জাপার গঠনতন্ত্র আরও একনায়কতান্ত্রিক



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র আরও বেশি একনায়কতান্ত্রিক হয়ে গেলো দলটির ৯ম জাতীয় কাউন্সিলের পর। পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে গুরুতর নানান বিষয় তার খেয়াল-খুশির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দলীয় গুরুতর অনেক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্যদের কিছুই বলার থাকছে না। এমনকি পার্টির চেয়ারম্যান ছাড়া অন্যান্য পদে নির্বাচনের পথও অনেকটা রোহিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান যাকে খুশি যেকোনো পদে পদায়ন করতে পারবেন।

৯ম জাতীয় কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র কাটাছেঁড়া করে যা দাঁড়িয়েছে তার সারাংশটা এমনই হচ্ছে। বেশির ভাগ ধারা-উপধারায় ‘চেয়ারম্যান মনে করিলে’ বাক্যটি যুক্ত করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ১২-এর ৩ উপধারায় বলা হয়েছে—‘অথবা কাউন্সিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য সকল পদে নিয়োগদান করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবে’।

এতদিনও বিষয়টি এমনই হয়ে এসেছে অলিখিতভাবে। তবে কাউন্সিলে কণ্ঠভোটে চেয়ারম্যানের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হতো। যার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান কমিটি গঠন করতেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলেও এই সংস্কৃতি বিদ্যমান। কিন্তু জাপা গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে বিষয়টি লিখিতভাবে চেয়ারম্যানের এখতিয়ারভুক্ত করেছে।

আবার কেন্দ্রীয় কমিটির আকারের ক্ষেত্রেও কোনো ধরাবাঁধা থাকছে না। পার্টির চেয়ারম্যান যতোখুশি সদস্য অনর্ভুক্ত করতে পারবেন। ধারা-১২ এর ৩ উপধারা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘ইহা ব্যতীত পার্টির চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় সদস্য অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন’।

ধারা ২০ এর ১(চ) উপধারার সংশোধনীতেও উপদেষ্টামন্ডলী গঠনের ক্ষেত্রে আগের সীমা ১৫ থেকে বাড়িয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছাধীন করা হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘সর্বোচ্চ পনের সদস্য বিশিষ্ট’ শব্দাবলী বিলুপ্ত হইবে এবং তদস্থলে ‘প্রয়োজনমতো’ শব্দটি যুক্ত হইবে।

ধারা ২০এর ২(ক) উপধারার সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যান পার্টিতে চেয়ারম্যানের পরের মর্যাদায় অনধিক ৭ জন কো-চেয়ারম্যান এবং প্রয়োজনে মহাসচিবের পরের পদমর্যাদায় প্রেসিডিয়ামের মধ্য হতে যে কাউকে ৮ বিভাগের জন্য অনধিক ৮ জনকে অতিরিক্ত মহাসচিব নিয়োগ করিতে পারিবেন। কো-চেয়ারম্যানগন পদাধিকার বলে প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে গণ্য হইবেন’। এখানে অতিরিক্ত মহাসচিবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া না দেওয়া চেয়ারম্যানের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ধারা ২(গ) এ বলা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করিলে জাতীয় ও দলীয় জরুরি প্রয়োজনে কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, মহাসচিব এবং অতিরিক্ত মহাসচিববৃন্দকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। যাহা পরবর্তীতে প্রেসিডিয়ামের সভায় অনুমোদন করানো হইবে’।

আবার স্ববিরোধী ধারাও বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে। ধারা-২০ এর সংশোধনী এনে উপধারা-১ যুক্ত করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষক: জাতীয় পার্টিতে একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকিবেন। তিনি পার্টির সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হইবেন। পার্টির কোনো সভায় তিনি উপস্থিত থাকিলে চেয়ারম্যানের ওপরে তাহার স্থান হইবে। জাতীয় ও দলীয় যোকোনো বিষয়ে প্রয়োজন মনে করিলে চেয়ারম্যান তাহার পরামর্শ গ্রহণ করিবেন’।

আবার উপধারা ১(১) এ বলা হয়েছে পার্টির চেয়ারম্যান, ‘পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন’। ওই বৈঠকে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের মর্যাদার কী হবে তা পরিস্কার করে কিছুই বলা হয়নি। প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টিও চেয়ারম্যান মনমর্জির ওপর নির্ভরশীল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সুনীল শুভরায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, এটাই জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পার্টির নেতাকর্মীরাই তাকে এই ক্ষমতা দিয়েছেন।

এতে পার্টির চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা বাড়তে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সুনীল শুভরায় বলেন, না, তা হবে কেন? উনি যা করবেন দলের মঙ্গলের জন্যই করবেন।

এরশাদের মৃত্যূর পর পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে জিএম কাদের বলে আসছেন, এই পার্টির মালিক হবেন নেতাকর্মীরা সকলে। এখানে কারো একক মালিকানা থাকবে না। আমরা একেকজন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছি। এরচেয়ে বেশি কিছু না। কিন্তু পার্টির গঠনতন্ত্রে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।

নতুন করে এসব সংশোধনী নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। প্রকাশ্য কিছু না বললেও অনেকে চেয়ারম্যানের অভিসন্ধি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, হয়তো রওশন এরশাদকে ঠেকাতে এভাবে পদে পদে জিএম কাদেরকে নিরষ্কুশ ক্ষমতাবান করা হয়েছে।

এটি ভালো হলে ভালো, না হলে মহাখারাপ হতে পারে। এরশাদের সেই ৩৯ ধারা ২০১৬ সালের কাউন্সিলে সংশোধনীতে ২০/১/ক ধারার চোটে কতোজন চোখের জলে দল ছেড়েছেন। সেই ধারা এখনও বিদ্যমান। তার ওপর নতুন করে ক্ষমতবান। নিরষ্কুশ ক্ষমতা জিএম কাদের যদি কান কথা শুনে প্রয়োগ করেন তাহলে পার্টি ভালোর চেয়ে খারাপ ডেকে আনতে পারে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু ঘটনা কান কথা শ্রবণের নজির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;