‘জাতির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করেছে বিএনপি’
বিএনপি সংবিধানকে পরিবর্তন করে অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করে জাতির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পরে খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে এখানে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে। জাতির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করেছিল। এ জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো মাঠে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে খুনি মোশতাক, খুনি জিয়াউর রহমানরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতিকে হত্যা করেছে।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপরে হওয়া অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজশাহী, রংপুরে অনেক হিন্দু নারী পুরুষদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে। এই লালমনিরহাটে বেগম খালেদা জিয়ার লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা এখানকার আওয়ামী লীগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করেছিল।
বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন এখানকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু, হিন্দুরা অনিরাপত্তায় ভোগে দাবি করে তিনি বলেন, হিন্দুদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে। এরা সংবিধানকে পরিবর্তন করে অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছে বিএনপি।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নাইমুজ্জামান মুক্তা। অধিবেশনটি সঞ্চলনা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।