‘মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে বললে আমি ছেড়ে দেব’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকার এবং দলকে আলাদা করার জন্য অনেক মন্ত্রীকে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়নি, তবে আপনিসহ কয়েকজন দল ও মন্ত্রিসভায় আছেন। যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে কিনা। তার সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব। আমাকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে বললে আমিও ছেড়ে দেব।
কাদের বলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল রুটিন বিষয়, যা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে কোন এক্সপানশন বা রিসাফল হবে বলে মনে হয় না। এর সম্ভবনা একেবারেই কম। প্রধানমন্ত্রী যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারেন। মন্ত্রীদের দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস করতে পারেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে তাড়াতাড়ি কিছু হবে বলে আমার কাছে কোন খবর নেই।
তিনি বলেন, নতুন মন্ত্রীরা খারাপ করছে বলে আমার মনে হয়না, নতুন মন্ত্রীদের কাজ করতেও সময় লাগে। আস্তে আস্তে তারা ভালো কাজ করবে। নতুন মন্ত্রী হিসেবে আমিও একসময় কাজ করেছি, তখনকার কাজও দেখতে পারেন।
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই কিংবা থাকলেও সে সম্ভাবনা খুব কম বলেও জানান তিনি।
সিটি নির্বাচনে অনেক বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখেন কারা প্রত্যাহার করে, আজকের পরে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। যাদেরকে বিতর্কিত বলা হয় দেখা যায় নির্বাচনে তারাই জয়লাভ করে। এ রকম অতীতে অনেক দেখেছি। গতবারও সিটি নির্বাচনে হয়ত একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি কিন্তু জিতেছে বিতর্কিত ব্যক্তি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করে তাকে একসেপ্ট না করে তো উপায় নেই। এখন আমরা সবকিছু মূল্যয়ন করছি। আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ সরেজমিনে কিছু বিষয় দেখে পরিবর্তনের সুপারিশও করেছেন। আরো নতুন করে পরিবর্তনের সুপারিশ আছে, সেটা আমরা আজ দেখছি কি করা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, বিষয়টি সরকার কিভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যেখানে আমেরিকা-ইরাক মুখোমুখি অবস্থানে, সেখানে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন। তেলের দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও আসবে। আমরা চাই তারা যুদ্ধ থেকে সরে আসুক। আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করুক। এতে সারা বিশ্ব সংকটে পড়বে। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের দূতাবাস যেগুলো আছে বাংলাদেশীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে। তাদের প্রতি সতর্কতা আছে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।
সড়ক নিয়ে অস্বস্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক আইনে সংযম করছি। সড়ক আইনের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে, আমরা নিজেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। বিআরটিএর জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। আমরা শিগগিরই জনবল পেয়ে যাব। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। সেখানে ত্রুটি দেখা গেছে, তাই অন্যায়ভাবে কাউকে আমরা কাজ দিতে পারিনা। রিটেন্ডার করতে হচ্ছে বলে দেরি হচ্ছে।