১৪ দলকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ নাসিম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ১৪ দলীয় জোটকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করানোর জন্য প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের অবদান অনস্বীকার্য। তার নেতৃত্বগুণাবলীতে ১৪ দল আজ জাতীয় পর্যায়ে বিরাট অবদান রাখছে বলে মনে করেন তার সহযোদ্ধারা।

বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে ১৪ দলের প্রয়াত সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোকসভা স্মৃতি চারণে ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।

১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দীলিপ বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মোহাম্মদ নাসিম সম্পর্কে যে কথা বলেছেন যে ‘আমি একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।’ এই উক্তির মধ্য দিয়েই নাসিমের সার্বিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বর্হিপ্রকাশ ঘটে। শেখ হাসিনা যে যুদ্ধে অবতীর্ণ, যে যুদ্ধ তিনি করে আসছেন অসম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, দেশকে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের একজন যোগ্য সহযোদ্ধা হিসেবে যেমন দরকার তেমনি ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। আমরা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। তাকে নিয়ে অনেকে অনেক সময় খোঁচা মেরে কথা বলেছেন। কিন্তু মোহাম্মদ নাসিমের শেখ হাসিনার প্রতি তার একটা অসম্ভব অন্ধভক্তি শ্রদ্ধা ছিল।

তিনি বলেন, নাসিম ১৪ দলকে জাতীয় পর্যায়ে বিরাট পরিচিতি দিয়েছেন। এসময় তিনি করোনাকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হারানোতে বেদনাকাতুর হয়ে বলেন, করোনাকীলন অবস্থায় আওয়ামী লীগ যে নেতাকর্মীদের হারাচ্ছে আর কোনো দল এমন চিন্তাও করতে পারবে না। তাদের কাউকে হারাতে হচ্ছে না, কারণ তারা তো কাজে নেই। তারা তো করোনা থেকে অনেক দূরে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী মানুষের পাশে আছে বলেই তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, নাসিমের অকালমৃত্যু আমাদের কাঁদিয়েছে। তিনি আমরা খুব প্রিয় একজন সহকর্মী ছিলেন। একটা বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন নাসিম। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে আন্দোলন করেছি। মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলকে এতো বেশি পছন্দ করতেন যে প্রায় দিনই এই ১৪ দল নিয়ে আলোচনা করতেন। নাসিম চলে গেছে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। আমাদের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী নাসিমের অনুভব করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারলেই মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, যখনই দেশে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখনই রাজনীতিকে বিরাজনীতি করণের জন্য একটা প্রচেষ্টা সব সময় হয়ে থাকে। যখন আমরা সামনে এগিয়ে আসছি তখন এই শত্রুগুলো একইভাবে কার্যকর রয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম এমন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে পারতেন। মোহাম্মদ নাসিম তার নেত্রীর প্রতি অকৃত্রিম আস্থা এবং বিশ্বাসী ছিলেন। আমাদের সংগ্রামের বিশ্বস্ত সাথীকে হারালাম। তিনি কখনো অসম্প্রদায়িক সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার অঙ্গিকার থেকে বিচ্যুত হন নাই।

হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রাম, আগুন সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম সবকিছুতে সাহসের সাথে রাজপথে নির্বিক সৈনিকের ভূমিকা পালন করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। এই করোনাকালে রাষ্ট্রের দুর্বলতা ও ঘাটতিগুলো মোকাবিলা করার দাবি সামনে চলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপগুলোকে বাস্তবায়নে প্রশাসনের এবং সরকারের কতিপয় লোকের দুর্নীতি ও সমন্বয়হীনতা এবং উদ্দেশ্যমূলক চক্রান্ত করোনা যুদ্ধে ক্ষতি করছে। এর জন্য সংস্কার দরকার। করোনাকালে জঙ্গি সন্ত্রাসী শক্তি আড়ালে চলে গেছে আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না। তাদের অপৎপরতা মোকাবিলা করা ও নসাৎ করার জন্য প্রগতিশীল শক্তিকে ধরে রেখে সচল করা দরকার। তিনি বলেন, দুর্নীতি পুষে রেখে অর্থনীতি উদ্ধার করা যাবে না। করোনা পুষে রেখে অর্থনীতি সচল করা যাবে না।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলকে সংগঠিত করেছেন, ১৪ দলকে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই ১৪ দল দেশের দুর্যোগময় মুহূর্তে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। নাসিমদের কোনো মৃত্যু নেই তারা আজীবন বেঁচে থাকবে তাদের কর্মময় জীবন দিয়ে।

আব্দুর রহমান বলেন, একজন প্রাণবন্ত মানুষকে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম বলতে হবে এটা স্বপ্নেও ভাবি নাই। মোহাম্মদ নাসিমকে হারিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেললো অসম্প্রদায়িক আপাদমস্তক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক একজন নায়ককে। গণতান্ত্রিক সংগ্রাম আন্দোলনে ১৪ দলকে যেভাবে সংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার তুলনা নেই।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তার অবর্তমানে ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি হয়েছে এক্ষতি পূরণ হবার নয়। জাতীয় নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকলে প্রচেষ্টা চালালে যে কোনো অপশক্তিকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নিররলস পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সন্মানিত দেশ হিসাবে সন্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে চলছেন এই চলার পথে বিনা বাধায় যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

 
   

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী উপহার দিলো যুবলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রায় তিন শতাধিক অসহায় দুস্থ মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেয় এশিয়া মহাদেশের বৃহৎ যুব সংগঠনটি।

ইফতার সামগ্রীর আওতায় চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য দেওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।

রিকশাচালক আতিয়ার হোসেন বলেন, ইফতার বলতে সবাই তো মুড়ি, চিড়া, বুট দেয়, খাবার দেয়। এনারা তো তেল চিনি দিয়েছে, ভালোই হয়েছে কদিন ভালোই চলবে।

হুমায়রা বেগম নামের একজন বলেন, আমরা বসা মাত্র চেয়ারে প্যাকেট দিয়েছে। কোন ঝামেলা নেই। ভালো পেয়েছি। অনেক খুশি আমরা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মাস ব্যাপি ইফতার সামগী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ম. রাজ্জাক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ম. আব্দুর রাজ্জাক

ম. আব্দুর রাজ্জাক

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করায় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দফতর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ১৮ মার্চ রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করেন। তার অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ম. আব্দুর রাজ্জাক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ছাত্র জীবনে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডাকসুর সদস্য ছিলেন।

আরও জানানো হয়, রাজ্জাক ২০০৩ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠিত হলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের পুনরায় সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমান কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সদস্য।

;

সাকিব নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর হাফিজ বলেছেন, বিএনএমের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, বিএনএম’কে জড়িয়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বনানীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নানাভাবে মানুষজন বিএনএমে যুক্ত হওয়ার কথা আমার কাছে জানান। আমি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং তা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দুই মাস আগেই জানিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি এক সময় ক্রীড়াবিদ ছিলাম। পাকিস্তান আমলে একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় ছিলাম। ১শ থেকে ২শ মিটার দৌড়ে দ্রুততম ব্যক্তি ছিলাম। সাবেক ক্রীড়াবিদ হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সাকিব আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে। আমি তাকে নিরুৎসাহিত করেছি।

বিএনএম সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনএম কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সৃষ্টি। তারা আমার পূর্ব পরিচিত। আমার দলের (বিএনপি) বিভিন্ন বিষয়ে আমার দ্বিমত ছিল। এটাতে অনেকেই ভেবেছেন, আমি দল ত্যাগ করবো। সেজন্য তারা আমাকে ‘অফার’ (প্রস্তাব) করে বিএনএমে যোগ দিতে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে সরকার নিজের ফায়দা লুটতে আমাকে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা যে সব পত্রিকা এসব লিখছে, তারা সরকারের মদতপুষ্ট হয়ে এসব করছে।

মেজর হাফিজ বলেন, দেশে অরাজকতা চলছে। দেশ দুর্নীতির স্বর্গ হয়েছে। ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি হয়েছে। এসব তো কোনো পত্রিকায় দেখি না। যারা আমেরিকা, কানাডায় বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন, সেসব খবর তো পত্রিকায় আসে না। আমাকে হেয় করতে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হেয় করতে, এসব সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ৩২ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছয়বার এমপি হয়েছি। দুইবার মন্ত্রী ছিলাম। আর কী প্রয়োজন আমার! আমি মানুষের সেবা করেছি। পথে-ঘাটে মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছি। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

আক্ষেপ করে মেজর হাফিজ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ৮০ বছর বয়সে এসে আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র নতুন দলে যোগ দেইনি বলে। এসব তো আগেই ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছি। এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি খুব মর্মাহত সাকিবকে নিয়ে আমার নামে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা নিয়ে!

এসময় মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আগেই কথা হয়েছে এবং নিজের অবস্থান দলের কাছে ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

;

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলোতে আমরা সম্মেলনের চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রিপোর্টের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরটাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্র যে 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ)..., 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিতপ্রায় রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন, আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এইটা কোন নির্বাচন!

তিনি বলেন, জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনকে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি বলা হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী, সেটা বোঝা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর 'ডিক্টেটরশিপ' (স্বৈরতন্ত্র) এবং তাদের 'সিবলিংস' (স্বজন) এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ২১ বছর ধরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;