প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো অবহেলিত: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: সংগৃহীত

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে অবহেলা করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। সেই খাতের কোনো আলোচনাই প্রণোদনা প্যাকেজে নেই। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের জন্যও কোনো কথা বলা হয়নি।

এতে সমন্বয়ের কোনো বিষয়ই নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক ডিপার্টমেন্টের সাথে আরেকটি ডিপার্টমেন্টের কোনো সমন্বয় নেই।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়ার পর বিকেল ৪টায় বিএনপির মহাসচিব নিজ বাসা থেকে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

ফখরুল বলেন, আজ ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা এবং এর আগে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটা কিন্তু শিল্প খাতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের প্রণোদনা। দিন এনে দিন খায়, সেই মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। এ সেক্টরের মানুষগুলোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে কোথাও কিছু দেখতে পাইনি। এ মুহূর্তে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে, দিন এনে দিন খায় যারা, তাদের কিন্তু এরই মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে, অনেকে বেরিয়ে গেছেনও। এ বিষয়গুলো একেবারে অবহেলা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কোনো কথাই বলা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খাতকে এ প্রণোদনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্য খাতের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, করোনা শনাক্ত করার কিট- সে বিষয়গুলো কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় উঠে আসেনি। যারা চিকিৎসা করছেন ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, তাদের কথা যদি আমরা সুনির্দিষ্ট করে বলি, তাহলে তাদের সুরক্ষার জন্য, তাদের নিরাপত্তার জন্য অর্থাৎ স্বাস্থ্য সেক্টরকে সেভাবে তৈরি করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার প্রত্যেকটি প্যাকেজ ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে শিল্প মালিকদের কাছে যাবে। এর আগে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পোশাক শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকা কি পোশাক শ্রমিকদের কাছে সরাসরি যাবে? নাকি মালিকদের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে যাবে, তা উল্লেখ করা হয়নি। সেটা কিন্তু পরিষ্কার না, পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি, যোগ করেন ফখরুল।

   

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;