গণস্বাস্থ্যের কিটের অনুমোদনসহ ৭ দফা দাবিতে গণসংহতির বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি

গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন ও বাজেটের অন্তত ২০ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) বেলা ১২টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছে দলটি।

এ সভায় বক্তব্য রাখেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জান্নাতুল মরিয়ম তানিয়া এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

পথসভা শেষ করে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে একটি মিছিল তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন হয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় এবং সেোনেই সমাপনী বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু সরকার তখন গুরুত্বের সাথে নেয়নি। তাদের সমস্ত মনোযোগ নিবদ্ধ ছিলো মুজিব শতবর্ষের কর্মসূচিকে ঘিরে। সরকারের চরিত্র যাই হোক না কেন, রাতের আঁধারে ক্ষমতায় আসলেও মহামারি মোকাবিলায় আমরা সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের দল থেকে এবং জোট থেকে সর্বদলীয় পরামার্শ সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সকল দল অংশ নিলেও সরকারের কোন প্রতিনিধি আসেনি। সরকার যদি আগাম পদক্ষেপ নিত তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, ৪৯ দিনের একটি কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করা গেলে আজকে আমাদের এই পরিণতি হতো না। দিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের খাদ্য ও নগদ অর্থের চাহিদা মিটিয়ে একটি কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করলে এখন আমরা নিরাপদে মানষের জীবন ক্ষয় না করে অর্থনীতি খুলে দিতে পারতাম। সমস্ত রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২ কোটি পরিবারে ২ মাসের খাদ্য ও মাসে ন্যূনতম ৫ হাজার করে টাকা পৌঁছে দিতে আমাদের সাকুল্যে লাগতো ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিনিময়ে আমরা পেতাম একটি কার্যকর লকডাউন। কিন্তু গত তিন মাসে সাধারণ ছুটির নামে সরকার যে নাটক করেছে তাতে প্রতিদিন ৩ হাজার কোটি করে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়নি।

অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিটের অনুমোদন দেওয়ার দাবি জানান জোনায়েদ সাকি।

তিনি আরো বলেন, এই মহামারির মধ্যেও যে বাজেট ঘোষণা করা হলো তা একেরাইে গতানুগতিক। স্বাস্থ্য খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোন দিকনির্দেশনা এই বাজেটে নেই। বাজেটের দিকে তাকালেই বোঝা যায় সরকার নাগরিকদের চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা নিয়ে কতটুকু উদ্বিগ্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে সম্পূর্ণ রিভিউ করে অন্তত ২০ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দাবি জানান জোনায়েদ সাকি।

গণসংহতি আন্দোলন উত্থাপিত ৭ দফা দাবি:
১. বাজেটের অন্তত ২০ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখতে হবে। সময়মতো অর্থ বরাদ্দ ও তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

২. অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন দিয়ে গণ-পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সারা দেশে অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার পিসিআর টেস্টের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

৩. শ্রমিক এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশন বা সঙ্গনিরোধের সুবিধা তৈরি করতে হবে।

৪. হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। পর্যাপ্ত ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি ও আনুপাতিক হিসাবে ভেন্টিলেটর সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সকল হাসপাতালের সাধারণ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতাল সাময়িকভাবে অধিগ্রহণ করতে হবে।

৫. সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুবিধা বাস্তবায়নে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা সেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা সুলভ ও স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে।

৬. স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্বাধীন সাংবিধানিক কমিশনের অধীনে পরিচালনা করে রেগুলেটরি অথরিটি বা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য কার্যক্রম এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পণ্য ক্রয়ে সকল দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

   

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;

নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের অধিকার হরণ করা হয়েছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকের অধিকার হরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে, তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা ও কারা নির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, প্রচলিত ফৌজদারি ও দেওয়ানিসহ সব আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়াসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লাখ-লাখ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুমের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো যায় আসে না।

বিএসএফের জওয়ান হত্যার দায় আওয়ামী সরকারের ওপর বর্তায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে। গতকালও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছে না।

বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিএসএফ যেন নির্যাতন আর মৃত্যুর নির্মম খড়গ। তাদের মনে নিত্য জেগে রয়েছে কেবল হত্যার উল্লাস। আর দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ—ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান।

;