নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে বিএনপি সুবিধা পাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে বিএনপি সুবিধা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দুঃখ হয়, আমরা মন্ত্রী ও এমপি হবার ফলে এখন আমাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারব না। দুনিয়ার কোথাও এমন নিয়ম নেই। নির্বাচনী এই আচরণবিধির কারণে বিএনপি অনেক সুবিধা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’
রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কেসি দে রোডস্থ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, সেখানে কেন্দ্রের মন্ত্রী হোক কিংবা রাজ্যের মন্ত্রী হোক, তারা ভোটের প্রচারণা করতে পারে, এমপি ও মন্ত্রীরাও সরকারি সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে ভোটের প্রচারণায় নামতে পারে। যেখান থেকে ভারতবর্ষ গণতন্ত্র শিখেছে সেই ইংল্যান্ডেও পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করব বাস্তবতার নিরিখে ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অন্যান্য দেশকে অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন এই বিধানের পরিবর্তন করবে। ভারত, ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাদ দিয়ে এমপি ও মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সবাই যাতে সমান সুযোগ পায় নির্বাচন কমিশন বিধি বিধান পরিবর্তন করে সেটা নিশ্চিত করবেন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইভিএমে ভোট অত্যন্ত স্বচ্ছ। ঢাকা শহরে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম নিয়ে অনেক বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছিল বিএনপি। ফলে অনেকে ভোট দিতে যায়নি। কিন্তু তারাও পরবর্তীতে অনুধাবন করেছে ইভিএমে অত্যন্ত স্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভোট হয়। এখানে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। স্বয়ং সিইসি যখন ফিঙ্গার প্রিন্ট নিচ্ছে না তখন তাকেও ভোট দেওয়ার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
সভায় বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) আহমেদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি প্রমুখ।