রতিনিধি সম্মেলন শেষ করেছেন। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির কাউন্সিল কিংবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে এখনও সফলতার মুখ দেখতে পাননি।

খুলনা বিভাগের মহানগর ও চার জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও এক মহানগর কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা কমিটির মেয়াদ রয়েছে। ২০১৭ সালেই গত হয়েছে অনেক কমিটির মেয়াদ। সম্প্রতি খুলনা মহানগর কমিটি ভেঙ্গে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের জাপার অবস্থাও খারাপ। এ বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে আট জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ। কুমিল্লা মহানগর কমিটি গঠনই করা হয়নি। পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালে মেয়াদ শেষ হয়েছে লক্ষীপুর জেলা কমিটির। অথচ এ বিভাগের নেতা জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু তখন ছিলেন পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে।

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পৃথক বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল, টিমগুলো জেলায় জেলায় সফর করে তৃণমূলকে চাঙ্গা করবে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো আপডেট করবে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী এবং জাপার জন্য উর্বর আসনগুলো চিহ্নিত করবে। কিন্তু অনেক টিম সরেজমিন যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

সাংগঠনিক টিমগুলোর মেয়াদ বেধে দেওয়া হয়েছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই সময়ে অগ্রগতি হতাশজনক হলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তারপরও কাজ শেষ হয়নি। ফলে রাজশাহী বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাংগঠনিক টিমগুলো অনেক ভালো কাজ করেছে। তাদের মুভমেন্টের কারণে আমরা জানতে পারছি জেলাগুলোর অবস্থা। দুই মাসের মধ্যে সব জেলায় কাউন্সিল করা সম্ভব নয়। অনেকটা ট্রাকে উঠে এসেছে। এটাকে ম্যাক্সিমাম মনে করছি। কিছু একটা হয়েছে, এটাই বা কম কিসে?

   

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;