‘করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছেন তারা জনগণকে কোনো মূল্য দেন না, তাদের কাছে অনেক বেশি মূল্য হচ্ছে ব্যবসা ও সো-কলড প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। কোনোটাই বাড়বে না, সব কিছু নিচে নেমে যাচ্ছে এবং ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থা তারা তৈরি করেছে, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বুধবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে বিএনপির মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকার যে টেকনিক্যাল কমিটি করেছে সেই কমিটি বলছে যে, এই মুহূর্তে সরকারি ছুটি তুলে নেওয়াটা একটা বিপদজনক অবস্থা হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর যিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ সাহেব তিনিও বলেছেন যে, এটা খুব ভুল সিদ্ধান্ত হচ্ছে। এটা একটা সুইসাইডেল সিদ্ধান্ত। আমরা কার কাছে কী বলব? কোথায় যাবেন আপনারা? এদেশের মানুষ কার কাছে যাবে? এদেশের প্রতিটি মানুষ আজকে আতঙ্কে আছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি জানি না যে, এখান থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবে সরকার । সমগ্র বিশ্ব যখন এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি।
তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যদি পদক্ষেপ নেওয়া হতো তাহলে হয়ত আমরা এই অবস্থার সম্মুখীন হতাম না। দুর্ভাগ্য আমাদের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছেন তারা জনগণকে মূল্য দেন না। তাদের কাছে অনেক বেশি মূল্য হচ্ছে ব্যবসার।
আজকে বাংলাদেশ রসাতলের দিকে যাচ্ছে। এখান থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব সকলের। সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে না, উদ্যোগ নেওয়ার মতো তাদের সেই মানসিকতাও নেই। জনগণকে এর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আজকে আমি বলছি, ঐক্য দরকার, জনগণের ঐক্য দরকার। দেশের সকল রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্য দরকার যারা জনগণের কল্যাণে বিশ্বাস করে। এজন্য প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে অতিদ্রুত উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি। আসুন ভীত না হয়ে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই। সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে হবে, সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সবাইকে নিয়ে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী।