খালেদার মুক্তি: করোনার ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে নেতাকর্মীরা
শর্ত সাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মুক্তি পান তিনি। তার মুক্তির খবরে হাসপাতালে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নেত্রীকে একনজর দেখতে আসেন তারা।
খালেদা জিয়াকে নিতে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় খালেদার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে ও গেটের ভেতরে জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে দলীয় নির্দেশনার তোয়াক্কা করেননি নেতাকর্মীরা। উপস্থিত হয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছেন তারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, চলমান করোনাভাইরাসের কারণে গণজমায়েত হলে খালেদা জিয়াসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জমায়েত হওয়া নেতাকর্মীরা করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তাই সকল নেতাকর্মীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা এবং করোনাভাইরাস থেকে দেশকে রক্ষার জন্য দোয়া করতে বলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এদিকে, নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের। তারা বারবার হ্যান্ড মাইকে করোনাভাইরাস নিয়ে নেতাকর্মীদের সচেতন করে যাচ্ছিলেন। তাদের সবাইকে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলা হচ্ছিল। তবে পুলিশের শত অনুরোধের পরও কেউ জায়গা থেকে সরে যাননি।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ কর্মীদের সরে যেতে বললেও উপস্থিত নেতাকর্মীরা এসব নির্দেশনা কিছুই মানেননি।