রিজেন্ট হাসপাতালের অপকর্ম সরকারের মদদেই: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রিজেন্ট হাসপাতালের অপকর্ম সরকারের মদদেই হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, একটা হাসপাতাল কি করে একটা মিথ্যা সার্টিফিকেট দিতে পারে। গতকালকে দেখলাম একাত্তর টেলিভিশনে- আমাদের সমস্ত মন্ত্রীরা তার (রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদ) সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত, ঘনিষ্ঠভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, কাজ করছেন। অর্থাৎ পুরোপুরি সরকারের মদদ নিয়ে এই অপকর্মটা তারা করেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ এন্ড কমিউনিকেশনের উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন: করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আবারো সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আবদুর রশিদ সরকার বক্তব্য রাখেন। নিজ নিজ বাসা থেকে তারা এই আলোচনায় যুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে উঠেই শুনতে হয় মৃত্যুর খবর আবার রাতে শোয়ার আগেও শুনতে হয় মৃত্যুর খবর। এভাবে মহামারিতে মৃত্যু হবে কিন্তু তা কোনো রকমের প্রতিরোধ গড়ে উঠবে না এবং চরম উদাসীনতার মধ্য দিয়ে, অবহেলার মধ্য দিয়ে সরকার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে-এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে তাই মুক্তি পেতে হলে আমাদের জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, সত্যিকার অর্থেই যদি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই তাহলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নাই। সেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য, জনগণের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের উদ্দেশ্য একটাই- সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতায় নিয়ে আসা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা। নির্বাচন কমিশন তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তারা তাদের প্রভুদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সমস্ত আইন তৈরি করছে। আমরা আসুন আমাদের দায়িত্ব পালন করি। জনগণের কাছে আমাদের যে কমিটমেন্ট আছে, সেই কমিটমেন্ট নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই সরকারকে চলে যেতে বাধ্য করি, নির্বাচন কমিশন নতুন করে গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা এবং তাদেরকে ক্ষমতায় রাখার প্রক্রিয়াটি ২০০৭ সালের এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকার থেকে শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে এক এগারো থেকে। বিরাজনীতিকরণের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোকে একেবারে অকার্যকর করে। এখনো পরিকল্পিতভাবে সচেতনভাবে সেই কাজ চলছে।

লক্ষ্য করে দেখবেন যে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে নির্বাচন কমিশনগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেছে সেই দায়িত্বটা ছিলো যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।