উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে জাপায় ক্ষোভ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনটি সংসদীয় আসনের (গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ ও ঢাকা-১০) উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। দু’জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে প্রার্থী হায়ার করে এনে।

যার একজন সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। আরেকজনের যোগদানের বিষয়ে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারে নি। এমনকি প্রার্থী নিজেও বলতে পারেননি তিনি পার্টিতে কি পদে আছেন।

জাতীয় পার্টিতে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে পার্টি করে একজন আর মনোনয়ন দেওয়া হয় আরেকজনকে। যদিও ভাড়াটিয়া এসব নেতাদের কমজনেই নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টিতে সক্রিয় থেকেছেন। ভোটের পর বেশিরভাগ নেতাই আবার বাতাসে মিলিয়ে গেছেন। আবার সক্রিয়রা মনোনয়ন না পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। এভাবে দিনে দিনে ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে জাপা।

অনেকে ভোটের পর পার্টির নেতাদের গালমন্দ করে বিদায় নিয়েছেন। সবচেয়ে ন্যক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। ওই নির্বাচনের পূর্বে মশফিকুর রহমানকে হায়ার করে এনে পার্টির প্রার্থী করা হয়। তিনি নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে ঢাকায় এসে জাপায় যোগদান করেন। সেই সভাতেই প্রয়াত এরশাদ মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। স্থানীয় নেতারা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

পরে জামানত খুইয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে জাপার ওই প্রার্থী। নির্বাচনের পরে কখনই পার্টিতে দেখা যায় নি তাকে। একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন মশফিকুর রহমান। হায়ারিং প্রার্থী যেমন নিষ্ক্রিয় থেকেছেন তেমনি ত্যাগীরাও জাপার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছেন।

অনেকেই ভেবেছিলেন জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার পর দীর্ঘদিনের এই রেওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং ক্ষেত্র বিশেষে বেড়ে গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থী করা হয়েছিল প্রার্থী হায়ার করে এনে। যদি সেই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াতেই বাতিল হয়ে যান। এর আগেও উত্তর সিটি করপোরেশনে হায়ার করে প্রার্থী করা হয়েছিল ব্যান্ড শিল্পী শাফিন আহমেদকে। ভোটের পরে তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি।

গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হায়ার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গাইবান্ধা-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি প্রয়াত ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সন্তানকে। ফজলে রাব্বী জাতীয় পার্টির টিকেটে কয়েকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৪ সালে এরশাদ তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দেন। এই ক্ষোভে কাজী জাফর আহমেদ’র সঙ্গে গিয়ে পৃথক জাতীয় পার্টি গঠন করেন ফজলে রাব্বী চৌধুরী। ওই সময় জাপা নেতারা অনেকেই কষ্ট পেয়েছিলেন। তার সন্তান মইনুর রাব্বী চৌধুরী জাতীয় পার্টিতে ফেরায় কিছুটা যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন।

কিন্তু বেশি আপত্তি উঠেছে বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী নিয়ে। এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিস্ত্রীকে। যাকে পার্টির কেউই চেনেন না। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, আমি মনে হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাল্টা প্রশ্ন ছিল নতুন কমিটি না-কি বিদায়ী কমিটিতে ছিলেন।

এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন এটা সুনীল দা (জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জিএম কাদের’র প্রেস সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়) ভালো বলতে পারবেন। আপনার নিজের পদ নিজে জানেন না! এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছেন সাজন কুমার মিস্ত্রী।

এই আসনে বাগেরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই পার্টির সঙ্গে রয়েছেন। জাপায় যোগদানের পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের ট্রেজারার ছিলেন। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অপরিচিত এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জিএম কাদের’র বিচক্ষণতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বাগেরহাট জেলা জাতীয় পার্টির নেতা ও কৃষক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শেখ হুমায়ুন কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আমরা তাকে চিনি না। এটা রিভিউ করা না হলে ভালো ফল আশা করা কঠিন। এতে পার্টির ক্ষতি হবে।

জাপার একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিষয়টি ঠিক হলো না। এভাবে পার্টির ক্ষতি করা হচ্ছে। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এখন বুঝতে পারছেন না। তাকে তার কাছের লোকজনেই ডুবাবে। ওনি সিন্ডিকেট মুক্ত হতে না পারলে পার্টিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

নিজের পরিণতির কথা ভেবে প্রকাশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।

   

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তাদের বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমূণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি' বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

;

আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আ.লীগ- রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, সংসদীয় এলাকাগুলোতে ‘এমপি রাজ’ শুরু হয়েছে। এমপির ভাই, খালা মামাদের দিয়ে ‘এমপি রাজ’ চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাবদাহে নগরবাসীকে পানি বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবীর রিজভী এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন ‘সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী’, ‘গুণ্ডাদের মন্ত্রী’। তাই, বিএনপি কর্মসূচি দিলে পালটা কর্মসূচি দেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বিএনপির প্রোগ্রামের সঙ্গে মিল রেখে প্রোগ্রাম দেন? তিনি (ওবায়দুল কাদের) উত্তরে বললেন, বিএনপিকে মানসিক চাপে রাখতে নাকি কর্মসূচি দেন। আসলে যারা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’, তারাই এ সব কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব তো করে পাড়া-মহল্লার গুণ্ডারা। সন্ত্রাসী যারা, তারা।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণবিরোধী নীতি, গণবিরোধী প্রকল্প নিতে কখনো ভাবেন না। দেশে আজ চাল সংকট, আদা সংকট, পেঁয়াজ সংকট। এসবের পেছনে মূল কারণ শেখ হাসিনার গণবিরোধী প্রকল্প। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, শেখ হাসিনার ব্যর্থতা।

রাজনীতির প্রধান কাজ ‘সমাজ সেবা’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাবিশ্বের রাজনীতি একটি সমাজ সেবা কাজ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গণবিরোধী কাজের জন্য আমাদের সব সময় রাজপথে থাকতে হয়। এ জন্য আমরা সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।

এসময় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন রিজভী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাকশ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;