ঢাকার দুই সিটিতে আ’লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিল পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মেয়র ও কাউন্সিল পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে শেখ ফজলে নূর তাপসকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়।

এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা হলেন-

ওয়ার্ড নং- ০১: মো. আফছার উদ্দিন খান

ওয়ার্ড নং- ০২: আলহাজ কদম আলী মাতব্বর

ওয়ার্ড নং- ০৩: মো. জিন্নাত আলী মাদবর    

ওয়ার্ড নং- ০৪ মো. জামাল মোস্তফা,

ওয়ার্ড নং- ০৫: মো. আব্দুর রউফ নান্নু  

ওয়ার্ড নং- ০৬: সালাউদ্দিন রবিন

ওয়ার্ড নং- ০৭: মো. তফাজ্জল হোসেন    

ওয়ার্ড নং- ০৮: মো. আবুল কাশেম মোল্লা

ওয়ার্ড নং- ০৯: মুজিব সারোয়ার মাসুম  

ওয়ার্ড নং- ১০: আবু তাহের

ওয়ার্ড নং- ১১: দেওয়ান আবদুল মান্নান  

ওয়ার্ড নং- ১২: মুরাদ হোসেন   

ওয়ার্ড নং- ১৩: মো. হারুন-অর-রশিদ

ওয়ার্ড নং- ১৪: মো. মইজউদ্দিন   

ওয়ার্ড নং- ১৫: সালেক মোল্লা

ওয়ার্ড নং- ১৬: মো. মতিউর রহমান

ওয়ার্ড নং- ১৭: মো. ইসহাক মিয়া

ওয়ার্ড নং- ১৮: মো. জাকির হোসেন

ওয়ার্ড নং- ১৯: মো. মফিজুর রহমান    

ওয়ার্ড নং- ২০: মো. জাহিদুর রহমান

ওয়ার্ড নং- ২১: মাসুম গনি  

ওয়ার্ড নং- ২২: মো. লিয়াকত আলী

ওয়ার্ড নং- ২৩: মো. শাখাওয়াত হোসেন

ওয়ার্ড নং- ২৪: মো. সফিউল্লা

ওয়ার্ড নং- ২৫: আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর

ওয়ার্ড নং- ২৬:  শামীম হাসান   

ওয়ার্ড নং- ২৭: ফরিদুর রহমান খান

ওয়ার্ড নং- ২৮: মো. ফোরকান হোসেন  

ওয়ার্ড নং- ২৯: মো. নুরুল ইসলাম রতন

ওয়ার্ড নং- ৩০: আবুল হাসেম হাসু

ওয়ার্ড নং- ৩১: আলেয়া সারোয়ার ডেইজী

ওয়ার্ড নং- ৩২: সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ৩৩:  আসিফ আহমেদ  

ওয়ার্ড নং- ৩৪: শেখ মোহাম্মদ হোসেন

ওয়ার্ড নং- ৩৫: মোক্তার সরদার   

ওয়ার্ড নং- ৩৬: তৈমুর রেজা খোকন    

ওয়ার্ড নং- ৩৭:  মো. জাহাঙ্গীর আলম   

ওয়ার্ড নং- ৩৮: শেখ সেলিম

ওয়ার্ড নং- ৩৯: মো. শফিকুল ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ৪০: মো. নজরুল ইসলাম ঢালী

ওয়ার্ড নং- ৪১: আব্দুল মতিন

ওয়ার্ড নং- ৪২: মো. জাহাঙ্গীর আলম

ওয়ার্ড নং- ৪৩: শরিফুল ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ৪৪: মো. শফিকুল (শফিক)  

ওয়ার্ড নং- ৪৫: জয়নাল আবেদীন

ওয়ার্ড নং- ৪৬: মো. সাইদুর রহমান সরকার   

ওয়ার্ড নং- ৪৭: মোতালেব মিয়া   

ওয়ার্ড নং- ৪৮: এ.কে.এম. মাসুদুজ্জামান

ওয়ার্ড নং- ৪৯: মো. সফিউদ্দিন মোল্লা

ওয়ার্ড নং- ৫০ :  ডি.এম. শামীম

ওয়ার্ড নং- ৫১ : মোহাম্মদ শরীফুর রহমান    

ওয়ার্ড নং- ৫২: মো. ফরিদ আহমেদ

ওয়ার্ড নং- ৫৩: মো. নাসির উদ্দিন

ওয়ার্ড নং- ৫৪ : জাহাঙ্গীর হোসেন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন-

ওয়ার্ড নং- ০১: মোঃ মাহবুবুল আলম 

ওয়ার্ড নং- ০২: মোঃ আনিসুর রহমান

ওয়ার্ড নং- ০৩: মোঃ মাকছুদ হোসেন

ওয়ার্ড নং- ০৪: মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন

ওয়ার্ড নং- ০৫: মোঃ আশ্রাফুজ্জামান

ওয়ার্ড নং- ০৬: মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি

ওয়ার্ড নং- ০৭: আব্দুল বাসিত খান

ওয়ার্ড নং- ০৮: মোঃ ইসমাইল জবিউল্লাহ

ওয়ার্ড নং- ০৯: মোঃ মোজাম্মেল হক

ওয়ার্ড নং- ১০: মারুফ আহমেদ মনসুর

ওয়ার্ড নং- ১১: মোঃ হামিদুল হক শামীম

ওয়ার্ড নং- ১২: ম. ম. মামুন রশিদ শুভ্র

ওয়ার্ড নং- ১৩: মোঃ এনামুল হক

ওয়ার্ড নং- ১৪: ইলিয়াছুর রহমান

ওয়ার্ড নং-১৫: রফিকুল ইসলাম বাবলা

ওয়ার্ড নং- ১৬: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ১৭: মোঃ মাহবুবুর রহমান

ওয়ার্ড নং- ১৮: আ. স. ম. ফেরদৌস আলম

ওয়ার্ড নং- ১৯: মোহা. আবুল বাশার

ওয়ার্ড নং- ২০: ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন

ওয়ার্ড নং- ২১: মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

ওয়ার্ড নং- ২২: জিন্নাত আলী

ওয়ার্ড নং- ২৩: মোঃ মকবুল হোসেন

ওয়ার্ড নং- ২৪: মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ

ওয়ার্ড নং- ২৫: মোঃ আনোয়ার ইকবাল

ওয়ার্ড নং- ২৬: হাসিবুর রহমান মানিক

ওয়ার্ড নং- ২৭: ওমর বিন আব্দুল আজিজ

ওয়ার্ড নং- ২৮: মো. সালেহিন

ওয়ার্ড নং- ২৯: জাহাঙ্গীর আলম বাবুল

ওয়ার্ড নং- ৩০: মোঃ হাসান

ওয়ার্ড নং- ৩১: শেখ মোহাম্মদ আলমগীর

ওয়ার্ড নং- ৩২: মোঃ আঃ মান্নান

ওয়ার্ড নং- ৩৩: মোঃ ইলিয়াস রশীদ

ওয়ার্ড নং- ৩৪: মীর সমীর

ওয়ার্ড নং- ৩৫: মোঃ আবু সাঈদ

ওয়ার্ড নং- ৩৬: রঞ্জন বিশ্বাস

ওয়ার্ড নং- ৩৭: মোঃ আব্দুর রহমান মিয়াজী

ওয়ার্ড নং- ৩৮: আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী

ওয়ার্ড নং- ৩৯: রোকন উদ্দিন আহমেদ

ওয়ার্ড নং-৪০: আবুল কালাম আজাদ

ওয়ার্ড নং- ৪১ : সারোয়ার হাসান (আলো)

ওয়ার্ড নং- ৪২: মোহাম্মদ সেলিম

ওয়ার্ড নং- ৪৩: মোঃ আরিফ হোসেন

ওয়ার্ড নং- ৪৪: মো. নিজাম উদ্দিন

ওয়ার্ড নং- ৪৫: হেলেন আক্তার

ওয়ার্ড নং- ৪৬: মোঃ শহিদ উল্লাহ

ওয়ার্ড নং- ৪৭: নাসির আহম্মেদ ভূঁইয়া

ওয়ার্ড নং- ৪৮: মোঃ আবুল কালাম

ওয়ার্ড নং- ৪৯: আবুল কালাম আজাদ

ওয়ার্ড নং-৫০: মাসুম মোল্লা

ওয়ার্ড নং- ৫১: কাজী হাবিবুর রহমান (হাবু)

ওয়ার্ড নং- ৫২: মোহাম্মদ নাছিম মিয়া

ওয়ার্ড নং- ৫৩: মোহাম্মদ নূর হোসেন

ওয়ার্ড নং-৫৪: মোঃ মাসুদ বর্তমান

ওয়ার্ড নং- ৫৫: মোঃ নুরে আলম

ওয়ার্ড নং- ৫৬: মোহাম্মদ হোসেন

ওয়ার্ড নং- ৫৭: মোঃ সাইদুল ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ৫৮: মোঃ শফিকুর রহমান

ওয়ার্ড নং- ৫৯: আকাশ কুমার ভৌমিক

ওয়ার্ড নং- ৬০: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রতন

ওয়ার্ড নং-৬১: মোঃ শাহ আলম

ওয়ার্ড নং- ৬২: মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ

ওয়ার্ড নং- ৬৩: মোঃ শফিকুল ইসলাম খান

ওয়ার্ড নং- ৬৪: মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা

ওয়ার্ড নং- ৬৫: মোঃ সামসুদ্দিন ভূঁইয়া

ওয়ার্ড নং- ৬৬: মোঃ হানিফ তালুকদার

ওয়ার্ড নং- ৬৭: মোঃ ফিরোজ আলম

ওয়ার্ড নং- ৬৮: মাহমুদুল হাসান

ওয়ার্ড নং- ৬৯: মোঃ হাবিবুর রহমান হাসু

ওয়ার্ড নং- ৭০: মোহাম্মদ আতিকুর রহমান

ওয়ার্ড নং- ৭১: মোঃ খাইরুজ্জামান

ওয়ার্ড নং- ৭২: শফিকুল ইসলাম শামীম

ওয়ার্ড নং- ৭৩: মোঃ শফিকুল ইসলাম

ওয়ার্ড নং- ৭৪: মোঃ ফজর আলী

ওয়ার্ড নং- ৭৫: সৈয়দ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;