‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার করোনায় আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, আজকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। এখন ডাক্তাররাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের কোনো সুরক্ষা নেই। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিতে পারছে না। যখন থেকে করোনার সংক্রমণ দেখা গেছে তখন থেকেই সরকার প্রস্তুতি নিলে এই সমস্যা হতো না। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে না।

রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্যব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ফাইভস্টার হোটেলগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম সেটিও করছে না সরকার। আজকে অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছে। কত কষ্টের মাঝেও তারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ত্রাণ বিতরণের জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন তালিকা করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দিবে। এরপর সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হবে। আসলে এধরনের কাজ হলে শুধু আওয়ামী লীগের লোকজনই ত্রাণ পাবে। ফলে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের লোকজনের তালিকা বাতিল করে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আজকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের উচিত ছিল সমন্বিতভাবে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। কিন্তু জাতীয় উদ্যোগ নেওয়া তো দূরে থাক বিএনপি বা এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল যেখানেই সাধ্যমত সাধারণ গরিব মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে যাচ্ছে সেখানেই পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বিএনপি শত জুলুম নির্যাতনের মাঝেও সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে । যতদিন মহামারির প্রাদুর্ভাব থাকবে ততদিন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জনগণের পাশে থাকবে।

তিনি বলেন, আজকে ভিক্ষুক রাস্তায় রাস্তায় খাবার খুঁজছে। চট্টগ্রামে ত্রাণের ট্রাক লুট করা হয়েছে। এই মহামারির মধ্যে সরকারের লোকজন ত্রাণের চাল চুরি করছে। চারদিকে চাল চুরির হিড়িক পড়েছে। আসলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। দেশে দায়িত্বশীল সরকার নেই। আজকে গোটা দেশে বিপর্যয়ের মুখেও আওয়ামী লীগের লুটপাট থামছে না। এজন্য আমরা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে আসছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

   

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;