রাত পোহালেই খুলনা আ.লীগের সম্মেলন, পরিবর্তন আসতে পারে নেতৃত্বে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
প্রস্তুত খুলনা আ.লীগের সম্মেলন মঞ্চ

প্রস্তুত খুলনা আ.লীগের সম্মেলন মঞ্চ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই খুলনা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এবারই প্রথমবারের মতো খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে খুলনা নগরী সেজেছে নতুন সাজে। নগরের প্রায় প্রতিটি সড়ক, মহাসড়ক, সড়কদ্বীপ ও সম্মেলনস্থল সার্কিট হাউজ ময়দানের আশপাশের এলাকায় শতাধিক দৃষ্টিনন্দন তোরণ শোভা পাচ্ছে। নানা রং-বেরংয়ের পতাকা, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনাকে। প্রস্তুত হয়েছে সম্মেলনের মঞ্চ।

এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, চমকপ্রদ পরিবর্তন আসতে পারে জেলা ও মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। বিশেষত জেলা ও নগরের সাধারণ সম্পাদক পদের পাশাপাশি জেলার সভাপতি পদেও পরিবর্তনের আভাস মিলছে। এবারের সম্মেলনে পরিচ্ছন্ন এবং সাংগঠনিকভাবে যোগ্য কমিটি নির্ধারণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির শুদ্ধি অভিযানের প্রতিফলন থাকবে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে। ক্ষমতাসীন দলের কমিটিতে পরিচ্ছন্ন ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব নির্বাচনে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহল। শুদ্ধি অভিযানের মাথায় রেখে ত্যাগী-পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতা নির্বাচন করা হবে এবারের সম্মেলনে।

প্রস্তুত খুলনা আ.লীগের সম্মেলন মঞ্চ

জানা গেছে, ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা সংগ্রহ করা হয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। এবারের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের আমলনামায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে প্রার্থীর পারিবারিক, সামাজিক ও সাংগঠনিক অবস্থান, তাদের আয়ের উৎস, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কতটুকু সম্পর্ক এবং দলের দুর্দিনে প্রার্থীর ভূমিকা বিগত দিনের কর্মকাণ্ড, কোন প্রার্থীর নামে দুর্নীতি ও মাদক বিক্রি বা এসব অপকর্মের সঙ্গে দূর থেকে মদদ দেয় কিনা এ সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়েছে। সব কিছুর উর্দ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। শীর্ষ পদগুলোতে কারা আসবেন এ নিয়ে শেষ মুহূর্তেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৭ জন ও ৯টি উপজেলা থেকে ১৫৭ জন কাউন্সিলর এবং ৪ হাজার ডেলিগেট অংশ নেবেন। মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৬ জন ও ৩৬টি ওয়ার্ড থেকে ১২ জন করে ৪৩২, ৫টি থানা থেকে ৫ জন করে ২৫ জন কাউন্সিলর ছাড়াও ৩৬ সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে ২শ’ জন করে ৭ হাজার ২শ’ জন ডেলিগেট সম্মেলনে যোগদান করবেন।

প্রস্তুত খুলনা আ.লীগের সম্মেলন মঞ্চ

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের একক নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক ব্যক্তির নাম আলোচনায় এসেছে। মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ কামাল, দৌলতপুর থানা আ’লীগের সভাপতি সৈয়দ আলী প্রমুখ।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হারুনুর রশীদের পাশাপাশি বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি এম এম মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি সোহরাব আলী সানা, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (এমপি), নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সাবেক সাংসদ মোল্লা জালাল উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমান সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের সাংগঠনিক দুর্বলতার দিক মাথায় রেখেছে নীতি নির্ধারণী মহল।

এছাড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু (এমপি), বটিয়াঘাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।

প্রস্তুত খুলনা আ.লীগের সম্মেলন মঞ্চ

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সার্কিট হাউজে সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধন ও কাউন্সিল এই দুই ধাপে পুরো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। সভাস্থল ও এর বাইরেও একাধিক স্থানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে সম্মেলন দেখার ব্যবস্থা থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদকে সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর ৯ মাস পর গঠিত হয় জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরপর গত বছর ১৮ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা ইন্তেকাল করেন।

২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;