আ’লীগের এমপি-মন্ত্রীরা লোক দেখানো কাঁচা ধান কাটছেন
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা লোক দেখানো কাঁচা ধান কাটছেন। বোরো মৌসুমে ধান গুলো পেকেছে সেগুলো কাটতে হবে। আওয়ামী লীগের লোকেরা পাকা ধান না কেটে লোক দেখানোর জন্য কাঁচা ধান কাটছেন। তারা মানুষকে দেখাতে চান তারা কৃষকের সঙ্গে আছেন। এভাবে মানবসেবা হয় না বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (১ মে) ফিউচার বাংলাদেশের উদ্যোগে হাতিরঝিল মধুবাগ এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকার মানুষের ক্ষুধা নিয়ে তামাশা করছে। তামাশা করে এত বড় বিপর্যয় ঠেকাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারে নেই। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়ে গরিব অসহায় মানুষকে সহায়তা করছি। নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল কিংবা সুনামের জন্য নয় আমরা গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ফিউচার বাংলাদেশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। রাজনৈতিক বিবেচনা না করে দুস্থ গরিব মানুষের সহযোগিতা করছে। অথচ সরকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ কমিটি করেছে আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে। তারা স্থানীয় প্রশাসন, টিএনও কে যাদের সুপারিশ করছে তারাই ত্রাণ পাচ্ছেন। অর্থাৎ এখানেও তারা দলীয়করণ করছে। নিজেদের লোক আর অন্য দলের লোক হিসেবে ত্রাণ দিচ্ছে। কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে আছে হাহাকার করছে। আজকে এই মহামারিতে কাজ নেই দিনমজুর মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা অর্থাৎ এক দলীয় চিন্তা, কর্মকাণ্ড সেভাবে করে যাচ্ছে।
রিজভী জানান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন রিজভী আহমেদের মুখে লাগাম টানা দরকার। এখন আমি বলি আমার মুখে না হয় লাগাম টানলেন। বিশ্বের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যম বলছে বাংলাদেশের ত্রাণের চাল চুরি হচ্ছে। যেখানে সরকার দেশ পরিচালনা করছে তাদের নেতৃত্ব চলছে তখন কীভাবে ঘরের মধ্যে মাটির গর্তে, খড়ের পালের মধ্যে চাল ও খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যায়। এ কথাগুলো শুধু আমরা বলছি না, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বলছে। এখন আপনি কীভাবে তাদের মুখে লাগাম দিবেন। হাছান মাহমুদ আপনি তাদের মুখে লাগাম দিতে পারবেন না। কারণ তারা সত্যটাকেই বলছে। আপনার কিছুই করেন নাই।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন— ফিউচার অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত আজিজ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুল বাশার শোয়েব, প্রচার সম্পাদক সোহাইব নাহিদ, শাহাদাত হোসেন শিহান, তৌহিদ হাসান সাইফ এবং সার্থক ইসলাম।